ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
ঘাটাইলে পাহাড়ি লাল মাটি কাটার দায়ে একজনের জেল গ্রামে গ্রামে ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন দেশের হাজার বছরের ধর্মীয় সংস্কৃতি…ফরহাদ ইকবাল কোরআনের আলোকে সত্য কথা বললেও হাসিনা আলেমদের মামলা দিতো…শাকিল উজ্জামান ঘাটাইলে সাগরদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ গ্রেপ্তার ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ঘাটাইলে অন্বেষা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সভা টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো উইমেন্স চেম্বার কালিহাতীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর বিল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিগত নির্বাচনে আ.লীগ ও পুলিশলীগ সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারী টাঙ্গাইলে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা থেকে প্রধান বিরোধী

নাছরীন আক্তার লাকী :
প্রকাশ: ০১:০০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্ন আজীবনের সংগ্রামী। “আসাম,ত্রিপুরা,পশ্চিমবঙ্গ এগুলো ভারতের কবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে বাংলাদেশের মানচিত্র পূর্ণতা পাবে না” – বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভাসানী রাজনৈতিক লাইন এতটুকুতেই ফুটে ওঠে। ফারাক্কা বাঁধ সম্মেলন, কাগমারী সম্মেলনের মতো ঐতিহাসিক মুহুর্তেগুলো তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রামের মূল কথা।

মজলুম জননেতা খ্যাত মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪৯ সালে ২৩ জুন পুরান ঢাকায় টিকাটুলি রোজগার্ডেনে মুসলিম লীগ গঠনের জন্য কর্মী সভার ডাক দেন প্রায় ৩০০ কর্মের উপস্থিতিতে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এই কমিটির সভাপতি হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।সহ সভাপতি হন আতাউর রহমান সাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ ।মৌলভী শামসুল হককে করা হয় সাধারণ সম্পাদক সাথে ছিলো শেখ মুজিবুর রহমান ।

খন্দকার মোস্তাক আহমদ ও একে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ।কোষাধক্ষ করা হয় ইয়ার মোহাম্মদ খান ।অন্যদিকে পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠন টির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ।এর সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরোয়ারদী ।সেক্রেটারি জেনারেল মাহমুদুল হক ওসমানী ।

সভাপতি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে মোট ৪ বার মওলানা ভাসানী সভাপতি নির্বাচিত হন আর দ্বিতীয় কাউন্সিল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান দায়িত্ব পালন করেন ।১৯৫৫ সালে ভাসানী চাইছিলেন দলের নাম থেকে মুসলিম বাদ দেয়া হোক ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ইসকান্দার মির্জা ।

স্বাভাবিক কারণে পাকিস্তান সরকার ছিল আওয়ামী লীগ তখন লেখক মহিউদ্দিন বিবিসিকে জানান আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক চুক্তি ইসুতে ভাসানী দল ত্যাগ করেন। আর এই সময় থেকে শেখ মুজিবের পাকিস্তানের সাথে ভালো সক্ষ্যতা গড়ে উঠে ।সিয়াটো এবং সেন্টো সামরিক জোটে পাকিস্তান সদস্য ছিল ভাসানী এবং দলের মধ্যে থাকা বামপন্থীরা চাপ দিচ্ছিলেন যাতে আওয়ামী লীগ মার্কিন সামরিক জোট থেকে বেরিয়ে আসে এবং মওলানা ভাসানী চুক্তি বাতিল করতে দাবি করে ।

সোহরাওয়ারদিকে মার্কিন চুক্তি সমর্থক বলে মনে হতো ,পাক মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিলের জন্য পূর্ব পাকিস্তানের টাঙ্গাইলের কাগমারীতে আওয়ামী লীগের বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে ভাসানী ভোটাভোটিতে হেরে যান । ১৮ই মার্চ মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে পদত্যাগ করে । ২৫ জুলাই ওই বছরেই তিনি ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ পার্টি ন্যাপ গঠন করেন । ১৯৫৭ সাল থেকে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর এরা সবাই মাওলানা ভাসানী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার সঙ্গে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনীতি ছিল গভীর ও নিবিড়।

