টাঙ্গাইলে রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে, আতঙ্ক
টাঙ্গাইল শহরে ও দেলদুয়ার উপজেলায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার সকালের শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়া এলাকার সাবেক (জিপি) মো. আব্দুর রশিদের বাসায় রাসেলস ভাইপার সাপ দেখে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এছাড়াও দেলদুয়ারের আতিয়া ইউনিয়নের বিরনাহালী গ্রামের কয়েক বাচ্চাসহ বড় একটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শহরের পাঞ্জাপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল শহরের ড্রেন গুলোর সাথে লৌহজং নদীর সংযোগ রয়েছে। সেখান থেকে সাপ আসতে পারে। সাপটি মারার পর এলাকার মানুষ অনেকেই আতঙ্কিত। এছাড়াও এ বিষয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেয়া জরুরি।
সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আমি বাসার নিচে চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম। বৃষ্টির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার সময় আমার বাসার এক ভাড়াটিয়া বাইরে বের হচ্ছিলেন। ওই সময় তিনি দেখেন একটি রাসেলস ভাইপার সাপ গেট পেরিয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে। তখন তিনি ডাকাডাকি করলে আমার চেম্বারের লোকজন গিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। সাপের দৈর্ঘ্য প্রায় দুই হাত। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সাপ যেহেতু একসাথে ৫০ থেকে ৬০টি বাচ্চা দেয়। সেহেতু বাসার আশেপাশে আরো সাপ থাকতে পারে। আমাদের এই মহল্লায় সাপ নিধনে দ্রুত অভিযান চালানো জরুরি।
আতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য পরিমল চন্দ্র দে বলেন, বৃষ্টির আগে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি সাতটি বাচ্চাসহ একটি বড় রাসেলস ভাইপার দেখেছেন। লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ বলেন, আমরা মূলত বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করি। বর্তমানে সারাদেশে রাসেল ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আর সাপটি আমাদের দেশীয় কোনো জাত নয়। তাছাড়া আমরা সর্প বিশেষজ্ঞও নই। বিষয়টি জানলাম। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
এম.কন্ঠ/ ২২ জুন /এম.টি