ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
নাগরপুরে উপজেলা প্রশাসন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন টাঙ্গাইল মাতালেন নগর বাউল জেমস টাঙ্গাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭ আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আগেই লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিলাম…আহমেদ আযম খান টাঙ্গাইলে ঈদুল আযহা উদযাপনে প্রস্তুতি সভা বাসাইলে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাঁধা বাসাইলের সেই লাঙ্গুলিয়া নদী রক্ষায় এগিয়ে এলেন ইউএনও ঘাটাইলে অটোরিক্সার ধাক্কায় শিশু শিক্ষার্থী নিহত টাঙ্গাইলে টর্ণেডোর ভয়াবহ ছোঁবলের ২৯তম বার্ষিকী, শোক ও আতঙ্কের দিন টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস বয়কট করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

টাঙ্গাইলের সফল ক্রিকেটার ইসলাম খান

ক্রীড়া প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২:৪০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ক্রিকেট মাঠের সফল ক্রিকেটার ইসলাম খান একজন অবহেলিত ক্রিকেট কোচ! দক্ষতা একনিষ্ঠ পরিশ্রমী ক্রিকেট জীবনে ক্রিকেটকে ভালবেসেছেন। ছোটবেলায় নবম শ্রেনীতে পড়া সময় ১৯৯২ সালে প্রথম ক্রিকেট খেলায় হাতে খড়ি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ মন্টু ও আলতাফ হোসেনের অনুপ্রেরনাই ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহী সৃষ্টি হয়। সেই শুরু প্রথমে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রিকেট খেলা তারপর ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ক্রিকেট শেখার কারিগর ক্রিকেট কোচ।

পড়াশোনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স কমপ্লিট। তবে সরকারী কিংবা বেসরকারী চাকরী চেষ্টা করেননি। বাবার আবাসিক হোটেল ব্যবসা আর ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকছেন। তিনি একটানা ২০ বছর ঢাকা ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহন করে। মাঠের দক্ষ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইসলাম খান খেলা থেকে অবসরের পর ২০১২ সালে এপ্রিল মাসে কোচ লেভেল এ প্রশিক্ষণ এবং ২০১২ সালে জুন মাসে লেভেল ওয়ান প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে। শুরুতে সর্বশেষ যে ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন সেই ঢাকা প্রথম বিভাগের উত্তরা স্পোটিং ক্লাবের কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ উত্তরা স্পোটিং ক্লাব এবং ২০১৭ সালে ওয়ারী ক্লাবের ক্রিকেট কোচ ছিলেন।

পিতার মৃত্যুর পর চলে আসেন নিজ এলাকায় টাঙ্গাইলে। শিশু কিশোরদের হাতে ধরে ক্রিকেট শেখানোর জন্য টাঙ্গাইল টাইগার্স ক্রিকেট একাডেমী নামে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শুরু করেন। সেই শুরু, আজ অবদী ক্রিকেট নিয়ে পড়ে আছেন। দক্ষ ক্রিকেট কোচ হওয়া স্বত্তেও নিজ এলাকায় তিনি মূল্যায়ন পাননি। হতে পারেনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিয়োজিত ক্রিকেট কোচ। তিনি বলেন, সবারই চাওয়া থাকে একবার অন্তত জেলা ক্রিকেট দলের কোচ হওয়া। আমারও আশা। জেলা কোচ হিসেবে যদি কখনও দায়িত্ব পাই, তবে টাঙ্গাইল ক্রিকেট উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। জেলা ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার সুযোগ না আসে, তবে আমার টাইগার্স ক্রিকেট একাডমীর মাধ্যমেই দক্ষ ক্রিকেটার গড়ে তোলার চেষ্টা করবো”।

টাইগার্স ক্রিকেট একাডেমীতে টাঙ্গাইলের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী চাকরীজীবি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর সন্তানরা ছাড়াও দরিদ্র শ্রেনীর ছেলেমেয়েদের ক্রিকেটে দীক্ষা দিয়ে থাকেন। ইসলাম খানের ক্রিকেট কোচিং দক্ষতাকে মূল্যায়ন করেছেন টাঙ্গাইলের কুমদিনী সরকারী মহিলা কলেজ ক্রিকেট দল। তার কোচিংয়ে কুমদিনি কলেজ ঢাকা ডিভিশনের ক্রিকেট খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়। তার কোচিং দক্ষতায় মোটামুটি মানের খেলোয়াড় নিয়ে টাঙ্গাইল প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের স্বদেশী ক্লাব দু’বার চ্যাম্পিয়ন ও সর্বশেষ লীগে রানার্সআপ হয়। টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস স্কুলও তার কোচিংয়ে রানার্সআপ হয়। তার টাইগার্স ক্রিকেট একাডেমী দক্ষ প্রশিক্ষণে মিজান, রিফাত আল জাবি ও আবিদের মতো খেলোয়াড় বিকেএসপিতে ভর্তি সুযোগ হয়েছে। তারই প্রশিক্ষণে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে সুনামের সাথে তারেক, কামরুল, পাপ্পু, প্রীতমরা খেলছে।

