ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামলা ও মারধরের অভিযোগে মধুপুর মেয়রের বিচার চান কাউন্সিলর

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলে হামলার ও মারধরের ঘটনায় মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খানের বিচার চান কাউন্সিলর মো. বাবলু আকন্দ। মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিচার দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মো. বাবলু আকন্দ জানান জানান, তার ৫ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধা দিয়ে আসছেন মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবুর নির্বাচন করেন। প্রচারনা চালানোর সময় তাকে মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। নির্বাচনের পর মেয়র তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মেয়রের লোকজন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করে নেন। এটার প্রতিবাদ করলে মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তাদের অনুসারী মো. আইয়ুব আলী, মো. বাবলু ও সুজনকে নির্দেশ দেয় কাউন্সিলর মারধর করতে। ঈদের আগের দিন রাতে অভিযুক্তরা কাউন্সিলর মো. বাবলু আকন্দের উপর হামলা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও সেখানেও অভিযুক্তরা হামলা করেন।

তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় তার ডান পা ও বাম হাত ভেঙে যায়। এ সব ঘটনায় ১৯ জুন ১২ জনকে আসামী করে হামলা করার পরও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো আসামীরা বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এছাড়াও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত অবগত করা হয়েছে।

মো. বাবলু আকন্দ বলেন, শুধু আমাকে পঙ্গু করেনি। আসামীদের তান্ডবে মধুপুরের মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বাবলু কেমন মানুষ মধুপুরের মানুষ তা জানে।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, তারা দুই ভাইয়ে মারামারি করেছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

এম.কন্ঠ/ ২৫ জুন /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

হামলা ও মারধরের অভিযোগে মধুপুর মেয়রের বিচার চান কাউন্সিলর

প্রকাশ: ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলে হামলার ও মারধরের ঘটনায় মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খানের বিচার চান কাউন্সিলর মো. বাবলু আকন্দ। মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিচার দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মো. বাবলু আকন্দ জানান জানান, তার ৫ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধা দিয়ে আসছেন মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবুর নির্বাচন করেন। প্রচারনা চালানোর সময় তাকে মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। নির্বাচনের পর মেয়র তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মেয়রের লোকজন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করে নেন। এটার প্রতিবাদ করলে মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী তাদের অনুসারী মো. আইয়ুব আলী, মো. বাবলু ও সুজনকে নির্দেশ দেয় কাউন্সিলর মারধর করতে। ঈদের আগের দিন রাতে অভিযুক্তরা কাউন্সিলর মো. বাবলু আকন্দের উপর হামলা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও সেখানেও অভিযুক্তরা হামলা করেন।

তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় তার ডান পা ও বাম হাত ভেঙে যায়। এ সব ঘটনায় ১৯ জুন ১২ জনকে আসামী করে হামলা করার পরও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো আসামীরা বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এছাড়াও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত অবগত করা হয়েছে।

মো. বাবলু আকন্দ বলেন, শুধু আমাকে পঙ্গু করেনি। আসামীদের তান্ডবে মধুপুরের মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বাবলু কেমন মানুষ মধুপুরের মানুষ তা জানে।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, তারা দুই ভাইয়ে মারামারি করেছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

এম.কন্ঠ/ ২৫ জুন /এম.টি