ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
টাঙ্গাইলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বাপ-দাদার স্বপ্নপূরণ, ডা. নাজমুল গরীব মানুষের সেবা করতে চান কালিহাতীর ঝিনাই নদীতে দুই নৌকা সংঘর্ষে নিহত এক ভূঞাপুরের গাবসারায় বাৎসরিক ওরশ শরিফ ঘাটাইলে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক কালিহাতীতে অটোরিক্সাকে বাসের ধাক্কা, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩ টাঙ্গাইলে শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে আ’লীগ নেতা বড়মনি, সমিতির নির্বাচন চায় মালিকপক্ষ বাসাইলে সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন, ১২শ’ রোগী পেল ঔষধ ও চিকিৎসাসেবা দেলদুয়ারে মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় স্কুলের নৈশ প্রহরীকে মারধর, ভাঙচুর টাঙ্গাইলে বাস মালিক সমিতির অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি,পরিবহণ সেক্টরকে দলীয় করণের প্রতিবাদ

দেলদুয়ারে বাবাকে হত্যার পর লাশ উল্টো করে টয়লেটের কুয়োয় রাখলো ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ১২:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার পর লাশ উল্টো করে টয়লেটের কুয়োয় রাখলো ছেলে।  সোমবার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামে এই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলশ। নিহত শামসুল মিয়া (৭৫) পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন।

এর আগে গত শুক্রবার রাত থেকে শামসুল আলম নিখোঁজ ছিল। একই সাথে একমাত্র ছেলে সাত্তার মিয়াও (৪০) বাড়ি থেকে উধাও হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা সাত্তারকে ফোনে বাড়ি ডেকে এনে আটক করার পর তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে লাশটির সন্ধান মেলে।

নিহতে চাচাতো ভাই লেবু মিয়া জানান, আমার চাচা শামসুল মিয়া একজন বৃদ্ধ মানুষ। সে একজন দলিল লেখক ছিলেন। আমার চাচাকে শনিবার থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। একমাত্র চাচাতো ভাই সাত্তারও উধাও ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চাচাকে না পেয়ে আমরা সোমবার দেলদুয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে। রাতে সাত্তারের ফোনে খোলা পেয়ে আমরা সাত্তারকে বাড়ি আসতে বলি। রাতে বাড়ি আসলে স্থানীয়রা সাত্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিজেদের টয়লেটের কোয়ার ভেতরে উল্টো করে রাখা আমার চাচার লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে অভিযুক্ত সাত্তারকে আটকাবস্থায় দেলদুয়ার থানায় নিয়ে যান।

হত্যার অভিযুক্ত ছেলে সাত্তার মিয়া বলেন, আমার বাবা আমার পরিবারকে আলাদা করে দেয়। টাকা পয়সা দেন না। আমি ঠিকমতো সংসার চালাতে পারি না। শনিবার রাত ২টার সময় আমার ক্ষুধা লাগলে আমি আমার আব্বার ঘরে যাই। আমার আব্বা আমাকে জিজ্ঞেস করে ঘরে কেন এছেছিস? কথা প্রসঙ্গে তর্কাতর্কি হলে আমি আব্বার ওপরে উঠে বসি এবং হাত দিয়ে গলা চেপে ধরি। অনেক দস্তাদস্তির পর একটি উড়না দিয়ে গলায় বেধে ফেলি। মৃত্যু নিশ্চিত হলে টয়লেটের কুয়োর মধ্যে লাশটি রেখে আমি পালিয়ে যাই।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেব খান বলেন, আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞেসাবাদের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।

এম.কন্ঠ/ ২৪ সেপ্টেম্বর /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

দেলদুয়ারে বাবাকে হত্যার পর লাশ উল্টো করে টয়লেটের কুয়োয় রাখলো ছেলে

প্রকাশ: ১২:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার পর লাশ উল্টো করে টয়লেটের কুয়োয় রাখলো ছেলে।  সোমবার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের মঙ্গলহোড় গ্রামে এই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলশ। নিহত শামসুল মিয়া (৭৫) পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন।

এর আগে গত শুক্রবার রাত থেকে শামসুল আলম নিখোঁজ ছিল। একই সাথে একমাত্র ছেলে সাত্তার মিয়াও (৪০) বাড়ি থেকে উধাও হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা সাত্তারকে ফোনে বাড়ি ডেকে এনে আটক করার পর তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে লাশটির সন্ধান মেলে।

নিহতে চাচাতো ভাই লেবু মিয়া জানান, আমার চাচা শামসুল মিয়া একজন বৃদ্ধ মানুষ। সে একজন দলিল লেখক ছিলেন। আমার চাচাকে শনিবার থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। একমাত্র চাচাতো ভাই সাত্তারও উধাও ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চাচাকে না পেয়ে আমরা সোমবার দেলদুয়ার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে। রাতে সাত্তারের ফোনে খোলা পেয়ে আমরা সাত্তারকে বাড়ি আসতে বলি। রাতে বাড়ি আসলে স্থানীয়রা সাত্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিজেদের টয়লেটের কোয়ার ভেতরে উল্টো করে রাখা আমার চাচার লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে অভিযুক্ত সাত্তারকে আটকাবস্থায় দেলদুয়ার থানায় নিয়ে যান।

হত্যার অভিযুক্ত ছেলে সাত্তার মিয়া বলেন, আমার বাবা আমার পরিবারকে আলাদা করে দেয়। টাকা পয়সা দেন না। আমি ঠিকমতো সংসার চালাতে পারি না। শনিবার রাত ২টার সময় আমার ক্ষুধা লাগলে আমি আমার আব্বার ঘরে যাই। আমার আব্বা আমাকে জিজ্ঞেস করে ঘরে কেন এছেছিস? কথা প্রসঙ্গে তর্কাতর্কি হলে আমি আব্বার ওপরে উঠে বসি এবং হাত দিয়ে গলা চেপে ধরি। অনেক দস্তাদস্তির পর একটি উড়না দিয়ে গলায় বেধে ফেলি। মৃত্যু নিশ্চিত হলে টয়লেটের কুয়োর মধ্যে লাশটি রেখে আমি পালিয়ে যাই।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেব খান বলেন, আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সাত্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞেসাবাদের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।

এম.কন্ঠ/ ২৪ সেপ্টেম্বর /এম.টি