ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসাইলে লোডশেডিং, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

বাসাইল প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ০৮:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

টাঙ্গাইলের বাসাইলে লোডশেডিং ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের বাসাইল জোনাল অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঘনঘন লোডশেডিং ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে বাসাইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বেলা ১১টার দিকে বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শতাধিক লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় হট্টগোলের সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দিলে তারা চলে যান।

ভূক্তভোগী গ্রাহক কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ‘দিন-রাত মিলে দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। বিল আসে ডবলের চেয়েও বেশি। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে এক লোক পাশ থেকে এসে চড়াও হয়ে আমাদের শরীরে হাত তোলার জন্য এসেছিল। আমরা শুধু থামিয়েছি। তাদের ওপর হাত তুলিনি।’

ভূক্তভোগী গ্রাহক সমশের খান বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পাই না চার ঘণ্টাও। গত মাসে বিল দিয়েছি ১২শ’ টাকা। এ মাসে বিল এসেছে ২২শ’ টাকা। বিদ্যুৎ না থাকলে এত বিল আসলো কোথায় থেকে। এরা কী শুরু করেছে।’

ভূক্তভোগী গ্রাহক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দিনে দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। এছাড়াও সাড়ে ৪শ’ টাকার বিল এখন আসছে ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা। এ সমস্যায় আমরা ভূগতেছি। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিছু বললেই তারা নানান বাহানা শুরু করে।’

পল্লী বিদ্যুতের বাসাইল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ‘গতকাল গাছপালা কর্তন কাজের জন্য ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এছাড়াও টাঙ্গাইল থেকে যে লাইনটি এসেছে, সেই লাইনের তারটি রাতে পুড়ে গিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। সেই জন্য লোকজন এসেছিল। তারা আমার কাছে একটি আবেদন নিয়ে এসেছিল। এসময় অফিস পিয়নের সাথে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে। অফিসের পিয়ন চড়াও হয়। অফিস সহায়কও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছে। এসময় কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে আমার কাছে একটি আবেদন দিয়ে গেছেন। আমি তাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার আশ^াস দিয়েছি। কাল থেকে বাসাইল উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।’

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে কিছু লোকজন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে যাওয়ার পর তারা চলে যায়। এটা অফিস ঘেরাও না।’

এম.কন্ঠ/  ০১ জুলাই /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

বাসাইলে লোডশেডিং, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

প্রকাশ: ০৮:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

টাঙ্গাইলের বাসাইলে লোডশেডিং ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের বাসাইল জোনাল অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঘনঘন লোডশেডিং ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে বাসাইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বেলা ১১টার দিকে বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শতাধিক লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় হট্টগোলের সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দিলে তারা চলে যান।

ভূক্তভোগী গ্রাহক কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুদ বলেন, ‘দিন-রাত মিলে দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। বিল আসে ডবলের চেয়েও বেশি। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে এক লোক পাশ থেকে এসে চড়াও হয়ে আমাদের শরীরে হাত তোলার জন্য এসেছিল। আমরা শুধু থামিয়েছি। তাদের ওপর হাত তুলিনি।’

ভূক্তভোগী গ্রাহক সমশের খান বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পাই না চার ঘণ্টাও। গত মাসে বিল দিয়েছি ১২শ’ টাকা। এ মাসে বিল এসেছে ২২শ’ টাকা। বিদ্যুৎ না থাকলে এত বিল আসলো কোথায় থেকে। এরা কী শুরু করেছে।’

ভূক্তভোগী গ্রাহক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দিনে দুই ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। এছাড়াও সাড়ে ৪শ’ টাকার বিল এখন আসছে ১২ থেকে ১৩শ’ টাকা। এ সমস্যায় আমরা ভূগতেছি। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিছু বললেই তারা নানান বাহানা শুরু করে।’

পল্লী বিদ্যুতের বাসাইল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, ‘গতকাল গাছপালা কর্তন কাজের জন্য ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এছাড়াও টাঙ্গাইল থেকে যে লাইনটি এসেছে, সেই লাইনের তারটি রাতে পুড়ে গিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। সেই জন্য লোকজন এসেছিল। তারা আমার কাছে একটি আবেদন নিয়ে এসেছিল। এসময় অফিস পিয়নের সাথে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে। অফিসের পিয়ন চড়াও হয়। অফিস সহায়কও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছে। এসময় কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে আমার কাছে একটি আবেদন দিয়ে গেছেন। আমি তাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার আশ^াস দিয়েছি। কাল থেকে বাসাইল উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।’

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে কিছু লোকজন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছিল। খবর পেয়ে সেখানে যাওয়ার পর তারা চলে যায়। এটা অফিস ঘেরাও না।’

এম.কন্ঠ/  ০১ জুলাই /এম.টি