ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
ঘাটাইলে দুই শিক্ষকের মৃত্যুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন টাঙ্গাইলে সমন্বিত বন্যা সহনশীল কর্মসূচি পর্যায়-৩ এর উদ্বোধন বাসাইলে গরিব-অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে পৌরসভার উদ্যোগে কম্বল বিতরণ টাঙ্গাইলে ৩দিন ব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব শুরু টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু ঘাটাইলে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ৫টি ট্রাক জব্দ কালিহাতী পৌরসভায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা কালিহাতীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে খাদ্য কর্মকর্তা ও ডিলারদের সিন্ডিকেডে দীর্ঘদিন যাবত সরকারের খাদ্য কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি অভিযোগ রয়েছে। এতে কার্ডধারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পাতুলীপাড়া এলাকার আরিফ হোসেন নামের এক ডিলার কালোবাজারের মাধ্যমে ২৬ বস্তা চাল বিক্রি করেন। সেই চাল সদর উপজেলার পাইকমুড়িল গ্রামের আলামিন নামের এক ব্যবসায়ী কিনে নেন। অভিযোগ রয়েছে, আলামিলের বাবা বিশ্বাস বেতকা ফুড অফিসের দারোয়ানের চাকরী করার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কালোবাজারের মাধ্যমে কিনে নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন গ্রাহক বলেন, সকাল থেকে অনেক সময় আমরা চালের জন্য লাইনে থাকি। দুপুর ১২ টার মধ্যে চাল শেষ হয়েছে বলে জানান ডিলাররা। তবে তারা সিন্ডিকেড করে চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন। খাদ্য পরিদর্শকরাও এ বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ না নেয়ায় ডিলাররা অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন গ্রাহকরা।

অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেন, আমি চাল গরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনেছি। কোন কালোবাজারির সাথে আমি জড়িত নয়।

সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মো. মুসা বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালো বাজারে বিক্রি হয় না। গরুর খামারে বা বাইরে বিক্রির সুযোগ নেই। তবে এ রকম কেউ করলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। আলামিনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পরও বিশ^াস করতে অনীহা প্রকাশ করেন খাদ্য কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার বলেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

 

এম.কন্ঠ/ ০৩ ডিসেম্বর /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি

প্রকাশ: ০১:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে খাদ্য কর্মকর্তা ও ডিলারদের সিন্ডিকেডে দীর্ঘদিন যাবত সরকারের খাদ্য কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি অভিযোগ রয়েছে। এতে কার্ডধারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পাতুলীপাড়া এলাকার আরিফ হোসেন নামের এক ডিলার কালোবাজারের মাধ্যমে ২৬ বস্তা চাল বিক্রি করেন। সেই চাল সদর উপজেলার পাইকমুড়িল গ্রামের আলামিন নামের এক ব্যবসায়ী কিনে নেন। অভিযোগ রয়েছে, আলামিলের বাবা বিশ্বাস বেতকা ফুড অফিসের দারোয়ানের চাকরী করার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কালোবাজারের মাধ্যমে কিনে নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন গ্রাহক বলেন, সকাল থেকে অনেক সময় আমরা চালের জন্য লাইনে থাকি। দুপুর ১২ টার মধ্যে চাল শেষ হয়েছে বলে জানান ডিলাররা। তবে তারা সিন্ডিকেড করে চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন। খাদ্য পরিদর্শকরাও এ বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ না নেয়ায় ডিলাররা অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন গ্রাহকরা।

অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেন, আমি চাল গরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনেছি। কোন কালোবাজারির সাথে আমি জড়িত নয়।

সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মো. মুসা বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালো বাজারে বিক্রি হয় না। গরুর খামারে বা বাইরে বিক্রির সুযোগ নেই। তবে এ রকম কেউ করলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। আলামিনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পরও বিশ^াস করতে অনীহা প্রকাশ করেন খাদ্য কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার বলেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

 

এম.কন্ঠ/ ০৩ ডিসেম্বর /এম.টি