ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
গোপালপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল টাঙ্গাইলে ডি-ম্যাবের আয়োজনে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল সখীপুরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আওয়াল মাহমুদের মতবিনিময় সভা গোপালপুরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আর নেই ঘাটাইলে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা বাসাইলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মহিলা দলের দোয়া খালেদা জিয়ার সুস্থতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দোয়া মাহফিল টাঙ্গাইলে সেতু’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় টাঙ্গাইলে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ বাসাইলে উপজেলা শিশু পার্কের উদ্বোধন

দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ নিরলস ভাবে মধুপুর ধনবাড়ীতে কাজ করে যাচ্ছেন স্বপন ফকির

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২:১২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইল-১ আসনটি মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সূতিকাগার এই আসনটি। ২০০৬ সালের পূর্বে এই আসনটি ছিল শুধুমাত্র মধুপুর উপজেলা নিয়ে। ধনবাড়ী অঞ্চলের সাধারণ মানুষের শত বছরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা স্বপন ফকিরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০০৬ সালের ৪ ঠা সেপ্টেম্বর ধনবাড়ী মেলার মাঠে লক্ষাধিক জনগণের উপস্থিততে ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে ধনবাড়ী উপজেলা প্রতিষ্ঠা করেন।

ধনবাড়ী উপজেলা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে মুশুদ্দি ইউনিয়নকে ভেঙে বলিভদ্র ও বীরতারা ইউনিয়নকে ভেঙে বানিয়াজান ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ততকালীন মুশুদ্দি ও বীরতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন ফকিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মধুপুর ধনবাড়ি উপজেলায় সরকারি ও নিজস্ব অর্থায়নে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ- মাদ্রাসা, কবরস্থান নির্মাণ মন্দির- গির্জা, ২৩ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তকরণ, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীন মানুষের জন্য স্বপন ফকির আশ্রয়ণ প্রকল্প, নতুন নতুন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা অসহায় দুঃস্থ,অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা, এতিম মানুষদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ানোসহ নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে ব্যাপক অবদান রাখেন।

১/১১ এর সরকার থেকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নারকীয় তান্ডবে দলীয় কর্মীদের বিপদে যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এসে পাশে দাড়িয়েছেন। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা থেকে জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য নিজে উপস্থিত থেকেছেন টাঙ্গাইল জজ আদালত ও হাইকোর্টে। বিএনপি ঘোষিত সর্বশেষ ২০২২ সাল থেকে চলমান হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আটক নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্তির জন্য নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিন, কারাগারে সহযোগিতার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কারা অভ্যন্তরে নেতাকর্মীদের পরিবারের খোঁজ খবর রেখেছেন।

রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে টাঙ্গাইলে জেলায় একমাত্র স্বপন ফকির জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে টাঙ্গাইল জেলার সকল শহীদ ও গুরুতর আহতদের টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দলের জন্য স্বপন ফকিরের পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই দলের সাথে স্বপন ফকিরের পরিবার জড়িত, তার বড় চাচা আফাজ উদ্দিন ফকির ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি, তার আরেক চাচা প্রখ্যাত সুরকার ও গীতিকার, মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্ত লোকমান হোসেন ফকির ছিলেন জাসাস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক। ঢাকা,

টাঙ্গাইল ও মধুপুর ধনবাড়ীতে কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে মধুপুর ধনবাড়ি তথা সারা টাঙ্গাইল জেলায় স্বপন ফকিরের সুনাম রয়েছে। পাশাপাশি দানবীর ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে স্বপন ফকিরের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।

