ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
কালিহাতীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেস্কটপ কম্পিউটার ও প্রজেক্টর বিতরণ টাঙ্গাইলে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ঘাটাইলে ঘোড়ার গাড়িতে ধান বহন টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযান টাঙ্গাইলে পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ টাঙ্গাইলে গরু ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাত রিমান্ডে কালিহাতীতে কলেজছাত্র আলীম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন টাঙ্গাইলে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে জনসংযোগ শীর্ষক সেমিনার নির্বাচিত সরকার অনির্বাচিত সরকারের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী…টুকু

ভূঞাপুরে বালুর ঘাটে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি’র ১৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ভুঞাপু‌র প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০২:২১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বালুর ঘাটের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার দুপুরে ১৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় এখনও বালুর ঘাট এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।

এই ঘটনায় গোলাম সরোয়ার বাদি হয়ে নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ শেখ, পলশিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী, বিএনপির নেতা মতুর্জ আলী, লোকমান, মুন্নাফ, সজিব, সবুজ, আবু বক্করসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নে পলশিয়ার বাগানবাড়িতে নিজ জমিতে বালুর ঘাটের রাস্তার কাজ করার সময় বাঁধা প্রদান করে মারধর করে। পরে মিমাংসার জন্য বিষয়টি নিয়ে গত ৮ মার্চ বিকেলে ল্যাংড়া বাজার এলাকায় সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল লতিফ শেখ, পলশিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী, বিএনপির নেতা মতুর্জ আলী, লোকমান, মুন্নাফ, সজিব, সবুজ, আবু বক্করসহ তাদের লোকজন হামলা করে। এতে হামলায় রফিক (২৭), মাফি (২৫) ও মান্নান (৬০) গুরত্বর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলার এই ঘটনায় উভয়পক্ষের আরো প্রায় ১০জন আহত হয়।

হামলায় আহত রফিক জানায়, নিজের জমির মধ্যে বালুর ঘাটের রাস্তা তৈরির কাজ করছিলাম। এসময় পলশিয়ার লোকমান ও হোসেনের লোকজন এসে হামলা করে মারধর করে। পরে বিষয়টি নিয়ে নেতারা মিমাংসার জন্য সালিশি বৈঠক ডাকে। এতে সালিশে মিমাংসা না হওয়ায় তারা আবারও আমাদের উপর হামলা করে।

নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম রিপন জানান, বালুর ঘাটের পয়েন্টের রাস্তা তৈরি করার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এছাড়া থানাতেও অভিযোগ দেয়া ছিল। তবে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারা মিমাংসার জন্য বসলেও সমাধান হয়নি। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে লতিফ ও হোসেনের লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের অনেকেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই ঘটনায় বড় ভাই গোলাম সরোয়ার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।

 

এম.কন্ঠ/ ০৯ মার্চ  /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

ভূঞাপুরে বালুর ঘাটে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি’র ১৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০২:২১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বালুর ঘাটের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার দুপুরে ১৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় এখনও বালুর ঘাট এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।

এই ঘটনায় গোলাম সরোয়ার বাদি হয়ে নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ শেখ, পলশিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী, বিএনপির নেতা মতুর্জ আলী, লোকমান, মুন্নাফ, সজিব, সবুজ, আবু বক্করসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নে পলশিয়ার বাগানবাড়িতে নিজ জমিতে বালুর ঘাটের রাস্তার কাজ করার সময় বাঁধা প্রদান করে মারধর করে। পরে মিমাংসার জন্য বিষয়টি নিয়ে গত ৮ মার্চ বিকেলে ল্যাংড়া বাজার এলাকায় সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল লতিফ শেখ, পলশিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন আলী, বিএনপির নেতা মতুর্জ আলী, লোকমান, মুন্নাফ, সজিব, সবুজ, আবু বক্করসহ তাদের লোকজন হামলা করে। এতে হামলায় রফিক (২৭), মাফি (২৫) ও মান্নান (৬০) গুরত্বর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলার এই ঘটনায় উভয়পক্ষের আরো প্রায় ১০জন আহত হয়।

হামলায় আহত রফিক জানায়, নিজের জমির মধ্যে বালুর ঘাটের রাস্তা তৈরির কাজ করছিলাম। এসময় পলশিয়ার লোকমান ও হোসেনের লোকজন এসে হামলা করে মারধর করে। পরে বিষয়টি নিয়ে নেতারা মিমাংসার জন্য সালিশি বৈঠক ডাকে। এতে সালিশে মিমাংসা না হওয়ায় তারা আবারও আমাদের উপর হামলা করে।

নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম রিপন জানান, বালুর ঘাটের পয়েন্টের রাস্তা তৈরি করার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এছাড়া থানাতেও অভিযোগ দেয়া ছিল। তবে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারা মিমাংসার জন্য বসলেও সমাধান হয়নি। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে লতিফ ও হোসেনের লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের অনেকেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই ঘটনায় বড় ভাই গোলাম সরোয়ার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।

 

এম.কন্ঠ/ ০৯ মার্চ  /এম.টি