ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
আগামীতে তারেক রহমানই দেশের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করবে…আব্দুস সালাম পিন্টু ৬ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে টাঙ্গাইলের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইলে ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ের অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সংক্রান্ত কর্মশালা কালিহাতীতে কলেজ ছাত্র হত্যায় গ্রেফতার নিয়ে ধুম্রজাল কালিহাতীতে ছাত্রদল ও সাম্যের পথে বৈশাখী আড্ডা কালিহাতীতে বই দেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো শিক্ষার্থীরা নিখোঁজের ৩ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কলেজছাত্রের লাশ কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কালিহাতীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা কালিহাতীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ঘাটাইলে থামছে না বনের গাছ চুরি

ঘাটাইল প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০১:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বনের গাছ কেটে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ গাছ চোর চক্রের সদস্যরা। দিন রাত সব সময়ই চলছে গাছ কাটা। ফলে বিলুপ্তির পথে রয়েছে সংরক্ষিত বনের গাছ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ গাছ চোর চক্র, অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী ও বনের ভেতর গড়ে ওঠা অবৈধ করাতকল মালিকদের দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ধলাপাড়া রেঞ্জের অধিনে বটতলী, ঝড়কা, চৌরাসা, দেওপাড়া, ধলাপাড়া, সাগরদিঘী নামে ৬টি বিট রয়েছে। যেখানে বনের পরিমান ২৫হাজার ৭৮৫একর। এই বনভুমিতে শাল, গজারী, সেগুন ,সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। সংরক্ষিত বন থেকে প্রায়ই চুরি হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (২৯ জুন) শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় ধলাপাড়া রেঞ্জের ঝড়কা বিটের আওতাধীন গরিশ্বর মৌজায় ঝড়কা বিটে রাতের আধারে মুল্যবান র ৪০টি আঁকাশমনি গাছ কাটার সময় আটক করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা । এ সময় দুই রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। আটককৃত গাছের আনুমানিক মুল্য দুই লক্ষাধিক। পরে বনদস্যুরা পালিয়ে গেলে ঘটনা স্থল থেকে ১টি মোটর সাইকেল, ২টি গাছ কাটার করাত সহ প্রায় ৩০টি গাছ জব্দ করে নিয়ে আসেন।


এর আগে গত ২৬শে মার্চ , মঙ্গলবার বটতলী ও ঝড়কা বিট অফিসের ছনখোলা ও কুশারিয়া এলাকা থেকে গজারি গাছ বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান এবং আকাশমনি গাছের কাঠ বোঝাই একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়। বন বিভাগের ওই বিটের দায়িত্বে থাকা হেলাল উদ্দিন এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এসব গাছ চুরি থামছে না। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গাছ চুরি ঠেকাতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নতুন ও পুরনো মিলে বেশ কিছু গাছ চোরচক্র সক্রিয় রয়েছে। সময় ও পরিস্থিতি বুঝে চক্রগুলো সক্রিয় থাকে। আগে যারা গাছ কাটতো তারাই আবার বর্তমানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নতুন করে গড়ে ওঠা কিছু চক্রও মাঠে সক্রিয় রয়েছে। ঝুঁকি কম থাকায় চুরি করা কাঠ পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয় কাভার্ডভ্যান। আর এসব চোরাই কাঠ বিক্রি হচ্ছে বনের ভেতর গড়ে ওঠা শতাধিক করাতকল ও পাশের ইটভাটায়।

সরেজমিন বন বিভাগের বটতলা চৌরাশা ও ঝড়কা বিটের বগা, খাগরাটা, দেওপাড়া, কুশারিয়া ও ছনখোলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একসময় গজারি গাছে ভরা টিলাগুলো খালি করে ফেলা হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েছে গাছের গোড়াও।

বটতলী ও ঝড়কা বন বিটের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ২৯ জুন, শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি এলাকার কিছু চিহ্নিত বনদস্যুরা বনের গাছ কেটে নিচ্ছে। পরে আমরা ঘটনা স্থলে পৌছে বুঝতে পারি বনদস্যুদের সংখা অনেক বেশি। আমাদের জনবল কম থাকায় বনের গাছ ও নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ২রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুরি। পরে চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে গেলে ঘটনা স্থল থেকে ১টি মোটরসাইকেল যার নং টাঙ্গাইল হ-১১২৮৩০ গাড়ি, ২টি করাত ও বেশ কিছু গাছ জব্দ করে বিট অফিসে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে ঘাটাইল ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদ রহমান জানান, ইতোমধ্যে বেশ কিছু গাছ জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। আমরা যখনই গাছ চুরির খবর পাই, তখনই ব্যবস্থা নিই।

