টাঙ্গাইলে নৈরাজ্যবাদ বিরোধী সমাবেশে
আ.লীগ রাতে কাল নাগিনী হয়ে ছোঁবল মারতো আবার দিনের আলোতে ওঝা হয়ে ঝাড়তো…আল্লামা মামুনুল হক
আওয়ামী লীগের এতো শক্তি ছিল, শেখ হাসিনার পালিত শক্তি, সেই লীগেরা রাতের অন্ধকারে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে কাল নাগিনী হয়ে ছোঁবল মারতো আবার দিনের আলোতে তারা ওযা হয়ে ঝাড়তে আসতো। এই নাটক করেছে আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল পৌর উদ্যানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে নৈরাজ্যবাদ বিরোধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ মোনাফেক শক্তিকে বাংলাদেশে রাজনীতে আর পূর্নবাসিত হতে দেয়া হবে না। সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশের করেছে এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের ৯০ ভাগ মুসলিমদের চেতনা, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যদি সম্মান জানাতে না পারেন এদেশে কোন দিনও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থান ভাল রাখা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে ভারতের মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুসুলমানদের রক্তের সঙ্গে উপহাস করা হয়েছিল তখন হেফাজত ইসলাম প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে হেফাজতের প্রায় ২০-৩০ জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশ থেকে আল্লাহ পাক শেখ হাসিনাকে অপসারন করে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশে পরাজিত শক্তি বসে নেই। কথিত স্বৈরাচার আবার বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপর ছোবল মারার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে। ৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমরা সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ অন্য দেশের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ৭২ এ সংবিধান করে ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। এছাড়া গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।
জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ, জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান, জেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আশরাফুজ্জামান কাশেমী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এম.কন্ঠ/ ১৪ সেপ্টেম্বর /এম.টি