কালিহাতীতে বালুঘাট বিরোধে বালুখেকো হযরত আলীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অবৈধ বালুঘাট তৈরি করে উপজেলা গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বালুখেকো হযরত আলী তালুকদারের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের বেনুদ লুহুরিয়া বালুঘাটে এসে জনরোষে পড়েন বালুখেকো
বিক্ষুব্ধ জনতা ও প্রতিপক্ষ গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায়। রাতে হযরত আলী তালুকদার বালুর ঘাটের অফিস কক্ষে বসেছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন এসে অফিস কক্ষে হামলা চালায় এবং বাইরে থাকা গাড়িতে আগুন ধড়িয়ে চলে যান।
রোববার দুপুরে বালুঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভুঁইয়া জানিয়েছেন।
সরজমিনে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে কালিহাতী উপজেলায় কোনো বালুর ঘাট ইজারা দেওয়া হয়নি। সরকারি কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালুখেকো আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে বালু ঘাটগুলো তৈরি করে সিরাজগঞ্জ মহাল থেকে নামেমাত্র বালু ক্রয় করে নিয়ে আসলেও প্রভাব আর ক্ষমতার দাপটে বেশির ভাগ বালু অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করে অবৈধভাবে ঘাট স্থাপন করে বালু বিক্রি আসছিলো। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শত শত ট্রাকযোগে বালু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়।
ইউনিয়ন পরিষদের টাকার বিনিময়ে রাস্তায় বালুবাহী ট্রাক চলায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত করতে বিঘ্ন ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলেই নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া হতো। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল। নতুন সরকারের কাছে তাদের দাবি যাতে করে অবৈধ বালু উত্তোলন বালুরঘাট বন্ধ থাকে।
বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারকে মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভুঁইয়া জানান, রোববার ঘটনাস্থল গিয়ে বালুরঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এঘটনায় কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অবৈধ বালুঘাটের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা
নেবেন।
এম.কন্ঠ/ ২২ সেপ্টেম্বর /এম.টি