 

এম.কন্ঠ/  ০১ জুলাই /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘাটাইলে থামছে না বনের গাছ চুরি

প্রকাশ: ০১:৩৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বনের গাছ কেটে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ গাছ চোর চক্রের সদস্যরা। দিন রাত সব সময়ই চলছে গাছ কাটা। ফলে বিলুপ্তির পথে রয়েছে সংরক্ষিত বনের গাছ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ গাছ চোর চক্র, অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী ও বনের ভেতর গড়ে ওঠা অবৈধ করাতকল মালিকদের দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ধলাপাড়া রেঞ্জের অধিনে বটতলী, ঝড়কা, চৌরাসা, দেওপাড়া, ধলাপাড়া, সাগরদিঘী নামে ৬টি বিট রয়েছে। যেখানে বনের পরিমান ২৫হাজার ৭৮৫একর। এই বনভুমিতে শাল, গজারী, সেগুন ,সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। সংরক্ষিত বন থেকে প্রায়ই চুরি হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (২৯ জুন) শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় ধলাপাড়া রেঞ্জের ঝড়কা বিটের আওতাধীন গরিশ্বর মৌজায় ঝড়কা বিটে রাতের আধারে মুল্যবান র ৪০টি আঁকাশমনি গাছ কাটার সময় আটক করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা । এ সময় দুই রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। আটককৃত গাছের আনুমানিক মুল্য দুই লক্ষাধিক। পরে বনদস্যুরা পালিয়ে গেলে ঘটনা স্থল থেকে ১টি মোটর সাইকেল, ২টি গাছ কাটার করাত সহ প্রায় ৩০টি গাছ জব্দ করে নিয়ে আসেন।


এর আগে গত ২৬শে মার্চ , মঙ্গলবার বটতলী ও ঝড়কা বিট অফিসের ছনখোলা ও কুশারিয়া এলাকা থেকে গজারি গাছ বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান এবং আকাশমনি গাছের কাঠ বোঝাই একটি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়। বন বিভাগের ওই বিটের দায়িত্বে থাকা হেলাল উদ্দিন এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এসব গাছ চুরি থামছে না। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গাছ চুরি ঠেকাতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নতুন ও পুরনো মিলে বেশ কিছু গাছ চোরচক্র সক্রিয় রয়েছে। সময় ও পরিস্থিতি বুঝে চক্রগুলো সক্রিয় থাকে। আগে যারা গাছ কাটতো তারাই আবার বর্তমানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নতুন করে গড়ে ওঠা কিছু চক্রও মাঠে সক্রিয় রয়েছে। ঝুঁকি কম থাকায় চুরি করা কাঠ পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয় কাভার্ডভ্যান। আর এসব চোরাই কাঠ বিক্রি হচ্ছে বনের ভেতর গড়ে ওঠা শতাধিক করাতকল ও পাশের ইটভাটায়।

সরেজমিন বন বিভাগের বটতলা চৌরাশা ও ঝড়কা বিটের বগা, খাগরাটা, দেওপাড়া, কুশারিয়া ও ছনখোলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একসময় গজারি গাছে ভরা টিলাগুলো খালি করে ফেলা হয়েছে। তুলে নেওয়া হয়েছে গাছের গোড়াও।

বটতলী ও ঝড়কা বন বিটের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ২৯ জুন, শনিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি এলাকার কিছু চিহ্নিত বনদস্যুরা বনের গাছ কেটে নিচ্ছে। পরে আমরা ঘটনা স্থলে পৌছে বুঝতে পারি বনদস্যুদের সংখা অনেক বেশি। আমাদের জনবল কম থাকায় বনের গাছ ও নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ২রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুরি। পরে চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে গেলে ঘটনা স্থল থেকে ১টি মোটরসাইকেল যার নং টাঙ্গাইল হ-১১২৮৩০ গাড়ি, ২টি করাত ও বেশ কিছু গাছ জব্দ করে বিট অফিসে নিয়ে আসি।

এ বিষয়ে ঘাটাইল ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদ রহমান জানান, ইতোমধ্যে বেশ কিছু গাছ জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। আমরা যখনই গাছ চুরির খবর পাই, তখনই ব্যবস্থা নিই।

 

এম.কন্ঠ/  ০১ জুলাই /এম.টি