ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
বাসাইলে ট্রাক্টর-অটোরিকশার সংঘর্ষে অটোচালক নিহত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনকে কোনভাবেই বিতর্কিত করা যাবেনা…টুকু প্রথম আলো বন্ধুসভা টাঙ্গাইল শাখার কমিটিতে জয় ঘোষ সভাপতি ও সম্পাদক লুপিন কালিহাতীতে ব্লাড ফাউন্ডেশনের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিএনপি শিক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে…সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কালিহাতীতে ট্রাকের চাপায় মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত গুঁড়িয়ে দেয়া হল টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগের কার্যালয় ও সভাপতির বাড়ী তারুন্যের উৎসবে টাঙ্গাইলে টি-১০, সিক্সার্স ও ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে কালিহাতীর যুবক খুন

কালিহাতীতে ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যা, ৫০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামি

তারেক আহমেদ
প্রকাশ: ০১:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার একমাস ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও মাটির ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বাদী পরিবার ও সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর আগে ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া স্বজনদের কাছে হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ যুগান্তর প্রতিনিধির হাতে রয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে ব্যবসায়ী বাবলু মিয়াকে ডেকে এনে কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা বাজার একটি দোকানে ভেতরে ঢুকিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা। বাবলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। গুরুত্ব অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে গত ১৮ নভেম্বর সোমবার ঢাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মিয়ার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর একমাস ২০ দিন পেরিয়ে গেছে।হত্যাকাণ্ডে জড়িত অজ্ঞাত ও এজাহারভুক্ত আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বাদী কামাল হোসেন জানান,হত্যাকারী আসামিদের আত্মীয় রয়েছে এডিশনাল ডিআইজি ও ওসি। তাদের তদবির ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। বাদী আরও বলেন আসামিদের পক্ষে সবুজ নামে এক ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা করতে বলে আসছেন। পুলিশ দেড় মাসে এলাকায় ৩ দিন এসেছিল। পুলিশ ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ থাকায় বাদী মামলাটি অন্যথায় হস্তান্তর করবে হবে বলে জানান।

নামে প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পুলিশ চাইলেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবকিছু করতে পারে। এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের হোতারা দ্রুত গ্রেফতার না হলে আসামি গ্রেফতারে পুলিশের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে প্রশ্ন উঠবে।

কালিহাতী থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাবলু মিয়ার বাবা কামাল হোসেন কালিহাতী থানায় গত ১৮ নভেম্বর সোমবার কালিহাতীর গান্ধিনা গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে হাসান মিয়া, মামুন মিয়া, বছির মিয়ার ছেলে রাহিম মিয়া, সাদেক আলী,সখিপুরের কালিয়ান গ্রামের বাকী মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া, মৃত মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে মনির মিয়া,মশিউর রহমান রুবেল, জিন্নাহ ছেলে সোহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়ার ছেলে আসলাম সিকদার নোবেল, সিদ্দিক আলীর ছেলে আসাদ মিয়া, শামসুল হকের ছেলে গোলাপ মিয়া, মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান,জিন্নাহ মিয়া ও মৃত আজাহার মিয়ার ছেলে জামাল হোসেনসহ ৫/৬ অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এবিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া তদবির বিষয়ে অস্বীকার করে জানান,এ মামলায় কোন তদবির নেই। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে আসামিদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে সিম খুলে রেখেছে।

এম.কন্ঠ/ ০৫ জানুয়ারী /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

কালিহাতীতে ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যা, ৫০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামি

প্রকাশ: ০১:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার একমাস ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও মাটির ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বাদী পরিবার ও সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর আগে ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া স্বজনদের কাছে হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ যুগান্তর প্রতিনিধির হাতে রয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে ব্যবসায়ী বাবলু মিয়াকে ডেকে এনে কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা বাজার একটি দোকানে ভেতরে ঢুকিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা। বাবলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। গুরুত্ব অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে গত ১৮ নভেম্বর সোমবার ঢাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মিয়ার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর একমাস ২০ দিন পেরিয়ে গেছে।হত্যাকাণ্ডে জড়িত অজ্ঞাত ও এজাহারভুক্ত আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বাদী কামাল হোসেন জানান,হত্যাকারী আসামিদের আত্মীয় রয়েছে এডিশনাল ডিআইজি ও ওসি। তাদের তদবির ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। বাদী আরও বলেন আসামিদের পক্ষে সবুজ নামে এক ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা করতে বলে আসছেন। পুলিশ দেড় মাসে এলাকায় ৩ দিন এসেছিল। পুলিশ ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ থাকায় বাদী মামলাটি অন্যথায় হস্তান্তর করবে হবে বলে জানান।

নামে প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পুলিশ চাইলেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবকিছু করতে পারে। এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের হোতারা দ্রুত গ্রেফতার না হলে আসামি গ্রেফতারে পুলিশের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে প্রশ্ন উঠবে।

কালিহাতী থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাবলু মিয়ার বাবা কামাল হোসেন কালিহাতী থানায় গত ১৮ নভেম্বর সোমবার কালিহাতীর গান্ধিনা গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে হাসান মিয়া, মামুন মিয়া, বছির মিয়ার ছেলে রাহিম মিয়া, সাদেক আলী,সখিপুরের কালিয়ান গ্রামের বাকী মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া, মৃত মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে মনির মিয়া,মশিউর রহমান রুবেল, জিন্নাহ ছেলে সোহেল মিয়া, শাহজাহান মিয়ার ছেলে আসলাম সিকদার নোবেল, সিদ্দিক আলীর ছেলে আসাদ মিয়া, শামসুল হকের ছেলে গোলাপ মিয়া, মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান,জিন্নাহ মিয়া ও মৃত আজাহার মিয়ার ছেলে জামাল হোসেনসহ ৫/৬ অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এবিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া তদবির বিষয়ে অস্বীকার করে জানান,এ মামলায় কোন তদবির নেই। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে আসামিদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে সিম খুলে রেখেছে।

এম.কন্ঠ/ ০৫ জানুয়ারী /এম.টি