ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
বাসাইলে হেলমেট ও লাইসেন্স না থাকায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা বাসাইলে প্রবাসবন্ধু ফোরামের আলোচনা সভা ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন শীর্ষক শিক্ষকদের কর্মশালা বাসাইলে প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার ঘাটাইলে মাটি কাটার দায়ে দুই জনকে কারাদন্ড টাঙ্গাইলে কৃষক হত্যায় মা মেয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড টাঙ্গাইলে আ.লীগের পক্ষে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, গ্রেফতার ১১ টাঙ্গাইলে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পার্টনার কংগ্রেস ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বাসাইলে অবস্থান কর্মসূচী

ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে লাশ হলেন বাবা-মাসহ চারজন

ঘাটাইল প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৬:২২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রায় দুই বছর যাবত থ্যালাসেমিয়া রোগে ভুগছিলেন নবম শ্রেণিতে পড়–য়া ১৪ বছর বয়সী ফুয়াদ সিদ্দিকী।দেহে নতুন রক্ত তৈরি না হওয়ায় রুগ্নতা বাড়ছিল। কিন্তু ফুয়াদের ছিল বাঁচার আকুতি। বাবা-মায়ের ছিল ছেলেকে বাঁচানোর স্বপ্ন। অনেক চিকিৎসা করেয়িছিলেন।

কিন্তু জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করিয়ে তেমন ভালো ফল না পেয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ফুয়াদকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে যাত্রীবাহী দুটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে নিভে যায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া ফুয়াদের প্রাণ।

ফুয়াদের সাথে একই এ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন ফুয়াদের বাবা মো. ফারুক হোসেন সিদ্দিকী (৫০), তার মা মহসিনা সিদ্দিকী সোনিয়া (৩৫), খালাম্মা মাহফুজা আক্তার সীমা (৩৮)। বলছিলাম বুধবার(৯ জানুয়ারি) দ্বিবাগত রাতদুইটার দিকেটাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাবনদত্ত গ্রামেরফুয়াদকে চিকিৎসা করাতে গিয়েসাভারেফুয়াদের পরিবারের চারজনের মৃত্যুর কথা।মোহাইমিন ইসলাম ফুয়াদভবন দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ও তার বাবা মো. ফারুক হোসেন সিদ্দিকীভবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

ফুয়াদের চাচা হাবিব সিদ্দিকী বলেন, ফুয়াদকে চিকিৎসা করানোর জন্য বুধবার রাতে তার পরিবার একটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ্যাম্বুলেন্সটি ঘটনাস্থল পৌঁছালে বাসের ধাক্কায় আগুন লেগে যায়। আগুনে ফুয়াদসহ তার বাবা-মা ও খালা মারা যান। এসময় এ্যাম্বুলেন্সটির চালক বের হর হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান।তাদের মরদেহ বর্তমানে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো গ্রামের বাড়িতে আনা হবে।

তিনি আরও বলেন ফুয়াদের আরেক ভাই ১০ বছর বয়সী ফাহিম বকেটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে। একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে স্বজন ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সাভারের ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা শিহাব সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে দুটি বাস ধাক্কা দেয়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। এ সময় দগ্ধ অবস্থায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান শিহাব সরকার। ফায়ার সার্ভিস আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আহত ব্যক্তিরা বাসের যাত্রী।

এম.কন্ঠ/ ০৯ জানুয়ারী /এম.টি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করুন

ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে লাশ হলেন বাবা-মাসহ চারজন

প্রকাশ: ০৬:২২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রায় দুই বছর যাবত থ্যালাসেমিয়া রোগে ভুগছিলেন নবম শ্রেণিতে পড়–য়া ১৪ বছর বয়সী ফুয়াদ সিদ্দিকী।দেহে নতুন রক্ত তৈরি না হওয়ায় রুগ্নতা বাড়ছিল। কিন্তু ফুয়াদের ছিল বাঁচার আকুতি। বাবা-মায়ের ছিল ছেলেকে বাঁচানোর স্বপ্ন। অনেক চিকিৎসা করেয়িছিলেন।

কিন্তু জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করিয়ে তেমন ভালো ফল না পেয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ফুয়াদকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে যাত্রীবাহী দুটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে নিভে যায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া ফুয়াদের প্রাণ।

ফুয়াদের সাথে একই এ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন ফুয়াদের বাবা মো. ফারুক হোসেন সিদ্দিকী (৫০), তার মা মহসিনা সিদ্দিকী সোনিয়া (৩৫), খালাম্মা মাহফুজা আক্তার সীমা (৩৮)। বলছিলাম বুধবার(৯ জানুয়ারি) দ্বিবাগত রাতদুইটার দিকেটাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাবনদত্ত গ্রামেরফুয়াদকে চিকিৎসা করাতে গিয়েসাভারেফুয়াদের পরিবারের চারজনের মৃত্যুর কথা।মোহাইমিন ইসলাম ফুয়াদভবন দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ও তার বাবা মো. ফারুক হোসেন সিদ্দিকীভবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

ফুয়াদের চাচা হাবিব সিদ্দিকী বলেন, ফুয়াদকে চিকিৎসা করানোর জন্য বুধবার রাতে তার পরিবার একটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ্যাম্বুলেন্সটি ঘটনাস্থল পৌঁছালে বাসের ধাক্কায় আগুন লেগে যায়। আগুনে ফুয়াদসহ তার বাবা-মা ও খালা মারা যান। এসময় এ্যাম্বুলেন্সটির চালক বের হর হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান।তাদের মরদেহ বর্তমানে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো গ্রামের বাড়িতে আনা হবে।

তিনি আরও বলেন ফুয়াদের আরেক ভাই ১০ বছর বয়সী ফাহিম বকেটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে। একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে স্বজন ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সাভারের ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা শিহাব সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে দুটি বাস ধাক্কা দেয়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। এ সময় দগ্ধ অবস্থায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান শিহাব সরকার। ফায়ার সার্ভিস আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আহত ব্যক্তিরা বাসের যাত্রী।

এম.কন্ঠ/ ০৯ জানুয়ারী /এম.টি