মওলানা ভাসানীর অনুপস্থিতিতে মশিউর রহমান যাদু মিয়া তার দল অর্থাৎ ন্যাপকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ন্ত্রণ করেন। মসিউর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বের পর নেতৃত্ব চলে যায় আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার হাতে। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া তখন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং শক্ত হাতে পরিচালনা করতে থাকেন।ওদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন মাওলানা তর্কবাগিস সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান অপরদিকে ভাসানীর অসুস্থতায় অধ্যাপক গফুরসহ অনেকে যখন ভাসানীকে দেখতে যান, তখন জিয়াউর রহমান এর প্রতি ভাসানীর দুর্বলতার কথা বলতে থাকেন. অধ্যাপক গফুর ভাসানীকে বলেন আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে নিজের দলের মানুষকে বলেছিলেন দুর্নীতি করলে চাবুক মারা হবে কাজ করলে জনগণের হবে আর তাছাড়া আপনি কেন সামরিক শাসককে সমর্থন দিচ্ছেন ! উত্তরে ভাসানী বলেছিলেন জিয়াউর রহমানের মধ্যে আমি স্বজন প্রীতি পাই নাই জিয়া সঠিক দুর্নীতির কোন ছোঁয়া নাই তাই আমি পছন্দ করি ।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে নেতৃতাধীন জাতীয়তার প্রতীক ধানের শীষ। স্বাধীনতার পরে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভাসানী নির্বাচন করে ১৯৭৩ সালে কৃষি নির্ভর কে গুরুত্ব দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বেছে নেন ভাসানী গ্রাম বাংলার আপামর জনতার মুখে তাকিয়ে এই প্রতীক নির্বাচন করেন মওলানা ভাসানী রাজনীতিতে অনেক গুরুত্ব বহন করে চলছে আজ অবধি ধানের শীষ প্রতীক।

সবশেষে একটা কথা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার কারিগর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অথচ শেখ মুজিব থেকে শুরু করে তার কন্যা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এই চরম বাস্তবতা কখনো স্বীকার করেন নাই অথচ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান , দেশমাতা গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া ,বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র তারেক রহমান সব সময় মওলানা ভাসানীকে সম্মান জানাতে সদা প্রস্তুত থাকতেন এবং আছেন । মওলানা ভাসানীর দেয়া প্রতীক ধানের শীষ মার্কাকে সম্মান জানিয়ে বুকে ধারণ করতে পেরে আজ জিয়াউর রহমানের পরিবার গর্ববোধ করেন ।সম্মানী ব্যক্তিকে সম্মান জানালে স্বয়ং আল্লাহতালা নিজে সম্মানিত করেন।

সহকারী অধ্যাপক নাছরীন আক্তার লাকী :

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রী কলেজ  টাঙ্গাইল।

 

এম.কন্ঠ/ ১৭ নভেম্বর /এম.টি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা থেকে প্রধান বিরোধী

প্রকাশ: ০১:০০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্ন আজীবনের সংগ্রামী। “আসাম,ত্রিপুরা,পশ্চিমবঙ্গ এগুলো ভারতের কবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে বাংলাদেশের মানচিত্র পূর্ণতা পাবে না” – বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভাসানী রাজনৈতিক লাইন এতটুকুতেই ফুটে ওঠে। ফারাক্কা বাঁধ সম্মেলন, কাগমারী সম্মেলনের মতো ঐতিহাসিক মুহুর্তেগুলো তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রামের মূল কথা।

মজলুম জননেতা খ্যাত মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪৯ সালে ২৩ জুন পুরান ঢাকায় টিকাটুলি রোজগার্ডেনে মুসলিম লীগ গঠনের জন্য কর্মী সভার ডাক দেন প্রায় ৩০০ কর্মের উপস্থিতিতে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এই কমিটির সভাপতি হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।সহ সভাপতি হন আতাউর রহমান সাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ ।মৌলভী শামসুল হককে করা হয় সাধারণ সম্পাদক সাথে ছিলো শেখ মুজিবুর রহমান ।

খন্দকার মোস্তাক আহমদ ও একে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ।কোষাধক্ষ করা হয় ইয়ার মোহাম্মদ খান ।অন্যদিকে পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠন টির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ।এর সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরোয়ারদী ।সেক্রেটারি জেনারেল মাহমুদুল হক ওসমানী ।

সভাপতি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে মোট ৪ বার মওলানা ভাসানী সভাপতি নির্বাচিত হন আর দ্বিতীয় কাউন্সিল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান দায়িত্ব পালন করেন ।১৯৫৫ সালে ভাসানী চাইছিলেন দলের নাম থেকে মুসলিম বাদ দেয়া হোক ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ইসকান্দার মির্জা ।

