ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
টাঙ্গাইলে এলজিইডি’র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত নাগরপুরে ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত নাগরপুরে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে পার্ক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ভাসানীর মৃত্যু বার্ষিকী পালন হাসিনার নির্দেশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল…হান্নান মাসউদ পৃথিবীর বুকে আজকে বিচারের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় হবে-ভিপি নুরুল হক নুর ভাসানীকে অনুসরণ করা মানেই জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করা-শামসুজ্জামান দুদু ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাত সন্দেহে ছয়জন আটক সেতু’র নাইটকেয়ার কর্মসূচির ষান্মাসিক সমন্বয় সভা

টাঙ্গাইলে ওএমএসের দোকানে ক্রেতাদের ভীড়

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০৩:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বাজারে চাল ও আটার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ভাবে খোলা বাজারে(ওএমএস) চাল ও আটার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বেড়েগেছে। খোলা বাজারের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই ফিরে যাচ্ছে। ক্রেতারা বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য দাবি জানিয়েছে। সরকার ঘোষিত খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় ১৫টি ওএমএস এর দোকান রয়েছে।

এই দোকানগুলোতে ১২০টাকায় ৫কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫কেজি চাল পাওয়ার অপেক্ষায় ভোর থেকেই হাতে ব্যাগ নিয়ে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও আবারো অনেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়। শহরে পার্কবাজারে ওএমএস এর দোকানে আটা কিনতে আসা কলেজ পাড়ার বাছিরুন বেগম জানান, বাহিরে বাজারে আটা চালের দাম বেশি থাকায় সাশ্রয়ের জন্য আমরা এখানে এসেছি। প্রতিজন ১২০ টাকায় ৫কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫কেজি চাল পাওয়া যায়।

ওএমএস ডিলার বিএনপি নেতা জোয়াহের আলী জানান, দিনদিন ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই কেন্দ্রে চালের চেয়ে আটার চাহিদা বেশি। একজন ডিলারের জন্য প্রতিদিন বরাদ্দ ১টন চাল ও দেড়টন আটা। সকাল থেকেই দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন একাদিক নারী-পুরুষ ক্রেতারা। এখানে বরাদ্দের তুলনায় চাল ও আটার চাহিদা রয়েছে। এর বরাদ্ধ আরও বৃদ্ধি পেলে জনগণ উপকৃত হবে।

অপরদিকে কেয়া সিনেমা হল রোডে এবং দিঘুলীয়ায় ওএমএস এর কেন্দ্রে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়। এখানে চাল নিতে আসা বাছেদ মিয়া বলেন, বাহিরে ১কেজি চালের দাম ৬১টাকা আর এখানে ৫কেজি চাল ক্রয় করা যায় ১৫০ টাকা। বাহিরের বাজারের তুলনায় কেজি প্রতি ৩১টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। ডিলার পলাশ আল মাসুদ ও ডিলার খন্দকার রুবেল বলেন, আমরা যে বরাদ্ধ পাই তাতে তার চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদা আরও বাড়ালে ক্রেতারা আরও বেশি সুবিধা পাবে।

সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ মুসা বলেন, পৌর এলাকায় ১৫টি ওএমএসের দোকান রয়েছে। এখানে প্রতিজনকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। খোলা বাজারে চাউল ও আটার দাম বেশি হওয়ায় প্রত্যেকটি ওএমএসের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। প্রতিটি দোকানে এ কার্যক্রম তদারকি করার জন্য খাদ্য পরিদর্শক ও সহকারী খাদ্য পরিদর্শকরা রয়েছেন। এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: তানভীর হোসেন বলেন, ও এমএসের কেন্দ্র সংখ্যা বৃদ্ধিকরা হবে। ওএমএস-২০২৪ নিতীমালা ২০জন ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

 

এম.কন্ঠ/ ৩১ অক্টোবর /এম.টি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে ওএমএসের দোকানে ক্রেতাদের ভীড়

প্রকাশ: ০৩:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বাজারে চাল ও আটার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ভাবে খোলা বাজারে(ওএমএস) চাল ও আটার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বেড়েগেছে। খোলা বাজারের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই ফিরে যাচ্ছে। ক্রেতারা বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য দাবি জানিয়েছে। সরকার ঘোষিত খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় ১৫টি ওএমএস এর দোকান রয়েছে।

এই দোকানগুলোতে ১২০টাকায় ৫কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫কেজি চাল পাওয়ার অপেক্ষায় ভোর থেকেই হাতে ব্যাগ নিয়ে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও আবারো অনেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়। শহরে পার্কবাজারে ওএমএস এর দোকানে আটা কিনতে আসা কলেজ পাড়ার বাছিরুন বেগম জানান, বাহিরে বাজারে আটা চালের দাম বেশি থাকায় সাশ্রয়ের জন্য আমরা এখানে এসেছি। প্রতিজন ১২০ টাকায় ৫কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫কেজি চাল পাওয়া যায়।

ওএমএস ডিলার বিএনপি নেতা জোয়াহের আলী জানান, দিনদিন ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই কেন্দ্রে চালের চেয়ে আটার চাহিদা বেশি। একজন ডিলারের জন্য প্রতিদিন বরাদ্দ ১টন চাল ও দেড়টন আটা। সকাল থেকেই দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন একাদিক নারী-পুরুষ ক্রেতারা। এখানে বরাদ্দের তুলনায় চাল ও আটার চাহিদা রয়েছে। এর বরাদ্ধ আরও বৃদ্ধি পেলে জনগণ উপকৃত হবে।

অপরদিকে কেয়া সিনেমা হল রোডে এবং দিঘুলীয়ায় ওএমএস এর কেন্দ্রে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় দেখা যায়। এখানে চাল নিতে আসা বাছেদ মিয়া বলেন, বাহিরে ১কেজি চালের দাম ৬১টাকা আর এখানে ৫কেজি চাল ক্রয় করা যায় ১৫০ টাকা। বাহিরের বাজারের তুলনায় কেজি প্রতি ৩১টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। ডিলার পলাশ আল মাসুদ ও ডিলার খন্দকার রুবেল বলেন, আমরা যে বরাদ্ধ পাই তাতে তার চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদা আরও বাড়ালে ক্রেতারা আরও বেশি সুবিধা পাবে।

সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ মুসা বলেন, পৌর এলাকায় ১৫টি ওএমএসের দোকান রয়েছে। এখানে প্রতিজনকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। খোলা বাজারে চাউল ও আটার দাম বেশি হওয়ায় প্রত্যেকটি ওএমএসের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। প্রতিটি দোকানে এ কার্যক্রম তদারকি করার জন্য খাদ্য পরিদর্শক ও সহকারী খাদ্য পরিদর্শকরা রয়েছেন। এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: তানভীর হোসেন বলেন, ও এমএসের কেন্দ্র সংখ্যা বৃদ্ধিকরা হবে। ওএমএস-২০২৪ নিতীমালা ২০জন ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

 

এম.কন্ঠ/ ৩১ অক্টোবর /এম.টি