ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
টাঙ্গাইলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বাপ-দাদার স্বপ্নপূরণ, ডা. নাজমুল গরীব মানুষের সেবা করতে চান কালিহাতীর ঝিনাই নদীতে দুই নৌকা সংঘর্ষে নিহত এক ভূঞাপুরের গাবসারায় বাৎসরিক ওরশ শরিফ ঘাটাইলে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক কালিহাতীতে অটোরিক্সাকে বাসের ধাক্কা, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩ টাঙ্গাইলে শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে আ’লীগ নেতা বড়মনি, সমিতির নির্বাচন চায় মালিকপক্ষ বাসাইলে সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন, ১২শ’ রোগী পেল ঔষধ ও চিকিৎসাসেবা দেলদুয়ারে মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় স্কুলের নৈশ প্রহরীকে মারধর, ভাঙচুর টাঙ্গাইলে বাস মালিক সমিতির অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি,পরিবহণ সেক্টরকে দলীয় করণের প্রতিবাদ

আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০১:৫১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা হুগড়া ইউনিয়নের আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৮ আগষ্ট বুধবার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন যাবৎ আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের রেজাল্ট থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সুনামের সাথে চলছিল কিন্তুু বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ যোগদান করার পর থেকেই এই বিদ্যালয়ের দূর্নীতি শুরু হয়।

আজাদ স্যার তার নিয়োগ এই স্কুলে নেয় ১৫ লক্ষ টাকার মাধ্যমে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ বানিজ্য করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এই শিক্ষক। তার দুর্নীতিতে সহায়তা করেছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি। বিগত কয়েক বছর হতে এই বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে ১২ লক্ষ টাকা, পিয়ন পদে দুইজন ১২ লক্ষ টাকা, নৈশ্য প্রহরী পদে ৫ লক্ষ টাকা, আয়া পদে ৩ লক্ষ টাকা, ল্যাব সহকারী পদে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে।

গত ৮ বছরে বিদ্যালয়ের সেশন চার্জের টাকা, পরীক্ষার ফ্রি, বেতন বাবদ তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা আদায় হয়। আদায়কৃত টাকার ৪০% সাধারণ তহবিলে জমা হয়। বাদ বাকী টাকা হাতে রেখে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতির সহয়তায় প্রধান শিক্ষক ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে। সাধারণ তহবিল হতে পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতির সহায়তায় প্রধান শিক্ষক রেজিষ্ট্রার ব্যবস্থাপনার নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই টাকা উত্তোলন করেছেন। অতীতে সরকারী উপবৃত্তি যথাযথভাবে প্রদান করা হয়নি। টিউশন ফি, জরিমান আদায় ও সার্টিফিকেট বাবদ টাকা সাধারণ তহবিলে জমা হয় না।

তিনি অতীতে বাবদ অতিরিক্ত টাকাসহ বিদ্যালয়ের ভবনের গাইড ওয়াল নির্মাণ প্রকল্প থেকে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে না। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁ গেছে। তাই আমাদের এলাকাবাসীর দাবী এই প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে প্রত্যাহার করে বিদ্যালয়কে রক্ষা করতে হবে। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান মিয়া বলেন, সারা জেলায় একই অবস্থা, আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

এম.কন্ঠ/ ০৭  সেপ্টেম্বর /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ: ০১:৫১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা হুগড়া ইউনিয়নের আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৮ আগষ্ট বুধবার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে এলাকাবাসী।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন যাবৎ আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের রেজাল্ট থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সুনামের সাথে চলছিল কিন্তুু বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ যোগদান করার পর থেকেই এই বিদ্যালয়ের দূর্নীতি শুরু হয়।

আজাদ স্যার তার নিয়োগ এই স্কুলে নেয় ১৫ লক্ষ টাকার মাধ্যমে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ বানিজ্য করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এই শিক্ষক। তার দুর্নীতিতে সহায়তা করেছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি। বিগত কয়েক বছর হতে এই বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে ১২ লক্ষ টাকা, পিয়ন পদে দুইজন ১২ লক্ষ টাকা, নৈশ্য প্রহরী পদে ৫ লক্ষ টাকা, আয়া পদে ৩ লক্ষ টাকা, ল্যাব সহকারী পদে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে।

গত ৮ বছরে বিদ্যালয়ের সেশন চার্জের টাকা, পরীক্ষার ফ্রি, বেতন বাবদ তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা আদায় হয়। আদায়কৃত টাকার ৪০% সাধারণ তহবিলে জমা হয়। বাদ বাকী টাকা হাতে রেখে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতির সহয়তায় প্রধান শিক্ষক ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে। সাধারণ তহবিল হতে পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতির সহায়তায় প্রধান শিক্ষক রেজিষ্ট্রার ব্যবস্থাপনার নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই টাকা উত্তোলন করেছেন। অতীতে সরকারী উপবৃত্তি যথাযথভাবে প্রদান করা হয়নি। টিউশন ফি, জরিমান আদায় ও সার্টিফিকেট বাবদ টাকা সাধারণ তহবিলে জমা হয় না।

তিনি অতীতে বাবদ অতিরিক্ত টাকাসহ বিদ্যালয়ের ভবনের গাইড ওয়াল নির্মাণ প্রকল্প থেকে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে না। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁ গেছে। তাই আমাদের এলাকাবাসীর দাবী এই প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে প্রত্যাহার করে বিদ্যালয়কে রক্ষা করতে হবে। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান মিয়া বলেন, সারা জেলায় একই অবস্থা, আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

এম.কন্ঠ/ ০৭  সেপ্টেম্বর /এম.টি