ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
আগামীতে তারেক রহমানই দেশের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করবে…আব্দুস সালাম পিন্টু ৬ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে টাঙ্গাইলের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইলে ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ের অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সংক্রান্ত কর্মশালা কালিহাতীতে কলেজ ছাত্র হত্যায় গ্রেফতার নিয়ে ধুম্রজাল কালিহাতীতে ছাত্রদল ও সাম্যের পথে বৈশাখী আড্ডা কালিহাতীতে বই দেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো শিক্ষার্থীরা নিখোঁজের ৩ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কলেজছাত্রের লাশ কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কালিহাতীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা কালিহাতীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০৪:০১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক মো. কামরুলের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলার সচেতন নাগরিক।

অভিযোগপত্র থেকে জানাযায়, ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গিস বেগম এর অফিস সহায়ক মো. কামরুল পিতা-মৃত মুজাফর আলী গ্রাম-কাগমারী পাড়া, ডাকঘর-শিয়ালকোল। কামরুল গরিব ঘরের সন্তান তার এক ভাই চায়ের দোকান করেন। হঠাৎ উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মোছাঃ নার্গিস বেগম উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহন করেন। তিনি নতুন কিছু না বুঝার সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ শুধু মাত্র কাগজ কলমে দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গিস বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় অফিস সহায়ক মো. কামরুল। এ বিষয়ে চেয়াম্যানকে অবগত করলে তিনি চুপ থাকেন। এবং তিনি বলেন স্বাক্ষরগুলো আমার নিজের।

অভিযোগপত্র থেকে আরো জানাযায়, অফিস সহায়ক কামরুল ঢাকা মোহাম্মদপুরে ২১০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছে। যার মূল্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। গাজীপুর উপজেলা শ্রীপুরের মাধখোলা শিল্প এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কিনেছে। যার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। ১০ লক্ষ টাকা অফিস সহায়ক কামরুলের বিভিন্ন একাউন্টে জমা রয়েছে। তার একাউন্ট তদন্ত করলে টাকা গুলো বের হয়ে আসবে। কামরুল বলে আমি পিয়ন তাই উপজেলা পরিষদ চালাই। চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম কিছুই বুঝে না।

এ বিষয়টি সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবিহত হলে তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বলেন কামরুল অফিস সহায়ক কে বদলী করা উচিত। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, যদি এই কামরুলকে বদলী করেন তাহলে আমি পদত্যাগ করবো।

 

এম.কন্ঠ/ ২৫ জুন /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৪:০১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক মো. কামরুলের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলার সচেতন নাগরিক।

অভিযোগপত্র থেকে জানাযায়, ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গিস বেগম এর অফিস সহায়ক মো. কামরুল পিতা-মৃত মুজাফর আলী গ্রাম-কাগমারী পাড়া, ডাকঘর-শিয়ালকোল। কামরুল গরিব ঘরের সন্তান তার এক ভাই চায়ের দোকান করেন। হঠাৎ উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মোছাঃ নার্গিস বেগম উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহন করেন। তিনি নতুন কিছু না বুঝার সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ শুধু মাত্র কাগজ কলমে দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গিস বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় অফিস সহায়ক মো. কামরুল। এ বিষয়ে চেয়াম্যানকে অবগত করলে তিনি চুপ থাকেন। এবং তিনি বলেন স্বাক্ষরগুলো আমার নিজের।

অভিযোগপত্র থেকে আরো জানাযায়, অফিস সহায়ক কামরুল ঢাকা মোহাম্মদপুরে ২১০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছে। যার মূল্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। গাজীপুর উপজেলা শ্রীপুরের মাধখোলা শিল্প এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কিনেছে। যার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। ১০ লক্ষ টাকা অফিস সহায়ক কামরুলের বিভিন্ন একাউন্টে জমা রয়েছে। তার একাউন্ট তদন্ত করলে টাকা গুলো বের হয়ে আসবে। কামরুল বলে আমি পিয়ন তাই উপজেলা পরিষদ চালাই। চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম কিছুই বুঝে না।

এ বিষয়টি সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবিহত হলে তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বলেন কামরুল অফিস সহায়ক কে বদলী করা উচিত। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, যদি এই কামরুলকে বদলী করেন তাহলে আমি পদত্যাগ করবো।

 

এম.কন্ঠ/ ২৫ জুন /এম.টি