খেলাধূলায় বয়সচুরি ভবিষ্যতের জন্য কুয়া খুঁড়ে রাখা
“খেলাধুলায় বয়সচুরি ভবিষ্যতের জন্য কুয়া খুঁেড় রাখা” ফিচারটি লেখা শুরু করি। তখন অনেক ক্রীড়ামোদী মানুষ আমাকে বলে“ লিখে কি লাভ? অনেককাল থেকেই খেলাধুলায় এই বয়সচুরি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চুরি হয়ে আসছে” কারো প্রতিবাদে কিছু হয়নি, থেমে যায়নি সারা বাংলাদেশে খেলাধুলায় দুনীর্তি! এভাবেই চলছে ক্রীড়াঙ্গন, এভাবেই চলছে খেলাধূলা। তাই বলে এখনও সময় হয়নি কিছু বলার? দেশ বদলাই, নিজেকে বদলাই, দেশ গড়ি শ্লোগানে মুখরিত সারাদেশ। তাহলে ক্রীড়াঙ্গনে দূর্র্নীতি দূর হবে না কেন? কেন মিথ্যে সান্তনা“ দেশ বদলাই, নিজেকে বদলাই, সুন্দর দেশ গড়ি?” আমি কিন্তু শ্লোগানে বিশ্বাসী হয়ে খেলাধূলায় দূনীর্তি, বয়সচুরি তুলে ধরবো। জানি এ লেখায় হয়তো হবে না কোন সুন্দর, তবু লিখে যাওয়া।
টাঙ্গাইলের ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলায় বয়সচুরি অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক জেলার মতো এরকম বিস্তর অভিযোগে টাঙ্গাইলের ক্রীড়াঙ্গন জড়িত। তৃনমূল পর্যায়ে প্রতিভা সম্পন্ন খেলোয়াড় খুুঁজে বের করার প্রথম ধাপটি এখন শিরোপা অর্জনেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।
কোটি টাকা খরচ করে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের এই টুর্নামেন্ট গুলো বয়সচুরির সিন্ডিগেটে আটকা। অভিযোগ, তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভাবান খেলোয়াড় সংগ্রহ বাদ রেখে যারা খেলতে পারে, যারা মাঠে নিয়মিত খেলছে, তাদের বয়স সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে তাদের নিয়ে খেলছে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা সংগ্রহ বড় কথা নয় টুর্নামেন্টে শিরোপা অর্জনই বড় কথা। শিরোপা অর্জনই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের আসল উদ্দেশ্য হয়ে যাচ্ছে। তখন পিছনের পড়ে থাকে টুর্নামেন্টের আসল মাল্টিপ্লান “তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা খোঁজা” ব্যর্থ।
বয়সচুরি মাধ্যমে শিরোপা অর্জন খেলাধূলায় ভবিষ্যতের জন্য কুয়া খুঁড়ে রাখা। বয়সভিত্তিক অনুর্দ্ধ-১২,১৪,১৬,১৮, ২১ এবং ২৩ পর্যায়ের খেলাধুলায় প্রায় টুর্নামেন্টে জন্মনিবন্ধন কিংবা বিকল্প পন্থায় বয়সচুরি হয়ে থাকে। বর্তমানে নিজের নামে নয় অন্যের জন্মনিবন্ধন কাগজে মাঠে নেমে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। অথচ যার জন্মনিবন্ধন কাগজ সে কিন্তু মাঠে নেই এবং সে খেলতে পারেনি। সে বাসায় বসে বাড়ীর কাজ করছে কিংবা লেখাপড়ার জন্য বিদ্যালয়ে অবস্থান করছে। একটি মজার উদাহরনঃ- ২০২৫ সালের শুরুতে বয়সভিত্তিক উপজেলা পর্যায়ে মহিলা ফুটবল খেলায় ঘাটাইল উপজেলা বনাম নাগরপুর উপজেলার খেলায় বয়সচুরি এবং অন্যজেলার খেলোয়াড় মাঠে নামানো নিয়ে বিস্তর অভিযোগে ঘাটাইল উপজেলার খেলোয়াড়দের যাচাই করার সময় টাঙ্গাইলে সাবেক ক্রীড়া কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন ছিলেন।