ইসলাম খান ১৯৯২ সালে ক্রিকেট খেলায় যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে বিকেএসপির তত্বাবধানে প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচীতে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেট রাজিন সালেহ, হান্নান সরকার, এনামুল জুনিয়র, তাপস বৈশ্য ও অলোক কাপালীদের সাথে এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।

১৯৯৩ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট দল স্পেট ঈগল ক্লাবে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু। ওখান দুই বছর খেলার পর ১৯৯৫ সালে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট ক্লাব খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতি, ১৯৯৬ ও ৯৭ সালে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে দ্ইু বছর, ১৯৯৮ সালে ঢাকা সিটি ক্লাবে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে উঠেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত আবার খেলাঘর সমাজ কল্যাণ ক্লাবে, ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ ঢাকার প্রথম বিভাগের অফিস দল অগ্রনী ব্যাংকে খেলেন। এর মধ্যে ২০০৪ সালে প্রথম বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০০৫ সালে প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত উত্তরা স্পোর্টি ক্লাবে একটানা ৫ বছর। এই ক্লাবে ৩ বছর অধিনায়কত্ব করেন। ২০১১ ও ১২ সালে আবার অগ্রনী ব্যাংকে দুই বছর, ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত থেকে উত্তরা স্পোটিং ক্লাবের কোচ কাম প্লেয়ার হিসেবে খেলেন এবং ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহন করেন।

থানাপাড়ার ইবাদত খানের সেজ ছেলে ইসলাম খান স্থানীয় ক্রিকেট ব্যাটসম্যান হিসেবে একজন সফল ক্রিকেটার। তিনি তার এলাকার প্রগতিশীল স্বদেশী সংঘ হয়ে যাত্রা শুরু করেন। মুসলিম রেনেসাঁ, ইলেভেন স্টার, থানাপাড়া, ইয়ং স্টার ও ইষ্টার্ন স্পোটিং ক্লাবে খেলেছেন। তিনি ৭ বার চ্যাম্পিয়ন দলের গর্বিত সদস্য হন। ব্যাটসম্যান হিসেবে কয়েকবার স্থানীয় ক্রিকেট লীগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে পুরষ্কার অর্জন করেন।

তিনি খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলতে পারেননি। আক্ষেপ পূরণ করতে চান তার প্রশিক্ষণে তৈরী করা খেলোয়াড়দের দ্বারা। তার টাঙ্গাইল টাইগার্রস ক্রিকেট একাডেমীতে বর্তমানে ১২০ জন ছাত্রছাত্রী আছে। তার প্রশিক্ষণে গড়া টাঙ্গাইলের একজন ক্রিকেটার যেদিন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট খেলবেন, সেই দিন তার অপূর্ন স্বপ্নের অবসান হবে।

 

এম.কন্ঠ/ ৩০ সেপ্টেম্বর /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলের সফল ক্রিকেটার ইসলাম খান

প্রকাশ: ০২:৪০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ক্রিকেট মাঠের সফল ক্রিকেটার ইসলাম খান একজন অবহেলিত ক্রিকেট কোচ! দক্ষতা একনিষ্ঠ পরিশ্রমী ক্রিকেট জীবনে ক্রিকেটকে ভালবেসেছেন। ছোটবেলায় নবম শ্রেনীতে পড়া সময় ১৯৯২ সালে প্রথম ক্রিকেট খেলায় হাতে খড়ি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ মন্টু ও আলতাফ হোসেনের অনুপ্রেরনাই ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহী সৃষ্টি হয়। সেই শুরু প্রথমে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রিকেট খেলা তারপর ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ক্রিকেট শেখার কারিগর ক্রিকেট কোচ।

পড়াশোনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স কমপ্লিট। তবে সরকারী কিংবা বেসরকারী চাকরী চেষ্টা করেননি। বাবার আবাসিক হোটেল ব্যবসা আর ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকছেন। তিনি একটানা ২০ বছর ঢাকা ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহন করে। মাঠের দক্ষ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইসলাম খান খেলা থেকে অবসরের পর ২০১২ সালে এপ্রিল মাসে কোচ লেভেল এ প্রশিক্ষণ এবং ২০১২ সালে জুন মাসে লেভেল ওয়ান প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে। শুরুতে সর্বশেষ যে ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন সেই ঢাকা প্রথম বিভাগের উত্তরা স্পোটিং ক্লাবের কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ উত্তরা স্পোটিং ক্লাব এবং ২০১৭ সালে ওয়ারী ক্লাবের ক্রিকেট কোচ ছিলেন।

