ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না…আহমেদ আযম খান আ.লীগ রাতে কাল নাগিনী হয়ে ছোঁবল মারতো আবার দিনের আলোতে ওঝা হয়ে ঝাড়তো…আল্লামা মামুনুল হক টাঙ্গাইলে নবাগত জেলা প্রশাসক শরীফা হকের যোগদান টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ কালিহাতীতে রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার ঘাটাইলে কিশোরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে ‘একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়’ বই নিয়ে পাঠচক্র আমরা এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি, অন্য ফ্যাসিস্টকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নয়..সারজিস আলম স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালালেও তার পেতাত্মারা আনাচে কানাচে ঘুরছে..তারেক রহমান টাঙ্গাইলে ইসলামী আন্দোলনের গণ-সমাবেশ

টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক কর্মসূচি পালনে শহরে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০৩:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

সড়কে পুলিশ নেই। নেই ট্রাফিক পুলিশও। যান চলাচলে নির্দেশনা দেবে কে ? এমন সময় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছে শিক্ষার্থীরা। হাতে অস্ত্র নেই। মোড়ে মোড়ে নেই সিগনাল বাতি। অথচ ছোট্ট ছোট্ট শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় চলছে শহরের যানবাহন। এতেও নেই কোন যানজট।

বুধবার সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরের এমন চিত্র নজর কেড়েছে। অল্প সময়ে সুনাম কুড়িয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশ যে নিয়মগুলো যানবাহন চালকদের মানাতে পারেনি নিমিশেই সেগুলো করে দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

অতিরিক্ত অটোরিকশায় টাঙ্গাইল শহরের যানজট লেগেই থাকতো। যানজট নিরশনে ট্রাফিক পুলিশদের প্রায়ই হিমশিম খেতে হতো। অথচ অল্প সময়ে যানজট নিরসন করেছে শিক্ষার্থীরা। শহরের দুই লেনের রাস্তায় প্রায়ই দেখা যেতো যানবাহন তিন-চার লেনে চলাচলের চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সড়কের যানবাহনগুলো দুই লেনে ফিরে এসেছে।

শিক্ষার্থীরা প্রতিটি মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে যান চলাচলে নানা ধরণের নির্দেশনা দিচ্ছে। একটি দল ঘুরে ঘুরে শিক্ষাথীদের ওপর নজরদারি রাখছে। যানবাহন বামে চলতে ও দুই লেনে ফিরে আসতে আরেকটি দল নির্দেশনা দিতে ছোট মাইক ব্যবহার করছে। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের দাঁড়া করিয়ে ঝুঁিকগুলো সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে। পরামর্শ শুনে কেউ কেউ তাৎক্ষনিক হেলমেট কিনছে। যাহনবাহনের কাগজপত্র দেখতে গাড়িকে থামিয়ে রাখছে না। মামলার ভয় নেই। প্রতিটি মোড়ে সর্বোচ্চ এক মিনিট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। পথচারীদের রাস্তা পারাপার করতে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীরা। এমন শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক পুলিশদের কাজে দায়িত্ব পালন করায় চালকরা খুশি। খুশি যাত্রীরাও।

একাধিক চালক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ নানা সময় গাড়ির কাগজপত্র দেখতে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে রাখে। ফলে নিমিশেই যানজট সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখার নামে কোন গাড়ি থামিয়ে রাখছে না, দুই লেনে যানবাহন চলাচল করছে । ফলে যানজট নিরসন হচ্ছে।

যাত্রীরা বলছেন, অনেকদিন পর বুধবার শহরে চলাচল করে ভালো লাগছে। ফুটপাথগুলো মুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সড়কগুলো পরিচ্ছন্ন করেছে। অহরহ যাত্রী নামানোর বিড়ম্বনা নেই। যাত্রীর জন্য কোথাও কোন অটোরিকশা থেমে থাকছে না। এতে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি। শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ট্রাফিক পুলিশসহ আমাদের সবাইকে নিয়ম কানুন শেখা উচিৎ।

 

এম.কন্ঠ/ ০৭ অগাস্ট  /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক কর্মসূচি পালনে শহরে স্বস্তি

প্রকাশ: ০৩:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

সড়কে পুলিশ নেই। নেই ট্রাফিক পুলিশও। যান চলাচলে নির্দেশনা দেবে কে ? এমন সময় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছে শিক্ষার্থীরা। হাতে অস্ত্র নেই। মোড়ে মোড়ে নেই সিগনাল বাতি। অথচ ছোট্ট ছোট্ট শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় চলছে শহরের যানবাহন। এতেও নেই কোন যানজট।

বুধবার সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরের এমন চিত্র নজর কেড়েছে। অল্প সময়ে সুনাম কুড়িয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশ যে নিয়মগুলো যানবাহন চালকদের মানাতে পারেনি নিমিশেই সেগুলো করে দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

অতিরিক্ত অটোরিকশায় টাঙ্গাইল শহরের যানজট লেগেই থাকতো। যানজট নিরশনে ট্রাফিক পুলিশদের প্রায়ই হিমশিম খেতে হতো। অথচ অল্প সময়ে যানজট নিরসন করেছে শিক্ষার্থীরা। শহরের দুই লেনের রাস্তায় প্রায়ই দেখা যেতো যানবাহন তিন-চার লেনে চলাচলের চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় সড়কের যানবাহনগুলো দুই লেনে ফিরে এসেছে।

শিক্ষার্থীরা প্রতিটি মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে যান চলাচলে নানা ধরণের নির্দেশনা দিচ্ছে। একটি দল ঘুরে ঘুরে শিক্ষাথীদের ওপর নজরদারি রাখছে। যানবাহন বামে চলতে ও দুই লেনে ফিরে আসতে আরেকটি দল নির্দেশনা দিতে ছোট মাইক ব্যবহার করছে। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের দাঁড়া করিয়ে ঝুঁিকগুলো সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে। পরামর্শ শুনে কেউ কেউ তাৎক্ষনিক হেলমেট কিনছে। যাহনবাহনের কাগজপত্র দেখতে গাড়িকে থামিয়ে রাখছে না। মামলার ভয় নেই। প্রতিটি মোড়ে সর্বোচ্চ এক মিনিট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। পথচারীদের রাস্তা পারাপার করতে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীরা। এমন শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক পুলিশদের কাজে দায়িত্ব পালন করায় চালকরা খুশি। খুশি যাত্রীরাও।

একাধিক চালক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ নানা সময় গাড়ির কাগজপত্র দেখতে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে রাখে। ফলে নিমিশেই যানজট সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখার নামে কোন গাড়ি থামিয়ে রাখছে না, দুই লেনে যানবাহন চলাচল করছে । ফলে যানজট নিরসন হচ্ছে।

যাত্রীরা বলছেন, অনেকদিন পর বুধবার শহরে চলাচল করে ভালো লাগছে। ফুটপাথগুলো মুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সড়কগুলো পরিচ্ছন্ন করেছে। অহরহ যাত্রী নামানোর বিড়ম্বনা নেই। যাত্রীর জন্য কোথাও কোন অটোরিকশা থেমে থাকছে না। এতে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি। শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ট্রাফিক পুলিশসহ আমাদের সবাইকে নিয়ম কানুন শেখা উচিৎ।

 

এম.কন্ঠ/ ০৭ অগাস্ট  /এম.টি