জুলাই গণঅভ্যত্থান ফ্যাসিস শক্তির ভিত্তি উপরে ফেলে দিয়েছে…ফরহাদ মজহার
কবি ভাবুক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, আমরা মাওলানা ভাসানীর ছবি বুকে নিয়ে বেঁচে আছি। আপনারা ভাসানীর ছবি সব জায়গা থেকে মুছে ফেলে দিয়েছেন। আর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামালে আপনারা আপত্তি করেন। এটা হবে না। ফ্যাসিজম কিভাবে দাঁড়ায়, ইতিহাস মুছে দিয়ে সেটা নিজেকে কায়েম করেন। খালি একটা মাত্র আইকন আছে, শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি মুলত একটা ফ্যাসিস মতাদর্শ কায়েম করেছিলেন। শুধু মতাদর্শ হিসেবে নয়, একটি রাষ্ট্র কায়েক করেছিলেন একটা ফ্যাসিস মতাদর্শ দিয়ে। জুলাই গণঅভ্যত্থান ফ্যাসিস শক্তির যে ভিত্তি সেটি উপরে ফেলে দিয়েছে। এর জন্য অনেকেই ভিত।
বুধবার বিকেলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ‘মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভা প্রধান হিসেবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর স্মৃতি যদি আমরা রক্ষা করতে চাই তাহলে মওলানা ভাসানীর যে ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন সেটি পুনঃগঠন করতে হবে। সেটা গঠন করতে আসিফসহ দুই উপদেষ্টাকে বিনয়ের সাথে বলবো। এটা তাদের প্রথম কর্তব্য। যদি এটা করতে না পারেন, তাহলে দেশকে বাঁচাতে পারবেন না। ট্রাস্টের অধীনে বিশ^বিদ্যালয় চলবে। ট্রাস্টের অধীনে সকল সম্পত্তি যেটা ফ্যাসিস শক্তি দখল করে নিয়ে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সন্তোষে আসলে আমি মর্মাহত হই। মাজারের যে দুর্দশা, ভাসানীসহ বিভিন্ন স্থাপনার দুর্দশা। এসব অতি দ্রুত কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি, আমরা যদি ফ্যাসিস শক্তিকে পরাজিত করতে চাই তাহলে বিগত দিনে যে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলো সে গুলো আবার পুনরায় চালু করতে হবে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। আলোচক ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মওলানা ভাসানী পাঠ চক্রের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান রাসেল। এতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটি টাঙ্গাইল শাখার কামরুজ্জামান শাওন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত মারুফের মা মোর্শেদা বেগম, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ফাতেমা রহমান বিথি, আবু আহমেদ শেরশাহ প্রমুখ। এ সময় ভাসানী পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থী ও তার অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এম.কন্ঠ/ ১৩ নভেম্বর /এম.টি