টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য নামাজে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন হাজারো মুসুল্লি
দেশে চলমান খড়া ও প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় দুই রাকাআত সুন্নত নামাজ ‘সালাতুল ইসতিসকার’ বা বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে দুই হাত সামনের দিকে উঁচিয়ে কাঁদলেন হাজারো মুসুল্লি।
সকাল ১০ টায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার প্রায় দেড় হাজার মুসুল্লি বৃষ্টির জন্য ইসতিসকারের এই নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সবাই মহান আল্লাহ পাকের কাছে মাফ চেয়ে গরম থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা ও বৃষ্টির জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন।
এতে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মাদ্রাসাছাত্র ও শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মুসল্লি কাদের মিয়া জানান, টানা কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের জন্য বাইরে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
মুসল্লি খালেক মিয়া (৬০) জানান, দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছেন। এজন্য তারা বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করতে আসছি। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছুই সম্ভব। আমরা মানব জাতি যতই কঠিন হইনা কেন? তিনি মহান, তার মহানুভবতায় আমরা এ সংকট থেকে পরিত্রাণ পাবো ইনশাল্লাহ।
নামাজে অংশ নেওয়া হাবিব আলম বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে নামাজ আদায় শেষে দোয়া করেছি আমরা।
এতে ইমামতি করেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খতিব ও জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ হাহাকার করছে। মহান আল্লাহ কোনও কারণে আমাদের ওপরে নারাজ হয়েছেন। এ কারণে বৃষ্টিবর্ষণ বন্ধ রেখেছেন। আজকে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করেছি।
এম.কন্ঠ/ ২৫ এপ্রিল/এম.টি