৪ মামলায় এমপি ছানোয়ার হোসেনের ১৯ দিনের রিমান্ড
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনকে সোমবার চার মামলায় মোট ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রাষ্ট পক্ষে শুনানী করেন এডভোকেট সাইদুর রহমান স্বপন, জহিরুল ইসলাম জহির, এডভোকেট পারভেজসহ অন্যান্য আইনজীবী এবং আসামী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শামিমুল আক্তার, এডভোকেট নাসিমুল আক্তার, এডভোকেট জাহিদ হাসান বাবু, এডভোকেট কাজী শায়লা, এডভোকেট এমদাদুল হক ইমন।
টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালত একটি হত্যাসহ তিনটি মামলায় ১৪ দিন এবং মির্জাপুর আমলী আদালত একটি হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার হোসেনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগরীর ভাটারা থানার পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর থেকে কেরানিগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি।
সোমবার দুপুরে তাকে প্রথমে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলা এবং আরও দুইটি ভাঙচুর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় মামলাগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খাঁন মারুফ হত্যা মামলায় ও দ্রুতবিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় ৫ দিন করে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে তাকে মির্জাপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রুমি খাতুন ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, সোমবার থেকেই ছানোয়ার হোসেনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন।
প্রসঙ্গত, ছানোয়ার হোসেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। বিগত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
এম.কন্ঠ/ ১৭ মার্চ /এম.টি