টাঙ্গাইলে সবজির সরবরাহ বাড়ালেও দাম চড়া, বাড়ছে পিয়াঁজের ঝাঁজ
শীতকালীন সবজির ভরপুর টাঙ্গাইলের কাচা বাজারগুলো। বর্তমানে সরবরাহ বাড়লেও দাম এখনো চড়া। ক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের সবজি আসায় আশা করেছিলাম দাম কমবে। দাম কিছুটা কমলেও তা আশানুরূপ নয়। বেড়েছে পিয়াঁজের ঝাঁজ। প্রায় এক মাসের মধ্যে পিয়াঁজের দাম বেড়েছে দিগুন।
বর্তমানে প্রতিকেজি ১১৫ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও দাম ছিল ৭৫-৮০ টাকা। গতকাল টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে সবজির সরবরাহ গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। বাজারে এখন লাই, বেগুন, টমাটো, শিম, শসা, কুমড়া, করলা, বটবটি, পুইশাকসহ প্রায় সবধরনের সবজির প্রচুর তবুও দাম কমেনি। বরং স্থিতিশীলতাবেই চড়া রয়েছে।
পাইকরাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠ থেকে উৎপাদন ভালো আসায় ট্রাকে করে প্রতি দিনই বিপুল পরিমান সবজি ঢুকছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কাঁচাবাজার গুলোতে। কিছু বাজারে আঘোষিত সিন্ডিকেট দাম কমতে দিচ্ছে না। ফলে খুচরা বাজারে আসার পর সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে আরো বেশী।
শহরের পার্কবাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রশিদ মন্ডল বলেন, আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশী পন্য পাচ্ছি। ট্রাক ভাড়া, শ্রম খরচ সব মিলিয়ে পাইকারি দাম কমানো যাচ্ছে না। তমে দাম একেবারে কমে নাই তা বলা যাবেনা। খুচরা বিক্রেতারাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে। তবে আশা করা যায় সপ্তাহে খানেক পর দাম পড়ে যাবে।
টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার, ছয় আনী বাজার ও বটতলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাযায়, বেগুন ৭৫-৮০ টাকা, বটবটি ৭০-৮০টাকা, করলা ৮৫-৯০ টাকা, লাউ ৭০-৯০ টাকা (একটি), পুইশাক ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
পার্ক বাজারে বাজার করতে আসা বাবু মিয়া বলেন, বাজারে সবজির পাহাড় সস্তা হওয়ার কথা। কিছু দাম শুনলে মাথা ঘুরে যায়। পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ সরবরাহ যখন বেড়েছে এর পরিবেশ অনুকুল, তখন দাম কমা স্বাভাবিক। কিন্তু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে দাম উচুতে ধরেগেছে।
এক খুচরা ব্যবসায়ী নয়ন মিয়া বলেন, আমাদের হাতে কিছুই নেই। পাইকারী বাজারে রাতারাতি ১০-১৫ টাকা বাড়লে আমরা কমদামে বিক্রি করবো কিভাবে।
এম.কন্ঠ/ ২৯ নভেম্বর /এম. টি






















