ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ

কালিহাতী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৯:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের জোয়াইর গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহীন (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত শাহীন বীরবাসিন্দা গ্রামের প্রবাসী আব্দুল­াহর ছেলে। তিনি মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ি জোয়াইর গ্রামে বসবাস করতেন।

পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অটো রাইস মিল এলাকায় ক্রিকেট খেলার কথা বলে তাকে ডেকে নেয় আজিজ নামের এক তরুণ। সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় একই গ্রামের আয়নালের ছেলে দেলুয়ারের সঙ্গে। একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নিলে গুরুতর আহত হয় শাহীন। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।

শাহীনের মামী অভিযোগ করে বলেন, “ডেকে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর তাকে জোর করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। তারা খুব প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

তবে দেলুয়ারের দাদা করিম বিষয়টি ভিন্নভাবে তুলে ধরে বলেন, “খেলা নিয়ে মারামারির ঘটনা জানার পরই আমি নাতিকে বকাঝকা করেছি। পরে শাহীনের বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে এসেছি। রাতে শুনি সে নাকি বিষ খেয়েছে-এর বেশি কিছু জানি না।”

কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা আক্তার বলেন, “রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহীন নামের এক রোগী আসে। জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় ইঁদুরের বিষসহ একটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও একটি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছে। আমরা ট্রমা ওয়াশের মাধ্যমে বিষ বের করার চেষ্টা করি, কিন্তু সে পাইপ কেটে ফেলে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিই। তবে তার গলায় খামছানোর দাগও লক্ষ্য করেছি।”

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিহতের পরিবার দাবি করছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, আর অপর পক্ষ বলছে বিষপানে আত্মহত্যা-ফলে কিশোর শাহীনের মৃত্যু ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রহস্য দূর হওয়ার অপেক্ষায় এলাকাবাসী।

 

এম.কন্ঠ/ ০৪ অক্টোবর  /এম. টি

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের জোয়াইর গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহীন (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত শাহীন বীরবাসিন্দা গ্রামের প্রবাসী আব্দুল­াহর ছেলে। তিনি মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ি জোয়াইর গ্রামে বসবাস করতেন।

পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অটো রাইস মিল এলাকায় ক্রিকেট খেলার কথা বলে তাকে ডেকে নেয় আজিজ নামের এক তরুণ। সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় একই গ্রামের আয়নালের ছেলে দেলুয়ারের সঙ্গে। একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নিলে গুরুতর আহত হয় শাহীন। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।

শাহীনের মামী অভিযোগ করে বলেন, “ডেকে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর তাকে জোর করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। তারা খুব প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

তবে দেলুয়ারের দাদা করিম বিষয়টি ভিন্নভাবে তুলে ধরে বলেন, “খেলা নিয়ে মারামারির ঘটনা জানার পরই আমি নাতিকে বকাঝকা করেছি। পরে শাহীনের বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে এসেছি। রাতে শুনি সে নাকি বিষ খেয়েছে-এর বেশি কিছু জানি না।”

কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা আক্তার বলেন, “রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহীন নামের এক রোগী আসে। জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় ইঁদুরের বিষসহ একটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও একটি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছে। আমরা ট্রমা ওয়াশের মাধ্যমে বিষ বের করার চেষ্টা করি, কিন্তু সে পাইপ কেটে ফেলে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিই। তবে তার গলায় খামছানোর দাগও লক্ষ্য করেছি।”

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিহতের পরিবার দাবি করছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, আর অপর পক্ষ বলছে বিষপানে আত্মহত্যা-ফলে কিশোর শাহীনের মৃত্যু ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রহস্য দূর হওয়ার অপেক্ষায় এলাকাবাসী।

 

এম.কন্ঠ/ ০৪ অক্টোবর  /এম. টি