স্বপন ফকির বলেন, ৫ আগষ্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মধুপুর ধনবাড়ি উপজেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে চষে বেড়াচ্ছি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ জনগণের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জনগনের মাঝে বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা পৌছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমি এমপি নির্বাচিত হলে এক টাকার দূর্নীতি করবো না, মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শতভাগ জনগণের কল্যানে ব্যয় করবো ইনশাআল্লাহ।পাশাপাশি মধুপুরকে জেলায় রূপান্তর করবো, মধুপুর ধনবাড়ি থেকে টাঙ্গাইল ও জামালপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো, মধুপুর ধনবাড়ীতে গ্যাস এনে হাজার হাজার যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পকারখানা তৈরি করবো, এই অঞ্চলের জনগণকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে মানবসম্পদে রূপান্তরের জন্য কারিগরি স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, দুইটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করবো, আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার সমাধানসহ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু শতভাগ বাস্তবায়ন করবো,আনারসের সঠিক বাজারজাত করণের পাশাপাশি বিদেশে সঠিক মূল্যে আনারস রপ্তানির ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স।

বর্তমানে মধুপুর ধনবাড়ির আনাচে-কানাচেতে ঘুরে সাধারণ জনগণের সাথে বিশেষ করে মা বোনদের সাথে কথা বলে জানতে পারি গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোটের অধিকার না থাকায় ভোট দিতে পারেনি আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার আগ্রহটা অনেক বেশি এবং তারা আমাকে এমপি হিসেবে তাদের সেবা করার সুযোগ দিবে বলে জানায়। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। আমি প্রতিশ্রæতি দিলে তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। বিগত ২৪ বছর এমপি না হয়েও আমার মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে কাজ করেছি। আগামীতে নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে জনগণের জন্য কাজ করবো। মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি।


মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলার সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বপন ফকির একজন ভদ্রলোক, নির্লোভ ও পরোপকারী সৎ লোক। স্বপন ফকিরের মুখ থেকে এখন পযন্ত কাউকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলতে শুনিনি, কাউকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেও শুনিনি। সে দূর্নীতি করবে না সবাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, এমন মানুষ এমপি নির্বাচিত হলে সরকারি কোন অনুদান চুরি হবে না, দুর্নীতি হবে না জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ জনগণের জন্য কল্যাণে ব্যয় হবে। তার মাধ্যমে জনগণের উপকার হবে শতভাগ। স্বপন ফকিরকে যারা পছন্দ করে না বা রাজনৈতিক কারণে বিরোধিতা করে তারাও একবাক্যে এই কথা গুলো বিশ্বাস করে।

সে এমপি নির্বাচিত না হয়েও ধনবাড়ী উপজেলা করেছে, বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে,রাস্তা ঘাট নির্মাণ করেছে , বিনা স্বার্থে ২৩ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তকরণসহ প্রতিটি ইউনিয়নে নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করেছে যা দৃশ্যমান, এই সকল কাজ কোনো এমপি মন্ত্রীও বিগত দিনে করেনি। স্বপন ফকির এমপি হলে আর যাই হোক অন্যদের মতো চুরিচামারি তথা দূর্নীতি করবে না। আমরা এমন একজন কর্মবীর মানুষকে আগামী দিনে এমপি নির্বাচিত করতে চাই।

বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা শাসনামলে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, নিপীড়নের মাত্রা স্টিমরোলারের মতো। এমন পরিস্থিতিতে স্বপন ফকির ছাড়া আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখেনি, নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাড়ায়নি। ঢাকা, টাঙ্গাইল ও মধুপুর ধনবাড়িতে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সকল প্রকার ব্যবস্থা করে স্বপন ফকির। নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম হামলা মামলায় সর্বদা পাশে থেকেছেন স্বপন ফকির।

এখন অনেক নেতারই আগমন ঘটেছে এমপি হওয়ার স্বপ্নে অথচ বিগত ১৭ বছর বিএনপির কোনো প্রোগ্রাম মধুপুর ধনবাড়ির নেতাকর্মীর খোঁজ খবর রাখে নি, সহযোগিতা করেনি, এমনকি জেল-জুলুম হামলা মামলায় পাশে দাড়ায়নি। মধুপুর ধনবাড়িতে তাদের আগমন ৫ আগষ্টের হাসিনা সরকারের পতনের পর। স্বপন ফকির বিগত ১৭ বছর দলকে সুসংগঠিত করতে ও দলের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। দুর্দিনের স্বপন ফকিরই আগামী দিনে ধানের শীষ প্রতীকে মধুপুর ধনবাড়ি থেকে এমপি হওয়ার একমাত্র উপযুক্ত প্রার্থী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করুন

দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ নিরলস ভাবে মধুপুর ধনবাড়ীতে কাজ করে যাচ্ছেন স্বপন ফকির

প্রকাশ: ০২:১২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

টাঙ্গাইল-১ আসনটি মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সূতিকাগার এই আসনটি। ২০০৬ সালের পূর্বে এই আসনটি ছিল শুধুমাত্র মধুপুর উপজেলা নিয়ে। ধনবাড়ী অঞ্চলের সাধারণ মানুষের শত বছরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা স্বপন ফকিরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০০৬ সালের ৪ ঠা সেপ্টেম্বর ধনবাড়ী মেলার মাঠে লক্ষাধিক জনগণের উপস্থিততে ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে ধনবাড়ী উপজেলা প্রতিষ্ঠা করেন।

ধনবাড়ী উপজেলা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে মুশুদ্দি ইউনিয়নকে ভেঙে বলিভদ্র ও বীরতারা ইউনিয়নকে ভেঙে বানিয়াজান ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ততকালীন মুশুদ্দি ও বীরতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন ফকিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মধুপুর ধনবাড়ি উপজেলায় সরকারি ও নিজস্ব অর্থায়নে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ- মাদ্রাসা, কবরস্থান নির্মাণ মন্দির- গির্জা, ২৩ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তকরণ, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীন মানুষের জন্য স্বপন ফকির আশ্রয়ণ প্রকল্প, নতুন নতুন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা অসহায় দুঃস্থ,অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা, এতিম মানুষদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ানোসহ নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে ব্যাপক অবদান রাখেন।

১/১১ এর সরকার থেকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নারকীয় তান্ডবে দলীয় কর্মীদের বিপদে যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এসে পাশে দাড়িয়েছেন। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা থেকে জামিনের ব্যবস্থা করার জন্য নিজে উপস্থিত থেকেছেন টাঙ্গাইল জজ আদালত ও হাইকোর্টে। বিএনপি ঘোষিত সর্বশেষ ২০২২ সাল থেকে চলমান হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আটক নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্তির জন্য নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিন, কারাগারে সহযোগিতার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কারা অভ্যন্তরে নেতাকর্মীদের পরিবারের খোঁজ খবর রেখেছেন।

রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে টাঙ্গাইলে জেলায় একমাত্র স্বপন ফকির জুলাই আগষ্টের আন্দোলনে টাঙ্গাইল জেলার সকল শহীদ ও গুরুতর আহতদের টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দলের জন্য স্বপন ফকিরের পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। বিএনপির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই দলের সাথে স্বপন ফকিরের পরিবার জড়িত, তার বড় চাচা আফাজ উদ্দিন ফকির ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি, তার আরেক চাচা প্রখ্যাত সুরকার ও গীতিকার, মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্ত লোকমান হোসেন ফকির ছিলেন জাসাস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক। ঢাকা,

টাঙ্গাইল ও মধুপুর ধনবাড়ীতে কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে মধুপুর ধনবাড়ি তথা সারা টাঙ্গাইল জেলায় স্বপন ফকিরের সুনাম রয়েছে। পাশাপাশি দানবীর ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে স্বপন ফকিরের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।

স্বপন ফকির বলেন, ৫ আগষ্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মধুপুর ধনবাড়ি উপজেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে চষে বেড়াচ্ছি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ জনগণের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জনগনের মাঝে বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা পৌছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমি এমপি নির্বাচিত হলে এক টাকার দূর্নীতি করবো না, মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শতভাগ জনগণের কল্যানে ব্যয় করবো ইনশাআল্লাহ।পাশাপাশি মধুপুরকে জেলায় রূপান্তর করবো, মধুপুর ধনবাড়ি থেকে টাঙ্গাইল ও জামালপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো, মধুপুর ধনবাড়ীতে গ্যাস এনে হাজার হাজার যুবকের কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পকারখানা তৈরি করবো, এই অঞ্চলের জনগণকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে মানবসম্পদে রূপান্তরের জন্য কারিগরি স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, দুইটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করবো, আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার সমাধানসহ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু শতভাগ বাস্তবায়ন করবো,আনারসের সঠিক বাজারজাত করণের পাশাপাশি বিদেশে সঠিক মূল্যে আনারস রপ্তানির ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স।

