অবৈধভাবে মজুদ করে পন্যের দাম বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে..বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কৃষি বিপনন অধিদপ্তর কৃষি বিভাগের যে সব পন্য উৎপাদিত হয়, তার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছেন। তবে এটি কিন্তু নির্ধারিত নয়। আমরা মাত্র কার্যক্রমটি শুরু করেছি। ধীরে ধীরে যারা উৎপাদক, পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে পারলে দাম পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে মজুদ করে পন্যের দাম বৃদ্ধি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার মনিটরিংয়ে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদক থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যাবসায়ীদের জন্য অ্যাপস দেয়া হচ্ছে। কোন মধ্যস্বত্ব ভোগী রাখা হবেনা, যাতে করে সাধারণ ক্রেতারা হয়রানি না হয়। আমরা সারাদেশে যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি সে অনুযায়ী বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে, কয়েকটা জায়গায় কম মূল্যও বিক্রি করা হচ্ছে। চিনি ১৪০ টাকার জায়গায় ১৩৮ টাকাও বিক্রি করছে। তেল ১৬৩ টাকার বিপরিতে ১৫৮ টাকা বিক্রি করছে। সব শেষে ৫ টাকা আলুর দাম বৃদ্ধির কারন কৃষি অফিসারের কাছে জানতে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে মজুদ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযান মানুষের মধ্যে আতংঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারে পন্য সরবরাহ থাকলে মূল্যও ঠিক থাকবে। খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের জরিমানা করতে চাই না তবে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যারা উৎপাদক বা পাইকারিরা খুচরা ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল্যে দিতে পারে তাইলে তারা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারবে। খুচরা বিক্রেতা যদি সঠিক কাগজ দেখাতে পারে তাহলে তাদের জরিমানা করা হবে না।
বাজার মনিটরিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এম.কন্ঠ/১৯ মার্চ/এম.টি