টাঙ্গাইলে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মারধর লুটপাট, দ্রুত বিচার চান নারী উদ্যোক্তা
টাঙ্গাইল শহরে এক নারী উদ্যোক্তাকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার বাসা থেকে নগদ অর্থসহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সুষ্ঠ বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ওই নারী উদ্যোক্তা।
শনিবার সকালে সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নারীর স্বামী মেহেদী হাসান সাজু। লিখিত বক্তব্যে তার স্বামী বলেন, শহরের সাবালিয়া এলাকায় নাদিয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নামে তারা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে থ্রি-পিস সরবরাহের কথা বলার সূত্র ধরে আমার পূর্ব পরিচিত সুব্রত পরবর্তীতে আমাকে আশিষের সাথে মোবাইলে কথা বলিয়ে দেয়। থ্রি-পিস সরবারহের প্রসঙ্গে গত প্রায় এক মাসের মধ্যে তার স্ত্রীর সাথে প্রায় ৩/৪ বার তার সাথে মোবাইলে কথা হয়।
তিনি বলেন, গত ১৯ অক্টোবর সকালে আশিষ ফোন করে আমার স্ত্রীকে জানান তিনি দোকানে থ্রি-পিস সরবরাহ করতে চান। আমার স্ত্রী বাসায় গিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আশিষকে দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আমার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত ও মারধর করে। স্ত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, বাসায় থাকায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে আমার স্ত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে শ^াসনালী কাটা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা শেষে ২১ অক্টোবর টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর অভিযুক্ত আশিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
ওই নারী উদ্যোক্তা বলেন, আমি অসুস্থতার জন্য আমার স্বামীকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারার কারণে থানায় লিখিত অভিযোগপত্রে সকল তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলে আমি মনে করছি। দুর্ঘটনা ঘটার পর মামলা দায়ের করার সাথে সাথে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কিন্তু মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য না জেনেই এবং অপরাধ সংঘঠনের প্রয়োজনীয় আলামত ও আমার নিকট থেকে ঘটনার বিস্তারিত না জেনেই আসামীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়া, আসামী বিভ্রান্তিমূলক, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল বিষয় অবতারণা করে মামলার মোড় ভিন্নখাতে ঘোরানোর পায়তাড়া করছে বলে মনে করছি। আমি এ বিষয় থেকে সুষ্ঠ তদন্তসাপেক্ষে পরিত্রাণ চাই এবং ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দিতে চাই, এ কারণে পুনরায় আসামীর রিমান্ড শুনানী করে তদন্ত কর্মকর্তা বের করতে পারেন এ আসামীর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছেন কিনা। আমি সঠিক বিচার দাবি করছি।
এম.কন্ঠ/ ০২ নভেম্বর /এম.টি