ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
জাতীয় ক্রিকেটে পাবনাকে ৫রানে পরাজিত করেছে টাঙ্গাইল জেলা ঘাটাইল হামিদপুর বাজারে ঔষধের দোকানে চুরি টাঙ্গাইলে মহাসড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কালিহাতীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত কালিহাতীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ প্রশাসনের সহযোগিতায় মিয়ানমারে অপহৃত কালিহাতীর মনির ফিরলো পরিবারে ঘাটাইলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে আর্থসামাজিক উন্নয়নে ষাঁড় ও বকনা বাছুর বিতরন টাঙ্গাইলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল টাঙ্গাইলে হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল সোনিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারদের সংবাদ সম্মেলন

বাদির কাছ থেকে পুলিশের এসআইয়ের ৩ লাখ টাকা দাবি

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২:০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের সখীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে ভুক্তভোগী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ওই নারী ডিবি পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা চাওয়ার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুনা খাতুন বলেন, আমি গত প্রায় এক বছর আগে রং নাম্বারে মাধ্যমে উপজেলার নলুয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমানের সাথে পরিচয় হয়। স্বামীর অবর্তমানে আমার ভাড়া বাসায় লুৎফর গিয়ে গত বছরের ২৭ মার্চ আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে জোরপূর্বক মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। লুৎফর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে কয়েকটি নগ্ন ছবি তুলে রাখে। লুৎফর আমাকে বিয়ে করার আশ্বাসে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বিরে করতে বলে। কিন্ত আমি রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় আমি স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসি। কিন্ত তার পর থেকে লুৎফর আমাকে বিয়ে করার নামে তালবাহানা ও সময়ক্ষেপন করতে থাকে।

তিনি বলেন, গত বছরের ২১ আগস্ট লুৎফরের আশ্বাসে তার এক পরিচিত লোকের বাসায় অবস্থান করি। আমার কাছ থাকা ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার লুৎফর রহমানের কাছে জমা রাখি। পরবর্তীতে সেখানেই আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এ সময় লুৎফর রহমান আমার ধর্ষণের ভিডিও ও নগ্ন ছবি সামাজিক তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আমার কাছে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫ স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

তিনি আরো বলেন, আমি এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলার পর পুলিশ ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্ত ডিবি পুলিশের মোতালেব বাসায় তদন্ত করতে গিয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছিলো। এসময় আমারে কাছে ওই এসআই ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে আমি গাড়ি ভাড়া জন্য ১০ হাজার টাকা দেই। কিন্ত এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। লুঃফর আওয়ামী লীগের নেতা। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সে এখনোও আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি এ ঘটনায় লুৎফর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোতাবেল হোসেন বলেন, আমি ওই নারীর কাছে টাকা চাইনি। আমি কিছুদিন আগে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে এসেছি।

এ প্রসঙ্গে ডিবি দক্ষিণের ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, মোতাবেল বদলি হওয়ায়এ মামলাটির তদন্ত অন্য অফিসার করেছন। তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এম.কন্ঠ/০৩ ফেব্রুয়ারী /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

বাদির কাছ থেকে পুলিশের এসআইয়ের ৩ লাখ টাকা দাবি

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ০২:০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের সখীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে ভুক্তভোগী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ওই নারী ডিবি পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা চাওয়ার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুনা খাতুন বলেন, আমি গত প্রায় এক বছর আগে রং নাম্বারে মাধ্যমে উপজেলার নলুয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমানের সাথে পরিচয় হয়। স্বামীর অবর্তমানে আমার ভাড়া বাসায় লুৎফর গিয়ে গত বছরের ২৭ মার্চ আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে জোরপূর্বক মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। লুৎফর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে কয়েকটি নগ্ন ছবি তুলে রাখে। লুৎফর আমাকে বিয়ে করার আশ্বাসে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বিরে করতে বলে। কিন্ত আমি রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় আমি স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসি। কিন্ত তার পর থেকে লুৎফর আমাকে বিয়ে করার নামে তালবাহানা ও সময়ক্ষেপন করতে থাকে।

তিনি বলেন, গত বছরের ২১ আগস্ট লুৎফরের আশ্বাসে তার এক পরিচিত লোকের বাসায় অবস্থান করি। আমার কাছ থাকা ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার লুৎফর রহমানের কাছে জমা রাখি। পরবর্তীতে সেখানেই আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এ সময় লুৎফর রহমান আমার ধর্ষণের ভিডিও ও নগ্ন ছবি সামাজিক তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আমার কাছে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫ স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

তিনি আরো বলেন, আমি এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলার পর পুলিশ ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্ত ডিবি পুলিশের মোতালেব বাসায় তদন্ত করতে গিয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছিলো। এসময় আমারে কাছে ওই এসআই ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে আমি গাড়ি ভাড়া জন্য ১০ হাজার টাকা দেই। কিন্ত এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। লুঃফর আওয়ামী লীগের নেতা। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সে এখনোও আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি এ ঘটনায় লুৎফর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোতাবেল হোসেন বলেন, আমি ওই নারীর কাছে টাকা চাইনি। আমি কিছুদিন আগে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে এসেছি।

এ প্রসঙ্গে ডিবি দক্ষিণের ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, মোতাবেল বদলি হওয়ায়এ মামলাটির তদন্ত অন্য অফিসার করেছন। তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এম.কন্ঠ/০৩ ফেব্রুয়ারী /এম.টি