তিনি ঘাটাইলের একজন খেলোয়াড়কে তার জন্মনিবন্ধনের পাশে দেওয়া মোবাইল নাম্বার জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি মোবাইল নাম্বার বলতে ব্যর্থ হয়। তখন ক্রীড়া কর্মকর্তা ফর্মে দেওয়া ওই নাম্বারে ফোন করলে ওপাশ থেকে একজন পুরুষমানুষ ফোন ধরে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার মেয়ে কোথায়? ওপাশ জবাব আসে‘ আমার মেয়েতো বাসায়’ তখন ক্রীড়া কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন‘ তাহলে আপনার মেয়ের জন্মনিবন্ধনে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে মাঠে ফুটবল খেলছে কোন মেয়ে? এ প্রশ্নের জবাব পেলে বুঝতে বাকী থাকে না, জন্মনিবন্ধনের আড়ালে অন্য খেলা চলছে। যেটা শিরোপার জন্য অনেক দলের কর্মকর্তাই এই অন্যায় আশ্রয় নেয়।
আর খেলতে পারেনি সেই খেলোয়ার যার বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সঠিক বয়স। কারন মাঠে খেলার মতো কিংবা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো খেলোয়াড় সে তৈরী হতে পারেনি। বরং তাকে সঠিক বয়সে সঠিক টুর্নামেন্টে না রেখে তার পরিবর্তে বেশী বয়সের খেলোয়াড় মাঠে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে দলের নাম, জেলার নাম, বিভাগের নাম উজ্জল করার জন্য। যা আদ্যে ঠিক হচ্ছে না।
তৃণমূল পর্যায়ে খেলোয়াড়দের বয়সচুরির কারনে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। (১) যোগ্য প্রতিযোগীর সুযোগ হারানো বয়স চুরির কারনে প্রকৃত বয়সের খেলোয়াড়রা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কম বয়সী প্রতিদ্ব›দ্বীদের হারিয়ে দেয়, ফলে প্রকৃত প্রতিভা উঠে আসতে পারে না। (২) বয়স সঠিক না হলে প্রতিযোগিতার গুনগত মান নষ্ট হয়। (৩) দীর্ঘ মেয়াদে দুর্বল পারফরম্যান্স বয়স চুরি করা খেলোয়াড়রা উচ্চ স্তরের খেলায় জাতীয় বা আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে গেলে বয়স ও শারীরিক সক্ষমতার অসামঞ্জস্যেও কারণে দ্রæত পারফরম্যান্স হারায়।
ফলে আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়। (৪) নৈতিক অবক্ষয় একটি খেলোয়াড়, কোচ ও প্রশাসনের মধ্যে অনৈতিকতার সংস্কৃতি গড়ে তোলে। সততা ও ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। (৫)ক্রীড়া উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হওয়া যখন বয়সভিত্তিক আসরে প্রকৃত বয়সী প্রতিভারা সুযোগ পায় না, তখন ভবিষ্যতে দক্ষ খেলোয়াড়ের ঘাটতি দেখা দেয়। এটি দেশের সামগ্রিক ক্রীড়া উন্নয়নকে ধীর করে।(৬) আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ইভেন্টে বয়স যাচাইয়ে ধরা পড়লে খেলোয়াড়কে অযোগ্য ঘোষনা করা হয়, দলকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। এই কারণে অনেক সময় দলকে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।
