ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
আগামীতে তারেক রহমানই দেশের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করবে…আব্দুস সালাম পিন্টু ৬ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে টাঙ্গাইলের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইলে ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ের অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সংক্রান্ত কর্মশালা কালিহাতীতে কলেজ ছাত্র হত্যায় গ্রেফতার নিয়ে ধুম্রজাল কালিহাতীতে ছাত্রদল ও সাম্যের পথে বৈশাখী আড্ডা কালিহাতীতে বই দেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো শিক্ষার্থীরা নিখোঁজের ৩ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কলেজছাত্রের লাশ কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কালিহাতীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা কালিহাতীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ অফিস হামলা

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বর আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০৯:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

টাঙ্গাইলে জেলা ছাত্রলীগ অফিসে হামলা করে ভাংচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমদু ফরিদ, সহ-সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বাচ্চুসহ অন্তত ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। এতে প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বাদি হয়ে ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ জানান, ১৮ জুলাই জেলা ছাত্রলীগ অফিসে সভা শেষ করে ১ টার দিকে নিচে নামছিলেন। হঠাৎ আন্দোলনকারীরা দুই পাশ থেকে এসে তাদের ধাওয়া করেন। পরে তারা পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালা দেন। আন্দোলনকারীরা তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবিসহ থাই গ্লাস ভাংচুর করে। নিজেদের জীবন বাজি রেখে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে নিরাপদে রাখতে ওয়াশরুমে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙতে বাঁধা দিলে তারা উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। আন্দোলনকারীরা হাতুরী, রাম দা, লোহার রডসহ দেশীর অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ, সহ-সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বাচ্চুসহ অন্তত ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা আহতদের পাশে থেকে চিকিৎসার ব্যয়বার বহন করছেন।

ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ বলেন, যারা আমার দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে আমাদের উপর হামলা করেছে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী না। ছাত্রদল ও শিবিরের নেতারা আমাদের নাম বলে বেদম মারধর করেছে। আমি হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগ অফিসের প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। তারা ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার। তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

এম.কন্ঠ/  ২৭ জুলাই /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ অফিস হামলা

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বর আহত ৬

প্রকাশ: ০৯:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

টাঙ্গাইলে জেলা ছাত্রলীগ অফিসে হামলা করে ভাংচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমদু ফরিদ, সহ-সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বাচ্চুসহ অন্তত ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। এতে প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বাদি হয়ে ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ জানান, ১৮ জুলাই জেলা ছাত্রলীগ অফিসে সভা শেষ করে ১ টার দিকে নিচে নামছিলেন। হঠাৎ আন্দোলনকারীরা দুই পাশ থেকে এসে তাদের ধাওয়া করেন। পরে তারা পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালা দেন। আন্দোলনকারীরা তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবিসহ থাই গ্লাস ভাংচুর করে। নিজেদের জীবন বাজি রেখে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে নিরাপদে রাখতে ওয়াশরুমে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙতে বাঁধা দিলে তারা উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। আন্দোলনকারীরা হাতুরী, রাম দা, লোহার রডসহ দেশীর অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ, সহ-সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বাচ্চুসহ অন্তত ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা আহতদের পাশে থেকে চিকিৎসার ব্যয়বার বহন করছেন।

ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ বলেন, যারা আমার দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে আমাদের উপর হামলা করেছে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী না। ছাত্রদল ও শিবিরের নেতারা আমাদের নাম বলে বেদম মারধর করেছে। আমি হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগ অফিসের প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। তারা ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার। তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

এম.কন্ঠ/  ২৭ জুলাই /এম.টি