ঘাটাইলে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’ সন্দেহে মামাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে নাজমুল হোসেন (২৭) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।
সোমবার (২৭ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের আবেদালী পূর্ব পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাকারী ওই যুবক একই এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মিন্টু মিয়া (৩৫)। হত্যার শিকার ওই যুবকের নাম নাজমুল হোসেন(৩২)। তিনি একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো–ফুপাতো ভাই। দুজনের বাড়ি পাশাপাশি। তারা দুজনই পেশায় দিনমজুর । এ ঘটনায় জড়িত মিন্টু মিয়াকে (৩৫) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ফুপাতো ভাই মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ইসমতারার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মামাতো ভাই নাজমুলের। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গেল সপ্তাহে হাতেনাতে আপত্তিকর অবস্থায় তা দেখেও ফেলে ফুপাতো ভাই মিন্টু মিয়া। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে বিচার চাইলেও কেউ কোন মিমাংসা করে দেন নি। এক পর্যায়ে কোন বিচার না পেয়ে ক্ষোভে স্ত্রী ইসমতারাকে তালাক দেন স্বামী মিন্টু মিয়া। এ নিয়ে স্থানীয়দের সামনে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলেন হত্যার শিকার ওই যুবক নাজমুল।
স্থানীয় মুদি দোকানী সুকুর মাহমুদ জানায়, এক সাথে বসে তার দোকানে পান-সিগারেট খাচ্ছিলেন দুজন। হঠাৎ পেছন থেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে নাজমুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমরা দৌড়ে গিয়ে ধরাধরি করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
আলমগীর হোসেন আলম নামের একজন জানান, দোকানের বারান্দায় বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ পেছন থেকে নাজমুলের পেটে ছুরি মারে মিন্টু। তখনো আমরা বুঝতে পারি নাই। পরে গলায় ছুরি ধরে ধস্তাধস্তির সময় বাঁধা দিই। তখনই লুটিয়ে মাটিতে পড়ে যান নাজমুল।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাছুম মিয়া জানান, শুনেছি পরকীয়া সম্পর্ক হাতেনাতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। আমাদের জানানোর পর নিজে নিজেই ওই যুবক বিচার হাতে তুলে নিয়েছে। হত্যার পর পুলিশের কাছেও আত্মসমর্পণ করেছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত মিন্টু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
এম.কন্ঠ/ ২৮ মে /এম.টি