ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
কালিহাতীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেস্কটপ কম্পিউটার ও প্রজেক্টর বিতরণ টাঙ্গাইলে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ঘাটাইলে ঘোড়ার গাড়িতে ধান বহন টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযান টাঙ্গাইলে পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ টাঙ্গাইলে গরু ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাত রিমান্ডে কালিহাতীতে কলেজছাত্র আলীম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন টাঙ্গাইলে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে জনসংযোগ শীর্ষক সেমিনার নির্বাচিত সরকার অনির্বাচিত সরকারের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী…টুকু

৪২ হাজার টাকায় রফাদফা

টাঙ্গাইলে গাঁজা ধরে ছেড়ে দিলো মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০৫:৫৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারিকে আটক করে ৪২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কয়েক দিন যাবত জেলা শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ৯ এপ্রিল রাত ৭ টায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিবের নেতৃত্বে সদর উপজেলা বিল বাথুয়াজানী গ্রামের মো. মাসুদ মিয়ার (৩৮) বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই মো. রহমত আলী, এএসআই মো. আরিফুল হক, এএসআই আবু সাঈদ, সিপাহী প্রদীপ, নারী সিপাহী সুমিতা, সিপাহী হাফিজ, সিপাহী আশিক ও সিপাহী রিপনসহ মোট ৯ জন অংশ নেয়।

অভিযানের সময় এক কেজি গাঁজাসহ মাসুদ মিয়াকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরবর্তীতে মাসুদ মিয়াকে ছাড়াতে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। মাসুদের মা মোছা. মালা বেগম প্রতিবেশী নাসিমা বেগম, মো. নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. হাবুল মিয়ার নিকট হতে ধার করে এবং তাদের নিজের কাছে থাকা ৪২ হাজার টাকা ঘুষ দেন। ঘুষের টাকা পাওয়ার পর মো. মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেয় এবং অভিযানে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি মর্মে একটি ভিডিও ধারণ করে তারা চলে আসেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিব বলেন, আমরা অভিযান করার পর মাসুদের কাছে গাঁজা বা অন্য কোন মাদক না পাওয়ায় চলে আসি। আমাদের নামে ঘুষ নেয়ার যে বিষয়টি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যাতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করতে না পারে সে জন্য একটি চক্র তৎপর রয়েছে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি মাসুদের বাড়িতে এসে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আপনার পরবর্তীতে অবগত করা হবে।

 

এম.কন্ঠ/  ১৪ এপ্রিল  /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

৪২ হাজার টাকায় রফাদফা

টাঙ্গাইলে গাঁজা ধরে ছেড়ে দিলো মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

প্রকাশ: ০৫:৫৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

টাঙ্গাইলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারিকে আটক করে ৪২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কয়েক দিন যাবত জেলা শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ৯ এপ্রিল রাত ৭ টায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিবের নেতৃত্বে সদর উপজেলা বিল বাথুয়াজানী গ্রামের মো. মাসুদ মিয়ার (৩৮) বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই মো. রহমত আলী, এএসআই মো. আরিফুল হক, এএসআই আবু সাঈদ, সিপাহী প্রদীপ, নারী সিপাহী সুমিতা, সিপাহী হাফিজ, সিপাহী আশিক ও সিপাহী রিপনসহ মোট ৯ জন অংশ নেয়।

অভিযানের সময় এক কেজি গাঁজাসহ মাসুদ মিয়াকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরবর্তীতে মাসুদ মিয়াকে ছাড়াতে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। মাসুদের মা মোছা. মালা বেগম প্রতিবেশী নাসিমা বেগম, মো. নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মো. হাবুল মিয়ার নিকট হতে ধার করে এবং তাদের নিজের কাছে থাকা ৪২ হাজার টাকা ঘুষ দেন। ঘুষের টাকা পাওয়ার পর মো. মাসুদ মিয়াকে ছেড়ে দেয় এবং অভিযানে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি মর্মে একটি ভিডিও ধারণ করে তারা চলে আসেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিব বলেন, আমরা অভিযান করার পর মাসুদের কাছে গাঁজা বা অন্য কোন মাদক না পাওয়ায় চলে আসি। আমাদের নামে ঘুষ নেয়ার যে বিষয়টি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যাতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করতে না পারে সে জন্য একটি চক্র তৎপর রয়েছে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি মাসুদের বাড়িতে এসে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আপনার পরবর্তীতে অবগত করা হবে।

 

এম.কন্ঠ/  ১৪ এপ্রিল  /এম.টি