শিশুরা ঝড়ে পড়ার কারন আমরা খুঁজে পেয়েছি…প্রাথমিক ও গনশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুরা ঝড়ে পড়ার কারন আমরা খুঁজে পেয়েছি, একটা গুরুত্বপূর্ন কারন ছিল কোভিডের সময়ে, যেটা বিভিন্ন রিপোর্ট হয়েছে। কোভিডের কারনে স্কুল বন্ধ ছিলো। পাশাপাশি অন্য ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গনশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঝড়ে পড়ার আরেকটি কারন অনেক বাচ্চাদের বাবা মা অফিসে চাকুরী করে। এরা অফিসে যাওয়ার ফাঁকে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে আসা যাওয়া সময়টা প্রাইমারী স্কুলের সাথে মিলে না। বাধ্য হয়ে তারা অন্য স্কুলে দিয়ে দেন, যেখানে বাচ্চাদের রাখার সুযোগ রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া কোন কোন স্কুল চলে না, এছাড়া এখানে একটা ব্যাপার চালু আছে। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করে। আমাদের ম্যাকানিজম ডেভলপভ করে নাই। এসব কারনে সরকারী স্কুলে ছাত্র ভর্তি কম হচ্ছে এবং ছাত্ররা ঝড়ে পড়ছে। বিষয়টা আমরা জানি এবং কিভাবে রোদ করা যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ভাঙ্গন কবলিত শিশুদের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা নাই। আমি যে অঞ্চলে এই ধরনের সমস্যা দেখবো। আমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিবো তথ্য নিয়ে পরিসংখ্যান দেওয়ার জন্য। প্রস্তাব করা জন্য। তবে দূর থেকে বুঝা যায় না। যারা স্থানীয় মানুষজন তাদের সাথে আলোচনা করে বিকল্প সমাধান দেওয়া যেতে পারে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা কি নেওয়া যায় সেটা দেখবো।
এর আগে প্রাথমিক ও গনশিক্ষা উপদেষ্টা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে ক্লাস টেস্ট নেন।
এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তসলিমা জাহানসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এম.কন্ঠ/ ২১ নভেম্বর /এম.টি