স্বাভাবিক কারণে পাকিস্তান সরকার ছিল আওয়ামী লীগ তখন লেখক মহিউদ্দিন বিবিসিকে জানান আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক চুক্তি ইসুতে ভাসানী দল ত্যাগ করেন। আর এই সময় থেকে শেখ মুজিবের পাকিস্তানের সাথে ভালো সক্ষ্যতা গড়ে উঠে ।সিয়াটো এবং সেন্টো সামরিক জোটে পাকিস্তান সদস্য ছিল ভাসানী এবং দলের মধ্যে থাকা বামপন্থীরা চাপ দিচ্ছিলেন যাতে আওয়ামী লীগ মার্কিন সামরিক জোট থেকে বেরিয়ে আসে এবং মওলানা ভাসানী চুক্তি বাতিল করতে দাবি করে ।

সোহরাওয়ারদিকে মার্কিন চুক্তি সমর্থক বলে মনে হতো ,পাক মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিলের জন্য পূর্ব পাকিস্তানের টাঙ্গাইলের কাগমারীতে আওয়ামী লীগের বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে ভাসানী ভোটাভোটিতে হেরে যান । ১৮ই মার্চ মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে পদত্যাগ করে । ২৫ জুলাই ওই বছরেই তিনি ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ পার্টি ন্যাপ গঠন করেন । ১৯৫৭ সাল থেকে খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর এরা সবাই মাওলানা ভাসানী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার সঙ্গে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনীতি ছিল গভীর ও নিবিড়।

মওলানা ভাসানীর অনুপস্থিতিতে মশিউর রহমান যাদু মিয়া তার দল অর্থাৎ ন্যাপকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ন্ত্রণ করেন। মসিউর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বের পর নেতৃত্ব চলে যায় আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার হাতে। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া তখন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং শক্ত হাতে পরিচালনা করতে থাকেন।ওদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন মাওলানা তর্কবাগিস সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান অপরদিকে ভাসানীর অসুস্থতায় অধ্যাপক গফুরসহ অনেকে যখন ভাসানীকে দেখতে যান, তখন জিয়াউর রহমান এর প্রতি ভাসানীর দুর্বলতার কথা বলতে থাকেন. অধ্যাপক গফুর ভাসানীকে বলেন আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে নিজের দলের মানুষকে বলেছিলেন দুর্নীতি করলে চাবুক মারা হবে কাজ করলে জনগণের হবে আর তাছাড়া আপনি কেন সামরিক শাসককে সমর্থন দিচ্ছেন ! উত্তরে ভাসানী বলেছিলেন জিয়াউর রহমানের মধ্যে আমি স্বজন প্রীতি পাই নাই জিয়া সঠিক দুর্নীতির কোন ছোঁয়া নাই তাই আমি পছন্দ করি ।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে নেতৃতাধীন জাতীয়তার প্রতীক ধানের শীষ। স্বাধীনতার পরে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভাসানী নির্বাচন করে ১৯৭৩ সালে কৃষি নির্ভর কে গুরুত্ব দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বেছে নেন ভাসানী গ্রাম বাংলার আপামর জনতার মুখে তাকিয়ে এই প্রতীক নির্বাচন করেন মওলানা ভাসানী রাজনীতিতে অনেক গুরুত্ব বহন করে চলছে আজ অবধি ধানের শীষ প্রতীক।

সবশেষে একটা কথা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার কারিগর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অথচ শেখ মুজিব থেকে শুরু করে তার কন্যা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এই চরম বাস্তবতা কখনো স্বীকার করেন নাই অথচ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান , দেশমাতা গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া ,বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র তারেক রহমান সব সময় মওলানা ভাসানীকে সম্মান জানাতে সদা প্রস্তুত থাকতেন এবং আছেন । মওলানা ভাসানীর দেয়া প্রতীক ধানের শীষ মার্কাকে সম্মান জানিয়ে বুকে ধারণ করতে পেরে আজ জিয়াউর রহমানের পরিবার গর্ববোধ করেন ।সম্মানী ব্যক্তিকে সম্মান জানালে স্বয়ং আল্লাহতালা নিজে সম্মানিত করেন।

সহকারী অধ্যাপক নাছরীন আক্তার লাকী :

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রী কলেজ  টাঙ্গাইল।

 

এম.কন্ঠ/ ১৭ নভেম্বর /এম.টি