বর্তমানে মধুপুর ধনবাড়ির আনাচে-কানাচেতে ঘুরে সাধারণ জনগণের সাথে বিশেষ করে মা বোনদের সাথে কথা বলে জানতে পারি গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোটের অধিকার না থাকায় ভোট দিতে পারেনি আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়ার আগ্রহটা অনেক বেশি এবং তারা আমাকে এমপি হিসেবে তাদের সেবা করার সুযোগ দিবে বলে জানায়। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। আমি প্রতিশ্রæতি দিলে তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। বিগত ২৪ বছর এমপি না হয়েও আমার মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে কাজ করেছি। আগামীতে নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে জনগণের জন্য কাজ করবো। মধুপুর ধনবাড়ির জনগণের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি।


মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলার সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বপন ফকির একজন ভদ্রলোক, নির্লোভ ও পরোপকারী সৎ লোক। স্বপন ফকিরের মুখ থেকে এখন পযন্ত কাউকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলতে শুনিনি, কাউকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতেও শুনিনি। সে দূর্নীতি করবে না সবাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, এমন মানুষ এমপি নির্বাচিত হলে সরকারি কোন অনুদান চুরি হবে না, দুর্নীতি হবে না জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ জনগণের জন্য কল্যাণে ব্যয় হবে। তার মাধ্যমে জনগণের উপকার হবে শতভাগ। স্বপন ফকিরকে যারা পছন্দ করে না বা রাজনৈতিক কারণে বিরোধিতা করে তারাও একবাক্যে এই কথা গুলো বিশ্বাস করে।

সে এমপি নির্বাচিত না হয়েও ধনবাড়ী উপজেলা করেছে, বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে,রাস্তা ঘাট নির্মাণ করেছে , বিনা স্বার্থে ২৩ টি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিও ভুক্তকরণসহ প্রতিটি ইউনিয়নে নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করেছে যা দৃশ্যমান, এই সকল কাজ কোনো এমপি মন্ত্রীও বিগত দিনে করেনি। স্বপন ফকির এমপি হলে আর যাই হোক অন্যদের মতো চুরিচামারি তথা দূর্নীতি করবে না। আমরা এমন একজন কর্মবীর মানুষকে আগামী দিনে এমপি নির্বাচিত করতে চাই।

বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা শাসনামলে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, নিপীড়নের মাত্রা স্টিমরোলারের মতো। এমন পরিস্থিতিতে স্বপন ফকির ছাড়া আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখেনি, নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাড়ায়নি। ঢাকা, টাঙ্গাইল ও মধুপুর ধনবাড়িতে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সকল প্রকার ব্যবস্থা করে স্বপন ফকির। নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম হামলা মামলায় সর্বদা পাশে থেকেছেন স্বপন ফকির।

এখন অনেক নেতারই আগমন ঘটেছে এমপি হওয়ার স্বপ্নে অথচ বিগত ১৭ বছর বিএনপির কোনো প্রোগ্রাম মধুপুর ধনবাড়ির নেতাকর্মীর খোঁজ খবর রাখে নি, সহযোগিতা করেনি, এমনকি জেল-জুলুম হামলা মামলায় পাশে দাড়ায়নি। মধুপুর ধনবাড়িতে তাদের আগমন ৫ আগষ্টের হাসিনা সরকারের পতনের পর। স্বপন ফকির বিগত ১৭ বছর দলকে সুসংগঠিত করতে ও দলের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। দুর্দিনের স্বপন ফকিরই আগামী দিনে ধানের শীষ প্রতীকে মধুপুর ধনবাড়ি থেকে এমপি হওয়ার একমাত্র উপযুক্ত প্রার্থী।