টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার ১৬৬
কোটা সংস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে জেলায় ১৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি স্থাপনা ভাংচুরসহ কয়েকটি ঘটনায় টাঙ্গাইলে চার থানায় আটটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক নেতা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, মধুপুর ও ধনবাড়ী থানায় এসব মামলা করেন। মামলায় ৪২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দুই হাজার ৮৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এছাড়াও শহরের নিরালা মোড় এলাকায় পুলিশ বক্স ও সরকারি স্থাপনা ভাংচুর করাসহ পুলিশ উপর হামলা করে আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই আরিফ রব্বানী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৩০০ ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও একই দিন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম বাদি হয়ে ২০ জুলাই অজ্ঞাত ২০০ ব্যক্তিকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বাদি ৯২ নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ জনের নামে মামলা করেন।
১৯ জুলাই দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আশরাফউল্লাহ বাদি হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ ব্যক্তিকে আসামী করে কালিহাতী থানায় ২১ জুলাই মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে কালিহাতী থানার এসআই ইমাম হোসেন বাদি হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনের নামে ১৯ জুলাই মামলা দায়ের করেন। সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে এসআই মো. ফরহাদ হোসেন বাদি হয়ে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনের নামে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কেয়ারটেকার জামাল হোসেন বাদি হয়ে ৯৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে ২০ জুলাই মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
একই দিন শ্রমিক অফিস ভাংচুরের অভিযোগে শ্রমিক নেতা মনছের আলী বাদি হয়ে ১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও সরকারি বাঁধা দেওয়ার ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে ১৯ জুলাই ধনবাড়ী থানায় এসআই জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলা গুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এ সব মামলায় এ পর্যন্ত ১৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এম.কন্ঠ/ ২৫ জুলাই /এম.টি