ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানের পোকা নিধনে কালিহাতীতে পার্চিং উৎসব

সোহেল রানা, কালিহাতী প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১০:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 “ধানের জমিতে ডাল পুতুন, পোকার আক্রমণ রোধ করুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে বিষ প্রয়োগ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে ধানের পোকা নিধন পদ্ধতি কৃষকদের শেখাতে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পার্চিং উৎসব পালন করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কালিহাতী পৌরসভা ব্লকের ঘুনী গ্রামের কৃষক রতন চন্দ্র নাথের বোরো (ব্রি ধান- ২৯ ও ৮৯) ধান ক্ষেতে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা মামুন। এসময় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানাসহ কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষক নুরুল ইসলাম ও রতন চন্দ্র নাথ জানান, বর্তমানে ধান গাছ মোটামুটি বড় হয়েছে। এখন এতে রোগ জীবাণু যাতে না হয় এজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে পার্চিংয়ের ব্যবস্থা করতেছি। এছাড়াও এগুলোতে পাখি বসে কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলকে যাতে সুরক্ষা দেয় এবং সার ও কীটনাশক যেন না দিতে হয় এজন্যই আমরা পার্চিং করতে শুরু করেছি।

কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা মামুন জানান, ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহ্সানুল বাসার এর নির্দেশনা মোতাবেক (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা অঞ্চলের ৭ টি জেলার ৫৮৯টি ইউনিয়নের ১৮৪০টি ব্লকে একযোগে পার্চিং উৎসব পালিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিনের পরামর্শে কালিহাতী উপজেলার ৪১টি ব্লকে একযোগে এই উৎসব পালিত হয়।

তিনি আরও জানান, পার্চিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ধানের পোকা নিধন করা যায়। জমিতে পুঁতে রাখা লম্বা গাছের ডাল, বাঁশের খুঁটি বা কঞ্চিতে ফিঙেসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে। এই পাখিগুলো জমির উপরিভাগের দৃশ্যমান পোকা খেয়ে ফসল সুরক্ষা করে। এতে করে ফসলের উৎপাদন খরচ কমে আর্থিকভাবেও লাভবান হয় কৃষক। আর বিষ প্রয়োগ না করার কারণে পরিবেশ দূষিত হয় না।

 

এম.কন্ঠ/২৭ ফেব্রুয়ারি/ এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

ধানের পোকা নিধনে কালিহাতীতে পার্চিং উৎসব

প্রকাশ: ১০:৫২:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 “ধানের জমিতে ডাল পুতুন, পোকার আক্রমণ রোধ করুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে বিষ প্রয়োগ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে ধানের পোকা নিধন পদ্ধতি কৃষকদের শেখাতে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পার্চিং উৎসব পালন করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কালিহাতী পৌরসভা ব্লকের ঘুনী গ্রামের কৃষক রতন চন্দ্র নাথের বোরো (ব্রি ধান- ২৯ ও ৮৯) ধান ক্ষেতে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা মামুন। এসময় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানাসহ কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষক নুরুল ইসলাম ও রতন চন্দ্র নাথ জানান, বর্তমানে ধান গাছ মোটামুটি বড় হয়েছে। এখন এতে রোগ জীবাণু যাতে না হয় এজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে পার্চিংয়ের ব্যবস্থা করতেছি। এছাড়াও এগুলোতে পাখি বসে কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলকে যাতে সুরক্ষা দেয় এবং সার ও কীটনাশক যেন না দিতে হয় এজন্যই আমরা পার্চিং করতে শুরু করেছি।

কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা মামুন জানান, ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহ্সানুল বাসার এর নির্দেশনা মোতাবেক (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা অঞ্চলের ৭ টি জেলার ৫৮৯টি ইউনিয়নের ১৮৪০টি ব্লকে একযোগে পার্চিং উৎসব পালিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিনের পরামর্শে কালিহাতী উপজেলার ৪১টি ব্লকে একযোগে এই উৎসব পালিত হয়।

তিনি আরও জানান, পার্চিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ধানের পোকা নিধন করা যায়। জমিতে পুঁতে রাখা লম্বা গাছের ডাল, বাঁশের খুঁটি বা কঞ্চিতে ফিঙেসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে। এই পাখিগুলো জমির উপরিভাগের দৃশ্যমান পোকা খেয়ে ফসল সুরক্ষা করে। এতে করে ফসলের উৎপাদন খরচ কমে আর্থিকভাবেও লাভবান হয় কৃষক। আর বিষ প্রয়োগ না করার কারণে পরিবেশ দূষিত হয় না।

 

এম.কন্ঠ/২৭ ফেব্রুয়ারি/ এম.টি