টাঙ্গাইলে ১ কিমি রাস্তার জন্য ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১নং মগড়া ইউনিয়নের চৌরাকররা -চৌধুরী মালঞ্চ সড়কটি। সড়কটিতে মগড়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ২৫০০ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। মাত্র এক কিলোমিটারের রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরা। সামান্য বর্ষণের ফলে ফলে এ রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায় এবং চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি সড়েজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, অনেক জায়গার মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাঁদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খানা-খন্দের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মগড়া ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং নামকরা চৌরাকররা বাজার হওয়াতে আশেপাশের এলাকার মানুষের কাছে এ বাজারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামের মানুষ যাওয়ায় অন্যতম রাস্তা চৌরাকররা-চৌধুরী মালঞ্চ সড়ক। ফলে শ্রমজীবী লোকজন থেকে শুরু করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী সবাই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। প্রতিদিন এ সড়কে কয়েকশ’ যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটে থাকে দুর্ঘটনা। যার ফলে অনেকে আহত হচ্ছেন মর্মে জানা যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ্য হতে হয় অসুস্থ রোগী, শিশু, মহিলা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের।
সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে রাস্তাটি সংস্কারকরণের জন্য দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি। ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
চৌধুরী মালঞ্চ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শিক্ষক মো. মাইন উদ্দীন (৭২) বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই গাড়ি দুর্ঘটনা হয় এ রাস্তাতে। অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই আমাদের এ রাস্তা যাতায়াত করতে হয়।’
চৌরাকররা গ্রামের বাসিন্দা মো: তায়েজ উদ্দীন (৭৪)বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কয়েকদিন আগেও একটি রিকশা উল্টে যায়। এতে মহিলা যাত্রী গুরুতর আহত হয়। তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো: শাহজাহান (৬১) বলেন, বর্ষা আসলেই আমাদের কষ্টের আর সীমা থাকে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় এমন দুর্ভোগ যেনো আর কারো না হয়।
বাহির শিমুল গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো: সেলিম (৪৫) বলেন, এর আগের সরকারের আমলে স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা আমাদেরকে বারবার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই আশ্বাস ১৭ বছর কেটে গেলো। কিন্তু রাস্তার কাজ আর হয়নি।
এম.কন্ঠ/ ৩০ নভেম্বর /এম.টি