কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অবস্থান
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন ধরে অবস্থান করছেন শান্তা আক্তার (২৩) নামে এক সন্তানের জননী। দাবি না মানলে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার থেকে উপজেলার খালুয়াবাড়ি গ্রামে প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে এ অনশন শুরু করেছেন তিনি। সোহাগ একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহাগ।
শান্তা আক্তার কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ইপিজেডে জব করতেন। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
জানা গেছে, এক বছর আগে টিকটকে মাধ্যমে মোবাইলে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পর থেকে তাদের দু’জনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা তালবাহানা শুরু করেন সোহাগ।
একপর্যায়ে প্রেমিক সোহাগ বাড়িতে আসতে বললে ছুটে আসেন ওই নারী তার বাড়িতে। খবর পেয়ে সোহাগ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। চারদিন ধরে সেখানে অনশন করেছেন শান্তা আক্তার। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি। এদিকে, প্রেমিকা আসার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহাগ।
ভুক্তভোগী শান্তা আক্তার বলেন, ‘বিয়ের আশ্বাসে সোহাগ আমার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করেছে। আমার সর্বনাশ করেছে সে। এখন বিয়ে না করলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। এছাড়াও তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছেন।
অভিযুক্ত সোহাগ আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কালিহাতী থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, এবিষয়ে জানতে পেয়েছি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ দিলে তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
এম.কন্ঠ/ ২২ জুন /এম.টি