ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
টাঙ্গাইলে চাহিদার চেয়ে ২৯ হাজার বেশি কোরবানির পশু টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় অনূর্ধ্ব-১৫ বালক ফুটবলার বাছাই অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে আগুনে পুড়লো ছাত্রদলের কর্মসূচীর ডেকোরেটরের মালামাল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আবার বাস ডাকাতি, লুটপাট, নারীর শ্লীলতাহানি টাঙ্গাইলে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান মেলা শুরু ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা বাসাইলে হেলমেট ও লাইসেন্স না থাকায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা বাসাইলে প্রবাসবন্ধু ফোরামের আলোচনা সভা ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন শীর্ষক শিক্ষকদের কর্মশালা

টাঙ্গাইলে বাস মালিক সমিতির অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি,পরিবহণ সেক্টরকে দলীয় করণের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১২:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি এবং পরিবহণ সেক্টরকে দলীয় করনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এর প্রতিবাদ ও নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সভা কক্ষে জেলা বাসা-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ মালিকবৃন্দের আয়োজিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাবেক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে জেলা বাসা মালিক সমিতি এবং জেলা লাক্সারি মিনিবাস মালিক সমিতি নামে দুটি পৃথক সমিতি শ্রম মন্ত্রনালয়ের রেজিষ্ট্রেশন করে বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। এরপর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা দলীয় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে দুটি সমিতি একত্র করে মহাসচিব নামক একটি পদ সৃষ্টি করে শুধুমাত্র চাঁদাবাজি এবং লুটপাটের উদ্দেশ্যে দুটি সমিতিকে একত্রিকরন করা হয়। যা অদ্যাবদি পর্যন্ত চলমান আছে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পাঁতানো একটি সাধারণ সভা ডাকা হয়। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভায় সকল মালিকগন হাত তুলে সম্মতি দিলে অথবা নির্বাচনের পক্ষে তুলে সম্মতি দিলে সেটাই কার্যকর হয়। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মালিকদেরকে হাত তুলতে বললে কোন মালিকগন হাত তুলে সম্মতি জ্ঞাপন করেনি। এরপরও সকল নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে মালিক সমিতি তিন বছরের নামে অবৈধ কমিটি ঘোষনা করা হয়। যা অদ্যাবধি পর্যন্ত বহাল আছে। বর্তমান মালিক সমিতি রেজিস্ট্রেশন বিহীব ভাবে চলছে।

তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতির মহাসচিব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি নিজে ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে গুলি বর্ষণ এবং দুটি ধর্ষন মামলাসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামী। বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগতরা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির পরিচালনা করছেন। এ নিয়ে সাধারণ মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন ভাবে উত্তোলনকৃত টাকা থেকে সাধারণ মালিকগন একাশি লক্ষ পাওনা আছে বলে জানান। সমিতির শুরু থেকে কোন মালিক মৃত্যুবরণ করলে তাকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মালিকদের সস্তানদের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলে সেটাও কাউকে দেওয়া হয়নি। এছাড়া নামে বেনামে ভূয়া বিল ভাউচার করে কোটি কোটি আত্নসাৎ করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ জাদিদুল হক, নিলুফার ইয়াসমিন খান, নজরুল ইসলাম খান, ছানোয়ার হোসেন ছানা, শহিদুর রহমান, রুমি ভূইঁয়াসহ ১০০ জন মালিক উপস্থিত ছিলেন।

 

এম.কন্ঠ/ ১০ অক্টোবর /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে বাস মালিক সমিতির অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি,পরিবহণ সেক্টরকে দলীয় করণের প্রতিবাদ

প্রকাশ: ১২:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি এবং পরিবহণ সেক্টরকে দলীয় করনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এর প্রতিবাদ ও নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সভা কক্ষে জেলা বাসা-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ মালিকবৃন্দের আয়োজিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাবেক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে জেলা বাসা মালিক সমিতি এবং জেলা লাক্সারি মিনিবাস মালিক সমিতি নামে দুটি পৃথক সমিতি শ্রম মন্ত্রনালয়ের রেজিষ্ট্রেশন করে বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। এরপর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা দলীয় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে দুটি সমিতি একত্র করে মহাসচিব নামক একটি পদ সৃষ্টি করে শুধুমাত্র চাঁদাবাজি এবং লুটপাটের উদ্দেশ্যে দুটি সমিতিকে একত্রিকরন করা হয়। যা অদ্যাবদি পর্যন্ত চলমান আছে।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পাঁতানো একটি সাধারণ সভা ডাকা হয়। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভায় সকল মালিকগন হাত তুলে সম্মতি দিলে অথবা নির্বাচনের পক্ষে তুলে সম্মতি দিলে সেটাই কার্যকর হয়। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মালিকদেরকে হাত তুলতে বললে কোন মালিকগন হাত তুলে সম্মতি জ্ঞাপন করেনি। এরপরও সকল নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে মালিক সমিতি তিন বছরের নামে অবৈধ কমিটি ঘোষনা করা হয়। যা অদ্যাবধি পর্যন্ত বহাল আছে। বর্তমান মালিক সমিতি রেজিস্ট্রেশন বিহীব ভাবে চলছে।

তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতির মহাসচিব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি নিজে ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে গুলি বর্ষণ এবং দুটি ধর্ষন মামলাসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামী। বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগতরা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির পরিচালনা করছেন। এ নিয়ে সাধারণ মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন ভাবে উত্তোলনকৃত টাকা থেকে সাধারণ মালিকগন একাশি লক্ষ পাওনা আছে বলে জানান। সমিতির শুরু থেকে কোন মালিক মৃত্যুবরণ করলে তাকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মালিকদের সস্তানদের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলে সেটাও কাউকে দেওয়া হয়নি। এছাড়া নামে বেনামে ভূয়া বিল ভাউচার করে কোটি কোটি আত্নসাৎ করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ জাদিদুল হক, নিলুফার ইয়াসমিন খান, নজরুল ইসলাম খান, ছানোয়ার হোসেন ছানা, শহিদুর রহমান, রুমি ভূইঁয়াসহ ১০০ জন মালিক উপস্থিত ছিলেন।

 

এম.কন্ঠ/ ১০ অক্টোবর /এম.টি