ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
বাসাইলে হেলমেট ও লাইসেন্স না থাকায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা বাসাইলে প্রবাসবন্ধু ফোরামের আলোচনা সভা ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন শীর্ষক শিক্ষকদের কর্মশালা বাসাইলে প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার ঘাটাইলে মাটি কাটার দায়ে দুই জনকে কারাদন্ড টাঙ্গাইলে কৃষক হত্যায় মা মেয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড টাঙ্গাইলে আ.লীগের পক্ষে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, গ্রেফতার ১১ টাঙ্গাইলে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পার্টনার কংগ্রেস ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বাসাইলে অবস্থান কর্মসূচী

সাবেক এমপির ছবি ময়লার স্তূপে

মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামফলক ভাঙ্গায় চাপা ক্ষোভ নেতাকর্মীদের মাঝে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২:২১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইলের সখীপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) ছবি ময়লার স্তূপে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার নামে নির্মাণ করা সড়কের নাম ফলক ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা গেছে।

নেতা কর্মীরা জানান, সম্প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। গত শনিবার বিকেলে ওই কার্যালয়ের পেছনের ময়লার স্তূপে সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলামের টাঙানো ছবি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটছে খুবই দুঃখজনক। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।


তিনি বলেন, মহান্দপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামফলক ভেঙেছে। এছাড়াও সখীপুরে তো স্থায়ী দলীয় কোনো কার্যালয় ছিল না। সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের একক প্রচেষ্টায় স্থায়ীভাবে একটি দলীয় কার্যালয়ের ভবন নির্মাণ হয়েছে। সেখানে তার ছবি থাকবে না, ছবি কী দোষ করেছে? এমন হতে পারে না।

এদিকে সখীপুর-ধলাপাড়া সড়কের সুরীরচালা হতে সুরীরচালা আবদুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন সিদ্দিকীর নাম সংবলিত সড়কটির ফলকও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মওলানা রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, আমার নামে সড়কের নামফলক ভেঙ্গে ও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এতে আমাকে, মুক্তিযোদ্ধাদের ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামকে অসম্মান করা হয়েছে। এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করছি।

সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, আমি কষ্ট করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এই স্থায়ী কার্যালয় ভবনটি নির্মাণ করেছি। তারা কার্যালয়টির তালাও ভেঙে ফেলেছে। অফিসে টাঙানো ছবি তো কোনো দোষ করেনি। যারা আমার ছবি ময়লার স্তূপে ফেলেছে, এক দিন তাদের ছবিও অন্যরা ফেলবে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, ঘটনাটি দুঃখ জনক। আমি একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে বর্ধিত সভা শেষে ওই কার্যালয়ে গিয়ে চাবি না পেয়ে সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তালা ভাঙার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

 

এম.কন্ঠ/ ২১ এপ্রিল/এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক এমপির ছবি ময়লার স্তূপে

মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামফলক ভাঙ্গায় চাপা ক্ষোভ নেতাকর্মীদের মাঝে

প্রকাশ: ০২:২১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইলের সখীপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) ছবি ময়লার স্তূপে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার নামে নির্মাণ করা সড়কের নাম ফলক ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা গেছে।

নেতা কর্মীরা জানান, সম্প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। গত শনিবার বিকেলে ওই কার্যালয়ের পেছনের ময়লার স্তূপে সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলামের টাঙানো ছবি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম আতিকুর রহমান আতোয়ার বলেন, সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটছে খুবই দুঃখজনক। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।


তিনি বলেন, মহান্দপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামফলক ভেঙেছে। এছাড়াও সখীপুরে তো স্থায়ী দলীয় কোনো কার্যালয় ছিল না। সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের একক প্রচেষ্টায় স্থায়ীভাবে একটি দলীয় কার্যালয়ের ভবন নির্মাণ হয়েছে। সেখানে তার ছবি থাকবে না, ছবি কী দোষ করেছে? এমন হতে পারে না।

এদিকে সখীপুর-ধলাপাড়া সড়কের সুরীরচালা হতে সুরীরচালা আবদুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন সিদ্দিকীর নাম সংবলিত সড়কটির ফলকও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মওলানা রুহুল আমীন সিদ্দিকী বলেন, আমার নামে সড়কের নামফলক ভেঙ্গে ও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এতে আমাকে, মুক্তিযোদ্ধাদের ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামকে অসম্মান করা হয়েছে। এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করছি।

সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, আমি কষ্ট করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এই স্থায়ী কার্যালয় ভবনটি নির্মাণ করেছি। তারা কার্যালয়টির তালাও ভেঙে ফেলেছে। অফিসে টাঙানো ছবি তো কোনো দোষ করেনি। যারা আমার ছবি ময়লার স্তূপে ফেলেছে, এক দিন তাদের ছবিও অন্যরা ফেলবে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, ঘটনাটি দুঃখ জনক। আমি একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে বর্ধিত সভা শেষে ওই কার্যালয়ে গিয়ে চাবি না পেয়ে সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তালা ভাঙার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

 

এম.কন্ঠ/ ২১ এপ্রিল/এম.টি