ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রস্তুতি সমাপ্তির পথে বাসাখানপুরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম

মোজাম্মেল হক :
প্রকাশ: ০৬:১৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

দ্রুত প্রস্তুতির পথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। এলাকাবাসীর অনেক দিনের আশা আর টাঙ্গাইলের ফুটবলের জন্য প্রয়োজনীয় ‘একটা মাঠ’ বড় অর্জন, আর্শীবাদ হয়ে আসছে।

এখন সম্ভবত টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে ফুটবল আর ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে না। ফুটবল লীগসহ বড় বড় ফুটবল খেলার আয়োজন বাসাখানপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজন সম্ভব।

শুধু ফুটবল নয় ফুটবলের পাশাপাশি এ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, হাডুডুসহ বিভিন্ন খেলা আয়োজনে এই মাঠে মিলবে ক্রীড়াপ্রেমী প্রচুর দর্শক। বাসাখানপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সবুজ শ্যামলে ভরা গ্রীমান পরিবেশে। মাঠে যেতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শহরের ক্রীড়ামোদীরা চাইলেই মাত্র ১০টাকায় অটো ভাড়ায় দিয়ে সরাসরি মাঠের দর্শক হতে পারবেন। প্রতিক্ষা আর বেশী নয়, দ্রুত একটা বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে শুভ উদ্বোধন হবে জানা যায়।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু নিকট জানা গেছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি তিন তলা অফিস কক্ষসহ প্যাভিলিয়নের সাথে দক্ষিণ এবং পশ্চিম পাশে ২টি লম্বা গ্যালারি প্রস্তুত করা হয়েছে।

জানা গেছে গ্যালারি এবং প্যাভিলিয়নসহ দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় তিন হাজার। এখন স্টেডিয়ামের মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক লাইনের কাজও শেষের পথে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জানালেন মাঠের পূর্ব পাশের জমি টুকু ক্রয় করতে পারলে মাঠটি অনেক বড় হবে। তিনি আরো বললেন’ এই মাঠটি মূলত ফুটবলের জন্য গড়া হলেও সময় সুযোগ পেলে এ্যাথলেটিক্সসহ অন্যান্য খেলা আয়োজন করা হবে। ফুটবল খেলার মাধ্যমে মাঠটি উদ্বোধন করা হবে। টাঙ্গাইলের খেলোয়াড়রা দুটি স্টেডিয়াম পেয়ে বিভিন্ন খেলায় যেভাবে অবদান রেখে যাচ্ছে, তাতে এই মাঠটি টাঙ্গাইলে খেলাধূলাকে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে”।


উল্লেখ্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত দেশের ১৮৬টি উপজেলায় ১৬শ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে। সেই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদরের বাসাখানপুর এলাকায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এই মিনি স্টেডিয়ামটি ২০২৩ সালে ২০ মে তারিখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বাসাখানপুরের এই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্বোধন করেন। এ সময় টাঙ্গাইল সদরের সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেনসহ ক্রীড়ামোদী অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এই মিনি স্টেডিয়ামটি নিমার্ণ করতেছেন শরীফ এন্ড সন্স ইঞ্জিনিয়াং ফার্ম ।

বাসাখানপুর মাঠটি প্রাচীন কাল থেকে বেশ পরিচিত ছিল, এই মাঠে ফুটবলের বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হতো। তারপর বিভিন্ন সময়ে অবহেলায় মাঠটি নষ্ট হয়ে যায়। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম চালু হলে এই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ খেলা দেখতে পারবে।

 

এম.কন্ঠ/ ১৫ জুন /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রস্তুতি সমাপ্তির পথে বাসাখানপুরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম

প্রকাশ: ০৬:১৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

দ্রুত প্রস্তুতির পথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। এলাকাবাসীর অনেক দিনের আশা আর টাঙ্গাইলের ফুটবলের জন্য প্রয়োজনীয় ‘একটা মাঠ’ বড় অর্জন, আর্শীবাদ হয়ে আসছে।

এখন সম্ভবত টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে ফুটবল আর ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে না। ফুটবল লীগসহ বড় বড় ফুটবল খেলার আয়োজন বাসাখানপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজন সম্ভব।

শুধু ফুটবল নয় ফুটবলের পাশাপাশি এ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, হাডুডুসহ বিভিন্ন খেলা আয়োজনে এই মাঠে মিলবে ক্রীড়াপ্রেমী প্রচুর দর্শক। বাসাখানপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সবুজ শ্যামলে ভরা গ্রীমান পরিবেশে। মাঠে যেতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শহরের ক্রীড়ামোদীরা চাইলেই মাত্র ১০টাকায় অটো ভাড়ায় দিয়ে সরাসরি মাঠের দর্শক হতে পারবেন। প্রতিক্ষা আর বেশী নয়, দ্রুত একটা বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে শুভ উদ্বোধন হবে জানা যায়।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু নিকট জানা গেছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি তিন তলা অফিস কক্ষসহ প্যাভিলিয়নের সাথে দক্ষিণ এবং পশ্চিম পাশে ২টি লম্বা গ্যালারি প্রস্তুত করা হয়েছে।

জানা গেছে গ্যালারি এবং প্যাভিলিয়নসহ দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় তিন হাজার। এখন স্টেডিয়ামের মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক লাইনের কাজও শেষের পথে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জানালেন মাঠের পূর্ব পাশের জমি টুকু ক্রয় করতে পারলে মাঠটি অনেক বড় হবে। তিনি আরো বললেন’ এই মাঠটি মূলত ফুটবলের জন্য গড়া হলেও সময় সুযোগ পেলে এ্যাথলেটিক্সসহ অন্যান্য খেলা আয়োজন করা হবে। ফুটবল খেলার মাধ্যমে মাঠটি উদ্বোধন করা হবে। টাঙ্গাইলের খেলোয়াড়রা দুটি স্টেডিয়াম পেয়ে বিভিন্ন খেলায় যেভাবে অবদান রেখে যাচ্ছে, তাতে এই মাঠটি টাঙ্গাইলে খেলাধূলাকে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে”।


উল্লেখ্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত দেশের ১৮৬টি উপজেলায় ১৬শ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে। সেই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদরের বাসাখানপুর এলাকায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এই মিনি স্টেডিয়ামটি ২০২৩ সালে ২০ মে তারিখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বাসাখানপুরের এই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্বোধন করেন। এ সময় টাঙ্গাইল সদরের সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেনসহ ক্রীড়ামোদী অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এই মিনি স্টেডিয়ামটি নিমার্ণ করতেছেন শরীফ এন্ড সন্স ইঞ্জিনিয়াং ফার্ম ।

বাসাখানপুর মাঠটি প্রাচীন কাল থেকে বেশ পরিচিত ছিল, এই মাঠে ফুটবলের বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হতো। তারপর বিভিন্ন সময়ে অবহেলায় মাঠটি নষ্ট হয়ে যায়। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম চালু হলে এই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ খেলা দেখতে পারবে।

 

এম.কন্ঠ/ ১৫ জুন /এম.টি