যে কারণে বয়সভিত্তিক খেলাধূলায় সঠিক বয়সদের নিয়েই করা উচিত। এতে করে নতুন নতুন খেলোয়াড় মাঠে খেলার সুযোগ পাবে। মাঠে খেলতে খেলতেই তারা ভালোমানের খেলোয়াড় হয়ে উঠবে কিংবা সেই সুযোগ তৈরী হবে। শিরোপা অর্জন নয়, তৃণমূল পর্যায়ের খেলোয়াড়দের সঠিক ভাবে খেলাধূলার নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সঠিক প্রশিক্ষণে সঠিক বয়সে ওরা গড়ে উঠবে। সত্যিকার প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরী হবে কিংবা বেরিয়ে আসবে। ওরা অল্পতেই হারিয়ে যাবে না। চ্যাম্পিয়ন নয় তৃণমূল পর্যায়ে তৃণমূলের খেলোয়াড়দের পিছনের পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করা উচিত।
বয়সচুরি ফাঁদে পড়ে খেলোয়াড়রা অল্পতেই ছোটদলে সুযোগ পায়। যেখানে সুযোগ পাওয়ার কথা তার ছোটদের। সেখানে বড়রা সুযোগ নিয়ে ছোটদের বঞ্চিত করে এগিয়ে যায় এবং বেশী বয়সী খেলোয়াড় সহজেই নিজেকে তুলে ধরতে পারে। সাময়িক সুবিধার নেওয়ার কারনে ওই মুহুর্তে ওই খেলোয়াড়, দল ও কর্মকর্তারা লাভবান হয়। তবে ভবিষ্যতের জন্য সেটা ভালো হয় না। কারন এই সব খেলোয়াড় যখন তরুন থেকে যুব দলে খেলে তখনই তাদের বয়স ত্রিশের কাছাকাছি চলে যায়। তখন জাতীয় পর্যায়ে বেশীদিন খেলতে পারেনা, অল্প খেলার পরই বয়সের ছাপ পড়ে যায়। তখন আর ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারে না।
মাঠে সাদা চোখে অনেক খেলোয়াড়কেই বয়স বেশী বুঝা যায়। তবে বয়স মাপার মেডিকেল পরীক্ষায় তারা পার পেয়ে যায়। এখানে শিরোপা অর্জনের জন্য উপর মহলের চাপে বয়সী খেলোয়াড়টি সহজেই পার পেয়ে যায়। লাভবান হয় কর্মকর্তাসহ ওই খেলোয়াড়। সাময়িক ভাবে সুবিধাভোগী খেলোয়াড়টি মাঠে খেলে আর বঞ্চিত হয় সঠিক বয়সের খেলোয়াড়। সুবিধা নেওয়া খেলোয়াড়টিও মুল মঞ্চে নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। তখন সেও হারিয়ে যায়।
অথচ সঠিক বয়সে তৃণমূল পর্যায়ে বেশী বেশী খেলোয়াড়দের উঠে আসার সুযোগ থাকে। তখন ছোটদের ভাগ বড়রা নিতে পারে না। ছোটরা নির্ভীক গতিতে নিজেদের তৈরী করতে পারে সেই সুযোগের তারা তখন সদ্বব্যবহার করতে পারে।
১৯৯৯ সালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের ফুটবলের কাছে মালদ্বীপ একবার বয়সচুরি মাধ্যমে হেরে গেলে মালদ্বীপ কোচ এহসান আবদুল গনি গর্ব করে বলেছিলেন“ তোমরা শুধু আমাদের সঙ্গেই অবিচার করোনি, নিজেদের সঙ্গেও প্রতারণা করলে। বাংলাদেশ আজ জিতলেও ভবিষ্যতের জন্য কুয়া খুঁড়ে রাখল। আজ আমরা হেরে গেলেও সঠিক ভবিষ্যতের পথে আছি” মালদ্বীপ কিন্তু একথার সত্যতা প্রমান করেছে বিশ^ফুটবল রাংকিয়ে বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করে।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অধিক বয়সী খেলোয়াড় খেলিয়ে শর্টকাটে সাময়িক সাফল্য লাভ করা গেলেও, ভবিষ্যতের জন্য যে মারাতœক হুমকি, তা সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরাও এখন হাড়ে হাড়ে টের পায়। ১৯৯০ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ ডানা কাপ ও গোথিয়া কাপে অধিক বয়সী খেলোয়াড় মাঠে নামিয়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্সের মতো দলগুলোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই দলের কোন খেলোয়াড়ই জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। অকালে হারিয়ে গেছে। বয়সচুরি ভয়াবহ রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা।