পিতার মৃত্যুর পর চলে আসেন নিজ এলাকায় টাঙ্গাইলে। শিশু কিশোরদের হাতে ধরে ক্রিকেট শেখানোর জন্য টাঙ্গাইল টাইগার্স ক্রিকেট একাডেমী নামে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শুরু করেন। সেই শুরু, আজ অবদী ক্রিকেট নিয়ে পড়ে আছেন। দক্ষ ক্রিকেট কোচ হওয়া স্বত্তেও নিজ এলাকায় তিনি মূল্যায়ন পাননি। হতে পারেনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিয়োজিত ক্রিকেট কোচ। তিনি বলেন, সবারই চাওয়া থাকে একবার অন্তত জেলা ক্রিকেট দলের কোচ হওয়া। আমারও আশা। জেলা কোচ হিসেবে যদি কখনও দায়িত্ব পাই, তবে টাঙ্গাইল ক্রিকেট উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। জেলা ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার সুযোগ না আসে, তবে আমার টাইগার্স ক্রিকেট একাডমীর মাধ্যমেই দক্ষ ক্রিকেটার গড়ে তোলার চেষ্টা করবো”।

টাইগার্স ক্রিকেট একাডেমীতে টাঙ্গাইলের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারী চাকরীজীবি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর সন্তানরা ছাড়াও দরিদ্র শ্রেনীর ছেলেমেয়েদের ক্রিকেটে দীক্ষা দিয়ে থাকেন। ইসলাম খানের ক্রিকেট কোচিং দক্ষতাকে মূল্যায়ন করেছেন টাঙ্গাইলের কুমদিনী সরকারী মহিলা কলেজ ক্রিকেট দল। তার কোচিংয়ে কুমদিনি কলেজ ঢাকা ডিভিশনের ক্রিকেট খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়। তার কোচিং দক্ষতায় মোটামুটি মানের খেলোয়াড় নিয়ে টাঙ্গাইল প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের স্বদেশী ক্লাব দু’বার চ্যাম্পিয়ন ও সর্বশেষ লীগে রানার্সআপ হয়। টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস স্কুলও তার কোচিংয়ে রানার্সআপ হয়। তার টাইগার্স ক্রিকেট একাডেমী দক্ষ প্রশিক্ষণে মিজান, রিফাত আল জাবি ও আবিদের মতো খেলোয়াড় বিকেএসপিতে ভর্তি সুযোগ হয়েছে। তারই প্রশিক্ষণে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে সুনামের সাথে তারেক, কামরুল, পাপ্পু, প্রীতমরা খেলছে।

ইসলাম খান ১৯৯২ সালে ক্রিকেট খেলায় যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে বিকেএসপির তত্বাবধানে প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচীতে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেট রাজিন সালেহ, হান্নান সরকার, এনামুল জুনিয়র, তাপস বৈশ্য ও অলোক কাপালীদের সাথে এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।

১৯৯৩ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট দল স্পেট ঈগল ক্লাবে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু। ওখান দুই বছর খেলার পর ১৯৯৫ সালে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট ক্লাব খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতি, ১৯৯৬ ও ৯৭ সালে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে দ্ইু বছর, ১৯৯৮ সালে ঢাকা সিটি ক্লাবে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে উঠেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত আবার খেলাঘর সমাজ কল্যাণ ক্লাবে, ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ ঢাকার প্রথম বিভাগের অফিস দল অগ্রনী ব্যাংকে খেলেন। এর মধ্যে ২০০৪ সালে প্রথম বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০০৫ সালে প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত উত্তরা স্পোর্টি ক্লাবে একটানা ৫ বছর। এই ক্লাবে ৩ বছর অধিনায়কত্ব করেন। ২০১১ ও ১২ সালে আবার অগ্রনী ব্যাংকে দুই বছর, ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত থেকে উত্তরা স্পোটিং ক্লাবের কোচ কাম প্লেয়ার হিসেবে খেলেন এবং ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহন করেন।

থানাপাড়ার ইবাদত খানের সেজ ছেলে ইসলাম খান স্থানীয় ক্রিকেট ব্যাটসম্যান হিসেবে একজন সফল ক্রিকেটার। তিনি তার এলাকার প্রগতিশীল স্বদেশী সংঘ হয়ে যাত্রা শুরু করেন। মুসলিম রেনেসাঁ, ইলেভেন স্টার, থানাপাড়া, ইয়ং স্টার ও ইষ্টার্ন স্পোটিং ক্লাবে খেলেছেন। তিনি ৭ বার চ্যাম্পিয়ন দলের গর্বিত সদস্য হন। ব্যাটসম্যান হিসেবে কয়েকবার স্থানীয় ক্রিকেট লীগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে পুরষ্কার অর্জন করেন।

তিনি খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলতে পারেননি। আক্ষেপ পূরণ করতে চান তার প্রশিক্ষণে তৈরী করা খেলোয়াড়দের দ্বারা। তার টাঙ্গাইল টাইগার্রস ক্রিকেট একাডেমীতে বর্তমানে ১২০ জন ছাত্রছাত্রী আছে। তার প্রশিক্ষণে গড়া টাঙ্গাইলের একজন ক্রিকেটার যেদিন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট খেলবেন, সেই দিন তার অপূর্ন স্বপ্নের অবসান হবে।

 

এম.কন্ঠ/ ৩০ সেপ্টেম্বর /এম.টি