টাঙ্গাইলে ভিপি নূরের উপর হামলার প্রায় ৩ বছর পর মামলা
প্রায় তিন বছর আগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূরের উপর হামলার অভিযোগে টাঙ্গাইলে মামলা দায়ের করেছেন ওই দলের এক নেতা।
রোববার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় এই মামলা তালিকাভূক্ত (রেকর্ড) করা হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ লেখক ভট্টাচার্য্য, টাঙ্গাইলের কয়েকজন সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় শাকিলুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নূরুল হক নূর সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং জেলার নেতৃবৃন্দ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান। টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্ত মঞ্চের কাছে পৌঁছার পর ভাসানী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পালের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করা হয়। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে নূরুল হক নূরের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা এবং কয়েকটি মুঠো ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে কতিপয় পুলিশ সদস্যের সহায়তায় তারা জীবন নিয়ে ফিরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
ঘটনার পর তারা মামলা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ সে সময় মামলা গ্রহণে অসম্মতি জানায়। তাই মামলা দায়েরে বিলম্ব হলে বলে এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন।
মামলায় আসামিদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, ছানোয়ার হোসেন ও খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রনি আহমেদের নাম রয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এম.কন্ঠ/ ০৩ সেপ্টেম্বর /এম.টি