মধুপুরে কলেজ শিক্ষার্থীরা পেলো সবজি ও ফল বৃক্ষের চারা
পুষ্টির ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থায় উদ্বুদ্ধ করতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে সবজি- ফলদ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়েছে। তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে উন্নত জাতের পেঁপে ও তরমুজের চার দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে মহিষমারা কলেজের উৎপাদনমুখী কৃষি খামারে এ ব্যতিক্রমী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে চারা তুলে দেন।
মহিষমারা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রাজ্জাক এতে সভাপতিত্ব করেন। মহিষমারা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ,বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক জয়ী ও উৎপাদনমুখী শিক্ষা র স্বপ্ন দ্রষ্টা মো. ছানোয়ার হোসেন, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব, কলেজের শিক্ষক ও সুধিমন্ডলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কৃষক ছানোয়ার হোসেন জানান, পুষ্টির ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে দেশের জমির প্রতিটি ইঞ্চি চাষাবাদের আওতায় আনার সরকারি তাগিদ সময়োপযোগী।
জনবহুল আমাদের এ দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। তাই নিরাপদ খাদ্য, সবজি ও ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে ‘উৎপাদনমুখী শিক্ষা’ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে গত দুই বছর আগে আমরা এ কর্মসূচি শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এ আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে মহিষামার কলেজ ও তার আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে উৎপাদনে আগ্রহী করাসহ কৃষি খামারে হাতে কলমে কৃষি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এতে চারা রোপন ও পরিচর্যা শেখানো হয়ে থাকে। তারপর তাদের মাঝে বিনামূল্যে গাছের চারা ও সবজি বীজ বিতরণ করা হয়।
তাদের রোপিত ও পরিচর্যায় উৎপাদিত পণ্য দিয়ে পারিবারিক চাহিদা কিছুটা হলেও পুরণ হয়। একই সাথে মাসে একবার কলেজে সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভোজের আয়োজন করা হয়। সরেজমিন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট টাঙ্গাইল এই কাজে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। এ আন্দোলনের লক্ষ্য হলো- জেনারেল শিক্ষায় অসংখ্য বেকার তৈরি না করে সবার জন্য অন্তত একটা স্তর পর্যন্ত উৎপাদনমুখী শিক্ষা চালু করে কর্মক্ষম দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা।
এম.কন্ঠ/২৭ ফেব্রুয়ারি/ এম.টি