ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে মসজিদের নাম পরিবর্তন করায় দেখা দিয়েছে দ্বন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০৪:৩০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের বড় বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে দূর্গাপুর বড় বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামের মসজিদের নাম করণ করার অভিযোগ উঠেছে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে।

এমনকি মজজিদের সভাপতিকে অমান্য করে ২৪ লাখ টাকার মধ্যে ৬ লাখ টাকা তোফাজ্জল হোসেন হিসেব দিতে পারিনি। যার হিসেবে এখনো দিতে না পারায় এলাকায় মুসুল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালিব হোসেনের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কাছে অভিযোগ দেওয়ায় এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানকে মোয়াজ্জেমের স্বজন টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকার হবিবুর রহমান মিয়ার ছেলে (শিবির ক্যাডার) সায়েস্তা করার হুমকি দেন।

স্থানীয়রা জানায়, বড়বাশালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ফাটল দেখা দিলে অন্যত্র স্থানান্তর করে পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে বড় বাশালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের নেতৃবৃন্দ। উদ্যোগের সিদ্ধান্ত অনুসারে বড় বাশালিয়া গ্রামের আজিজুর রহমান মসজিদের নামে ১০ শতাংশ জমি ওয়াকফ্ দলিল মুলে দান করেন।

এছাড়া মসজিদ নির্মাণে অর্থের যোগান দেয় বড়বাসালিয়া গ্রামবাসি। এরই প্রেক্ষিতে মসজিদ নির্মানে ২৪ লাখ টাকা কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব ইদ্রিস আলীকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও মাজেদুর নিজের ইচ্ছেমত ব্যয় করেন। এর হিসেব চাইলে মসজিদ কমিটির লোকজনের সাথে মোয়াজ্জেমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে মোয়াজ্জেম ক্ষমতা দেখিয়ে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে দূর্গাপুর বড়বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামকরণ করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এছাড়া ইতিপূর্বে তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের টাকাও নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নাশকতা মামলার আসামী ওয়াজেদ সহযোগিতায় বিভিন্নজনের জমি জোরপূর্বক দখলেরও অভিযোগ রয়েছে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে।

মুসুল্লীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদটি বড় বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই মোয়াজ্জেম হোসেন তার ইচ্ছেমত নাম পরিবর্তন করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মসজিদ নির্মাণে উনার কোন ভূমিকা না থাকলেও জোড়পূর্বক ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দূর্গাপুর বড়বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি নির্মাণের দাবি করছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

মসজিদ আল্লাহ্র ঘর, এটি কারো ব্যক্তি সম্পদ নয়। মসজিদ নিয়ে উনার এমন নোংরা রাজনীতি মেনে নেয়া যায় না। এছাড়া মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তার বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের জমিও জাল দলিল করে লিখে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোতালিব হোসেন জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন মসজিদটি নিজেদের সম্পত্তি মনে করেন। তারা মসজিদের নামে আসা অর্থ নিজেদের ইচ্ছেমত ব্যয় করেন। এর প্রতিবাদ করায় মসজিদ কমিটির লোকজন ও সাধারণ মুসুল্লিদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন।

এম.কন্ঠ/ ২৩ এপ্রিল/এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে মসজিদের নাম পরিবর্তন করায় দেখা দিয়েছে দ্বন্দ

প্রকাশ: ০৪:৩০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের বড় বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে দূর্গাপুর বড় বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামের মসজিদের নাম করণ করার অভিযোগ উঠেছে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে।

এমনকি মজজিদের সভাপতিকে অমান্য করে ২৪ লাখ টাকার মধ্যে ৬ লাখ টাকা তোফাজ্জল হোসেন হিসেব দিতে পারিনি। যার হিসেবে এখনো দিতে না পারায় এলাকায় মুসুল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালিব হোসেনের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কাছে অভিযোগ দেওয়ায় এলাকাবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যানকে মোয়াজ্জেমের স্বজন টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকার হবিবুর রহমান মিয়ার ছেলে (শিবির ক্যাডার) সায়েস্তা করার হুমকি দেন।

স্থানীয়রা জানায়, বড়বাশালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ফাটল দেখা দিলে অন্যত্র স্থানান্তর করে পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে বড় বাশালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের নেতৃবৃন্দ। উদ্যোগের সিদ্ধান্ত অনুসারে বড় বাশালিয়া গ্রামের আজিজুর রহমান মসজিদের নামে ১০ শতাংশ জমি ওয়াকফ্ দলিল মুলে দান করেন।

এছাড়া মসজিদ নির্মাণে অর্থের যোগান দেয় বড়বাসালিয়া গ্রামবাসি। এরই প্রেক্ষিতে মসজিদ নির্মানে ২৪ লাখ টাকা কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব ইদ্রিস আলীকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও মাজেদুর নিজের ইচ্ছেমত ব্যয় করেন। এর হিসেব চাইলে মসজিদ কমিটির লোকজনের সাথে মোয়াজ্জেমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে মোয়াজ্জেম ক্ষমতা দেখিয়ে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে দূর্গাপুর বড়বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামকরণ করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।

এছাড়া ইতিপূর্বে তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের টাকাও নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নাশকতা মামলার আসামী ওয়াজেদ সহযোগিতায় বিভিন্নজনের জমি জোরপূর্বক দখলেরও অভিযোগ রয়েছে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে।

মুসুল্লীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদটি বড় বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই মোয়াজ্জেম হোসেন তার ইচ্ছেমত নাম পরিবর্তন করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মসজিদ নির্মাণে উনার কোন ভূমিকা না থাকলেও জোড়পূর্বক ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দূর্গাপুর বড়বাসালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি নির্মাণের দাবি করছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

মসজিদ আল্লাহ্র ঘর, এটি কারো ব্যক্তি সম্পদ নয়। মসজিদ নিয়ে উনার এমন নোংরা রাজনীতি মেনে নেয়া যায় না। এছাড়া মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তার বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের জমিও জাল দলিল করে লিখে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোতালিব হোসেন জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন মসজিদটি নিজেদের সম্পত্তি মনে করেন। তারা মসজিদের নামে আসা অর্থ নিজেদের ইচ্ছেমত ব্যয় করেন। এর প্রতিবাদ করায় মসজিদ কমিটির লোকজন ও সাধারণ মুসুল্লিদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন।

এম.কন্ঠ/ ২৩ এপ্রিল/এম.টি