অন্যান্য জেলার মতো অভিযোগ আছে এ ক্ষেত্রে টাঙ্গাইল এগিয়ে বয়সচুরিতে। ময়মনসিংহ জেলার সাবেক ক্রিকেটার হারুনুর রশীদ লিটনের অভিযোগ টাঙ্গাইলের বয়সভিত্তিক ফুটবল ক্রিকেটের দলে বেশী বয়সের খেলোয়াড় আছ্ েসেটা সঠিকমত মেডিকেল হলো সেটা ধরা পড়তো। এ বিষয়ে জেলা ক্রিকেট কোচের দাবী ছিলো তাদের বয়স ভিত্তিক খেলোয়াড়দের বয়স সব ঠিক আছে। তারা সঠিক ভাবে মেডিকেল পার হয়েই খেলতে পারছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ক্রিকেট থেকে ফুটবল ও ভলিবল টুর্নামেন্ট গুলোতে বয়সচুরি বেশী হয়ে থাকে দাবী ক্রীড়াপ্রেমীদের। শিরোপার জন্য কেউ কেউ তো অন্য জেলার খেলোয়াড়দের মাঠে নামিয়ে নিজ জেলার খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করেন এরকম অভিযোগও বিদ্যমান আছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইলস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল কুদ্দছ বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে বয়সচুরি এবং অবৈধভাবে অন্য জেলা কিংবা অন্য বিদ্যালয়ের খেলোয়াড় মাঠে নামিয়ে নিজেদেরই ক্ষতি করছে। এভাবে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা সম্পন্ন খেলোয়াড় উঠে আসতে পারবে না। এই সমস্যগুলো সঠিকভাবে দেখা উচিত ”।
জেলা মহিলা ফুটবল কোচ কামরুন্নাহার খান মুন্নী বলেন, তৃনমূল পর্যায়ে খেলোয়াড়দের বয়স চুরির ফলে সাইন্টিফিক ভাবেই খেলোয়াড়দের সঠিক খেলোয়াড় তৈরী হয় না। তৃনমূলে যারা সুস্থ চিন্তা নিয়ে স্পোর্টসে আসে তারা বয়স চুরি সুক্ষ কারচুপির কাছে পরাজিত হয়ে খেলা বিমুখ হয়। শুরুতে একজন খেলোয়াড়ের নৈতিক অবক্ষয়ের সাথে পরিচয় হওয়ার ফলে এতে কোচের প্রতি খেলোয়াড়ের অশ্রদ্ধা জন্মে এবং সে ভালো প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হয় বা শিক্ষা নেয় না।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়াবিদ ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে বয়সচুরি কিংবা অন্যজেলার খেলোয়াড়কে নিজ জেলায় অংশগ্রহন করানো, মারাত্বক অন্যায় যা নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এই অন্যায় করলে হয়তো শিরোপা জয় করা যায় কিন্তু মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় না। যা জেলার জন্য ক্ষতিকর এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক বয়সের খেলোয়াড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করলে প্রতিভাসম্মন্ন খেলোয়াড় উঠে আসবে। আর এই সব প্রতিভা সম্পন্ন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে বেশীদিন সার্ভিস দিতে পারবে।
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, তৃনমূল পর্যায়ে বয়সচুরিতে স্বাভাবিক পর্যায়ে প্রতিভাসম্পন্ন খেলোয়াড় উঠে আসে না। সঠিকভাবে বাছাই করলে নতুন নতুন প্রতিভা উঠে আসবে। আমরা এবার সেই চেষ্টাটা করবো।
এম.কন্ঠ/ ০২ অক্টোবর /এম. টি