যে সব কারনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে যানজট নেই
ঈদের ছুটিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। অন্যান্য বছর ঈদযাত্রায় এই সড়কে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তির পোহাতে হলেও এ বছর এখনও পর্যন্ত স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ।
এ দিকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রোববার সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বিপিএম।
সকাল থেকে মহাসড়কের ঘারিন্দা, রাবনা, রসুলপুর, এলেঙ্গা, সলা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ের টোল প্লাজা ঘুরে কোথাও কোন যানজট দেখা যায়নি। ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোথাও কোন যানজট নেই।
যানজট না হওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ, চালক ও যাত্রীরা বলছেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সড়ক বিভাগ ও সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের সুবিধা পাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। এবারের ঈদে বেসরকারি ছুটি বেশি। যানজট এড়াতে রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়ক একমুখী করে দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন চার লেনের সড়ক দিয়ে দ্রুত কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত চলে আসতে পারে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর ভূঞাপুর হয়ে বিকল্প রাস্তায় এলেঙ্গা পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৫ হাজার ৮৪টি পরিবহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে বাসের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৭টি, ট্রাক ৮ হাজার ৫৮১, ছোট বড় মিলিয়ে ৮ হাজার ৪২২টি এবং মোটরসাইকেল দুই হাজার ১৪টি। পরিবহনের বিপরীতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ বলেন, সকাল থেকেই মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে পরিবহন চলাচল করছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পরিবহনের চাপ মহাসড়কে বাড়তে পারে।
জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সমন্বিত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মহাসড়কের আমরা কোন ট্রাক চলাচল করতে দিচ্ছি না। মহাসড়কে কোন থ্রি হুইলার উঠতে দিচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সেই যানবাহন গুলো অপসারণের জন্য আমরা রেকার স্ট্যান্ডবাই রেখেছি। নির্বিচ্ছ টোল প্লাজা চালু রাখার জন্য জনবলসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতুর উপরে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সে বিষয়েও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব মিলিয়ে বলা যায় এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে। মানুষ স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবে।
এম.কন্ঠ/০৭ এপ্রিল/এম.টি