টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ অফিস হামলা
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বর আহত ৬
টাঙ্গাইলে জেলা ছাত্রলীগ অফিসে হামলা করে ভাংচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমদু ফরিদ, সহ-সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বাচ্চুসহ অন্তত ৬ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। এতে প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বাদি হয়ে ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ জানান, ১৮ জুলাই জেলা ছাত্রলীগ অফিসে সভা শেষ করে ১ টার দিকে নিচে নামছিলেন। হঠাৎ আন্দোলনকারীরা দুই পাশ থেকে এসে তাদের ধাওয়া করেন। পরে তারা পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালা দেন। আন্দোলনকারীরা তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবিসহ থাই গ্লাস ভাংচুর করে। নিজেদের জীবন বাজি রেখে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে নিরাপদে রাখতে ওয়াশরুমে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙতে বাঁধা দিলে তারা উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। আন্দোলনকারীরা হাতুরী, রাম দা, লোহার রডসহ দেশীর অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ, সহ-সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বাচ্চুসহ অন্তত ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা আহতদের পাশে থেকে চিকিৎসার ব্যয়বার বহন করছেন।
ফিরোজ মাহমুদ ফরিদ বলেন, যারা আমার দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে আমাদের উপর হামলা করেছে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী না। ছাত্রদল ও শিবিরের নেতারা আমাদের নাম বলে বেদম মারধর করেছে। আমি হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগ অফিসের প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। তারা ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার। তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
এম.কন্ঠ/ ২৭ জুলাই /এম.টি