ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
শহীদদের স্মরণে গোপালপুরে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন আওয়ামী লীগ যা করছে বিএনপি তা করবে না…আব্দুস সালাম পিন্টু অর্ধ যুগেও সংস্কার হয়নি, ১২০ মিটার সড়কই এখন গলার কাঁটা বিএনপির সাথে থাকা অবস্থায় জামায়াতে ইসলামীর অনেক দায় আমাদের দল নিয়েছে…টুকু টাঙ্গাইলে তানযীমুল উম্মাহ মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা ৩০ বছর ধরে শিকলে বাঁধা অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত সাইফুল টাঙ্গাইল শহরের তাহসিন শোরুমের উদ্বোধন গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ গোপালগঞ্জের হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে জামায়াতের বিক্ষোভ

টাঙ্গাইলে আইনজীবী সহকারী সমিতির নির্বাচন জমে উঠেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে আইনজীবী সহকারী সমিতির (অ্যাডভোকেট ক্লার্ক) আসন্ন নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দারে-দারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে আদালত চত্ত্বর ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

আদালত চত্ত্বরের চায়ের দোকানগুলোতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। জাকজমকপুর্ণ এ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

জানাগেছে, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতে জেলা শাখা টাঙ্গাইলে মোট ভোটার সংখ্যা সংখ্যা রয়েছে ৫৫০ জন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উৎসব বাড়ছে। ইতোমধ্যে ভোটাররা সকল পদে ভোট নির্ধারণ করলেও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে মুখ খুলছে না। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মো. কামাল হোসাইন এবং আবুল হাসনাত রাসেল।

সাধারণ ভোটারদের অনেকেই জানায়, সাধারণ সম্পাদক পদে পদ প্রার্থী মো. কামাল হোসাইন একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। তার কোন দোষত্রুটি নেই। সিনিয়রদের সাথে বিনয়ী ব্যবহার ও জুনিয়দের সাথে রয়েছে নিবির সম্পর্ক। এছাড়াও কামাল হোসেন একজন সৎ চরিত্রবান মানুষ। তারা আরও জানায়, সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল নির্বাচিত হলে সমিতির কোন প্রকার ক্ষতি হবেনা। কোন সদস্যদের সাথেও অসৎআচরণ করবে না। তাদের দাবি এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল হোসাইন বিজয়ী হবে।

পক্ষান্তরে তারা জানায় অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবুল হাসনাত রাসেল একজন বেয়াদব প্রকৃতির মানুষ। সিনিয়রদের সাথে অসৎআচারণ এবং জুনিয়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ তার নিত্যদিনের স্বভাব। এছাড়াও রাসেলের কাজকর্ম ভিন্ন ধরনের, সে মুহুরীগীরীর পাশাপাশি কাজীর কাবিননামা ভলিয়ম বই এনে সেরেস্তায় এফিডেফিডসহ কাবিন করে। বাড়ি থেকে পালানো অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের মোটা টাকার বিনিময়ে বিয়ে পড়ায় যা আদালত অঙ্গনে প্রচারিত।

এছাড়াও প্রেম করে বাড়ি থেকে পালানো ছেলে-মেয়েরা রাসেলের কারণে সহজেই বিয়ে করতে পারে। এতে করে অসংখ্য মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে এমন অভিযোগ অনেক অভিভাবকের। তারা আরও জানায়, যে বাল্য বিবাহ পড়াতে পারে তার দ্ধারা সমিতির কি উন্নয়ন হবে।

সিনিয়র ভোটাররা জানায় টাকার বিনিময়ে ভোটার বানিয়ে সিন্ডিকেট তৈরী করেছে সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রার্থী রাসেল। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়ী হতে চায়। অতীতেও এভাবে অনেক প্রার্থী ইতোপুর্বে এই সমিতির নেতা হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ওই সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় সাধারণ ভোটাররা।

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর আইনজীবী সহকারী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে।

 

এম.কন্ঠ/ ২৫ নভেম্বর /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে আইনজীবী সহকারী সমিতির নির্বাচন জমে উঠেছে

প্রকাশ: ০২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

টাঙ্গাইলে আইনজীবী সহকারী সমিতির (অ্যাডভোকেট ক্লার্ক) আসন্ন নির্বাচন জমে উঠেছে। প্রার্থীরা ভোটারদের দারে-দারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে আদালত চত্ত্বর ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

আদালত চত্ত্বরের চায়ের দোকানগুলোতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। জাকজমকপুর্ণ এ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

জানাগেছে, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতে জেলা শাখা টাঙ্গাইলে মোট ভোটার সংখ্যা সংখ্যা রয়েছে ৫৫০ জন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উৎসব বাড়ছে। ইতোমধ্যে ভোটাররা সকল পদে ভোট নির্ধারণ করলেও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে মুখ খুলছে না। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মো. কামাল হোসাইন এবং আবুল হাসনাত রাসেল।

সাধারণ ভোটারদের অনেকেই জানায়, সাধারণ সম্পাদক পদে পদ প্রার্থী মো. কামাল হোসাইন একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। তার কোন দোষত্রুটি নেই। সিনিয়রদের সাথে বিনয়ী ব্যবহার ও জুনিয়দের সাথে রয়েছে নিবির সম্পর্ক। এছাড়াও কামাল হোসেন একজন সৎ চরিত্রবান মানুষ। তারা আরও জানায়, সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল নির্বাচিত হলে সমিতির কোন প্রকার ক্ষতি হবেনা। কোন সদস্যদের সাথেও অসৎআচরণ করবে না। তাদের দাবি এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল হোসাইন বিজয়ী হবে।

পক্ষান্তরে তারা জানায় অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবুল হাসনাত রাসেল একজন বেয়াদব প্রকৃতির মানুষ। সিনিয়রদের সাথে অসৎআচারণ এবং জুনিয়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ তার নিত্যদিনের স্বভাব। এছাড়াও রাসেলের কাজকর্ম ভিন্ন ধরনের, সে মুহুরীগীরীর পাশাপাশি কাজীর কাবিননামা ভলিয়ম বই এনে সেরেস্তায় এফিডেফিডসহ কাবিন করে। বাড়ি থেকে পালানো অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের মোটা টাকার বিনিময়ে বিয়ে পড়ায় যা আদালত অঙ্গনে প্রচারিত।

এছাড়াও প্রেম করে বাড়ি থেকে পালানো ছেলে-মেয়েরা রাসেলের কারণে সহজেই বিয়ে করতে পারে। এতে করে অসংখ্য মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে এমন অভিযোগ অনেক অভিভাবকের। তারা আরও জানায়, যে বাল্য বিবাহ পড়াতে পারে তার দ্ধারা সমিতির কি উন্নয়ন হবে।

সিনিয়র ভোটাররা জানায় টাকার বিনিময়ে ভোটার বানিয়ে সিন্ডিকেট তৈরী করেছে সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রার্থী রাসেল। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়ী হতে চায়। অতীতেও এভাবে অনেক প্রার্থী ইতোপুর্বে এই সমিতির নেতা হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ওই সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় সাধারণ ভোটাররা।

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর আইনজীবী সহকারী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে।

 

এম.কন্ঠ/ ২৫ নভেম্বর /এম.টি