ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষক

মির্জাপুরে ২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

মির্জাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২৩টির প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে ওইসব বিদ্যালয়ে লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, এ উপজেলায় ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ৯টি বিদ্যালয়ে মামলাজনিত কারণে শূন্য রয়েছে বলে একই সূত্র জানিয়েছেন।

যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে সেগুলো হলো- তেলিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িপাড়া, মস্তমাপুর, গবড়া উত্তর, চরবিলসা, চাকলেশ্বর, অভিরামপুর, টাকিয়া কদমা, সাফর্তা, বড়চালা, দেওড়া, হিলড়া, পারদিঘী ও মোস্তফা নাজমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কোনোটা দেড় বছর, কোনোটা এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

এছাড়া মামলাজনিত কারণে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে সেগুলো হলো- বহনতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানিশাইল, কুড়িপাড়া মধুরটেকী, রহিমপুর, নিশ্চিন্তপুর পলাশতলী, দাতপাড়া, টাঙ্গাইল কটন মিলস, বংখুরী ও ছলিমনগর মীর লুৎফর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, এই ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। এসব বিদ্যালয়ে যারা প্রধান শিক্ষকের পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তারাই ওই পদে যাতে থাকতে পারেন সেজন্য তারা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। যার জন্য এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না বলে শিক্ষা অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শরিফ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের অনেক কাজ করতে হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক না থাকায় ওই সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্য শিক্ষকদের দিয়ে সেই কাজগুলো করানো হচ্ছে। যার দরুন বিদ্যালয়গুলোতে স্বাভাবিকভাবেই লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান শিক্ষক

মির্জাপুরে ২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

প্রকাশ: ০৩:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২৩টির প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে ওইসব বিদ্যালয়ে লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, এ উপজেলায় ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ৯টি বিদ্যালয়ে মামলাজনিত কারণে শূন্য রয়েছে বলে একই সূত্র জানিয়েছেন।

যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে সেগুলো হলো- তেলিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িপাড়া, মস্তমাপুর, গবড়া উত্তর, চরবিলসা, চাকলেশ্বর, অভিরামপুর, টাকিয়া কদমা, সাফর্তা, বড়চালা, দেওড়া, হিলড়া, পারদিঘী ও মোস্তফা নাজমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কোনোটা দেড় বছর, কোনোটা এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

এছাড়া মামলাজনিত কারণে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে সেগুলো হলো- বহনতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানিশাইল, কুড়িপাড়া মধুরটেকী, রহিমপুর, নিশ্চিন্তপুর পলাশতলী, দাতপাড়া, টাঙ্গাইল কটন মিলস, বংখুরী ও ছলিমনগর মীর লুৎফর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, এই ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা হয়। এসব বিদ্যালয়ে যারা প্রধান শিক্ষকের পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তারাই ওই পদে যাতে থাকতে পারেন সেজন্য তারা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। যার জন্য এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না বলে শিক্ষা অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শরিফ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের অনেক কাজ করতে হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক না থাকায় ওই সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্য শিক্ষকদের দিয়ে সেই কাজগুলো করানো হচ্ছে। যার দরুন বিদ্যালয়গুলোতে স্বাভাবিকভাবেই লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।