ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
নাগরপুরে উপজেলা প্রশাসন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন টাঙ্গাইল মাতালেন নগর বাউল জেমস টাঙ্গাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আগেই লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিলাম…আহমেদ আযম খান টাঙ্গাইলে ঈদুল আযহা উদযাপনে প্রস্তুতি সভা বাসাইলে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাঁধা বাসাইলের সেই লাঙ্গুলিয়া নদী রক্ষায় এগিয়ে এলেন ইউএনও ঘাটাইলে অটোরিক্সার ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থী নিহত টাঙ্গাইলে টর্ণেডোর ভয়াবহ ছোঁবলের ২৯তম বার্ষিকী, শোক ও আতঙ্কের দিন টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস বয়কট করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মাভাবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০২:২৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

এ দিবসটি উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ডিন বৃন্দ, রেজিস্ট্রার, ও বিভিন্ন অফিস প্রধানগণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতা- কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিলে বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতাসহ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। এই অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে স্বাধীন বাংলা অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়।

এম.কন্ঠ/ ১৭ এপ্রিল/এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

মাভাবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

প্রকাশ: ০২:২৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চিরভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন আজ।

এ দিবসটি উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ডিন বৃন্দ, রেজিস্ট্রার, ও বিভিন্ন অফিস প্রধানগণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতা- কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া মাহফিলে বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতাসহ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। এই অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে স্বাধীন বাংলা অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়।

এম.কন্ঠ/ ১৭ এপ্রিল/এম.টি