ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
বাসাইলে হেলমেট ও লাইসেন্স না থাকায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা বাসাইলে প্রবাসবন্ধু ফোরামের আলোচনা সভা ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন শীর্ষক শিক্ষকদের কর্মশালা বাসাইলে প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার ঘাটাইলে মাটি কাটার দায়ে দুই জনকে কারাদন্ড টাঙ্গাইলে কৃষক হত্যায় মা মেয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড টাঙ্গাইলে আ.লীগের পক্ষে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, গ্রেফতার ১১ টাঙ্গাইলে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের পার্টনার কংগ্রেস ছাত্রদল নেতা সাম্য’র হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বাসাইলে অবস্থান কর্মসূচী

টাঙ্গাইলে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলে ন্যায্য মূল্যে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর হতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত ন্যায্য মূল্যে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে নারী পুরুষ ভীর জমিয়ে আছে।

এখানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতি কেজি ৩০ টাকা মূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল ও প্রতি কেজি ২৪ টাকা মূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে আটা বিক্রয় করা হচ্ছে।

কেবল অতিদরিদ্ররাই নয়, মধ্যবিত্তরাও এখন ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) খাদ্যপণ্যের ক্রেতা হয়ে উঠছে। বাজারের তুলনায় দামে অনেক সস্তা হওয়ায় এখন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্তরা ওএমএস-এর চাল-আটার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওএমএস কর্মসূচির পরিধি বাড়ালে নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও নিকট ভবিষ্যতে এর অন্যতম ক্রেতায় পরিণত হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা টাঙ্গাইল জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর ওএমএস কর্মসূচির তদারকি আরও জোরদার করেন এবং ওএমএস-এর চাল-আটা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ ও অধিকতর তদারকির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক শরীফা হক বরাবর আবেদন দাখিল করেন। টাঙ্গাইল জেলায় ওএমএস এর চাল-আটা বিক্রয় কার্যক্রমের মনিটরিং করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলে নির্বিঘ্নে উপকারভোগীগণ চাল-আটা ক্রয় করতে পারবেন মর্মে তারা মনে করেন ।

সরেজমিন বিভিন্ন ওএমএস পণ্য বিক্রির পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, এ বাজারের এসব খাদ্যদ্রব্যের সিংহভাগ ক্রেতাই হতদরিদ্র শ্রেণীর। তবে দেখা গেছে, মধ্যবিত্তদের মধ্যেও এসব পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ওএমএসএ-র আটার মান অপেক্ষাকৃত ভালো ও দাম কম হওয়ায় এই শ্রেণীর মধ্যে এর অনেক চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এ রকম অনেক ক্রেতাকে খাদ্যপণ্য কিনতেও দেখা গেছে।

ওএমএস ক্রেতা বেসরকারি চাকুরিজীবী মোতালেব হোসেন বলেন, কম বেতনের চাকরি করি। যেভাবে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে কম দামে চাল পেলে মন্দ হয় না। তবে জনপ্রতি ১০ কেজি করে দিলে আরো ভালো হতো।

বৈল্লা বাজারের ব্যবসায়ী আল আমীন বলেন, দাম কম বলে এখন অনেক মধ্যবিত্তরাও ওএমএস চাল-আটা কিনছে, আমিও এখান থেকেই চাল কিনে খাই। তবে তিনিও ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার দাবি জানান।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বলেন, অল্প হলেও ওএমএস এর প্রভাব বাজারে রয়েছে। অতিদরিদ্রদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরুতে এধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও দিনদিন মধ্যবিত্তরাও এর ক্রেতা হয়ে উঠছে।

 

এম.কন্ঠ/  ২২ এপ্রিল  /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশ: ০২:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলে ন্যায্য মূল্যে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীর হতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত ন্যায্য মূল্যে ওএমএস এর চাল ও আটা কিনতে নারী পুরুষ ভীর জমিয়ে আছে।

এখানে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতি কেজি ৩০ টাকা মূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল ও প্রতি কেজি ২৪ টাকা মূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে আটা বিক্রয় করা হচ্ছে।

কেবল অতিদরিদ্ররাই নয়, মধ্যবিত্তরাও এখন ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) খাদ্যপণ্যের ক্রেতা হয়ে উঠছে। বাজারের তুলনায় দামে অনেক সস্তা হওয়ায় এখন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্তরা ওএমএস-এর চাল-আটার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওএমএস কর্মসূচির পরিধি বাড়ালে নিম্নবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও নিকট ভবিষ্যতে এর অন্যতম ক্রেতায় পরিণত হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা টাঙ্গাইল জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর ওএমএস কর্মসূচির তদারকি আরও জোরদার করেন এবং ওএমএস-এর চাল-আটা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ ও অধিকতর তদারকির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক শরীফা হক বরাবর আবেদন দাখিল করেন। টাঙ্গাইল জেলায় ওএমএস এর চাল-আটা বিক্রয় কার্যক্রমের মনিটরিং করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলে নির্বিঘ্নে উপকারভোগীগণ চাল-আটা ক্রয় করতে পারবেন মর্মে তারা মনে করেন ।

সরেজমিন বিভিন্ন ওএমএস পণ্য বিক্রির পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, এ বাজারের এসব খাদ্যদ্রব্যের সিংহভাগ ক্রেতাই হতদরিদ্র শ্রেণীর। তবে দেখা গেছে, মধ্যবিত্তদের মধ্যেও এসব পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ওএমএসএ-র আটার মান অপেক্ষাকৃত ভালো ও দাম কম হওয়ায় এই শ্রেণীর মধ্যে এর অনেক চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এ রকম অনেক ক্রেতাকে খাদ্যপণ্য কিনতেও দেখা গেছে।

ওএমএস ক্রেতা বেসরকারি চাকুরিজীবী মোতালেব হোসেন বলেন, কম বেতনের চাকরি করি। যেভাবে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে কম দামে চাল পেলে মন্দ হয় না। তবে জনপ্রতি ১০ কেজি করে দিলে আরো ভালো হতো।

বৈল্লা বাজারের ব্যবসায়ী আল আমীন বলেন, দাম কম বলে এখন অনেক মধ্যবিত্তরাও ওএমএস চাল-আটা কিনছে, আমিও এখান থেকেই চাল কিনে খাই। তবে তিনিও ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার দাবি জানান।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বলেন, অল্প হলেও ওএমএস এর প্রভাব বাজারে রয়েছে। অতিদরিদ্রদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরুতে এধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হলেও দিনদিন মধ্যবিত্তরাও এর ক্রেতা হয়ে উঠছে।

 

এম.কন্ঠ/  ২২ এপ্রিল  /এম.টি