ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ
বানভাসি মানুষের পাশে দাড়াবে টাঙ্গাইলের “রাইজিং হোপ ফাউন্ডেশন” টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ঘাটাইলে পৃথক স্থান থেকে তিন জনের লাশ উদ্ধার গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে…শাকিলউজ্জামান টাঙ্গাইলে পরিবহন খাত ছিল বড় মনিরের মুঠোয় আনুহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ টাঙ্গাইলে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন এলেঙ্গা শামছুল হক মহাবিদ্যালয় কলেজের জমি প্রতারণা করে অধ্যক্ষের যোগসাজশে লিখে নিয়েছেন স্ত্রী মীনা টাঙ্গাইলে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার টাঙ্গাইলে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

টাঙ্গাইল সদরে ওএমএস’র কেন্দ্রে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২:২২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

টাঙ্গাইল সদরে ওএমএস’র কেন্দ্রে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে দীর্ঘ লাইনে দাাঁড়িয়ে থেকে ক্রেতারা চাল-আটা গ্রহন করছেন। আবার কেউ কেউ না পেয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন বাড়ি এমনও অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের । নারী ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি। তবে স্থানীয়দের দাবী চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ কম, তাই বরাদ্ধ বাড়াতে হবে। আর এরমধ্যে আটার চাহিদা বেশি রয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত টাঙ্গাইল সদরে ১৬টি ওএমএস’র কেন্দ্রে রয়েছে।

দিঘুলীয়া, কালিপুর, পার্ক বাজার, সন্তোষ, আকুর-টাকুর, বৈল্ল্যা বাজারে ও এম এস’র কেন্দ্রে দেখা যায় যে ১২০ টাকায় কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল পাওয়ার অপেক্ষায় ভোর থেকেই হাতে ব্যাগ নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক নারী-পুরুষ। এরমধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়।

ওএমএস কেন্দ্রে পণ্য নিতে আসা নারী-পুরুষ বাহিরে বাজারে আটা-চালের দাম বেশি থাকায় এখান থেকে আটা ও চাল ক্রয় করে এসেছে। সখিনা নামক এক নারী জানান, আমার স্বামী ভ্যান চালক। তার পরিবারে ৪জন সদস্য রয়েছে, ভ্যান চালিয়ে যে টাকা প্রতিদিন রোজগার করে তা দিয়ে আমার সংসার চালানো কষ্টকর। তাই এখান থেকে প্রায়ই আটা-চাল নিতে আসি। আবার কেউ কেউ বলেন, অনেক সময় লাইনে দাড়িয়েও নিতে পারছেনা। কারণ চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ থাকায় খালি হাতে ফেরত যেতে হয় ।

সন্তোষ এলাকার আরজিনা নামক এক ক্রেতা জানান, সন্তোষ কেন্দ্রে পরপর ২দিনে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে থেকেও আটা নিয়ে পারি নাই, আজ (সোমবার) আমি পার্ক বাজার ও এম এস কেন্দ্রে আটা নিতে এসেছি। দিঘুুলীয়া ও এম এস কেন্দ্রের ডিলার খন্দকার রুবেল বলেন, আমাদের বরাদ্ধকৃত আটা-চাল যথা নিয়মে ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে। তবে এ কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারীদের সংখ্যা বেশি।

এ কেন্দ্রে ও এম এস’র পণ্য নিতে আসা নুরজাহান বেগম বলেন, ওএমএস’র বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাহলে আমাদের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের উপকার হবে। পার্ক বাজারে ওএমএস’র ডিলার মো: জোয়াহের আলী বলেন, প্রতিদিন এক ডিলারের জন্য বরাদ্ধ এক টন চাল ও এক টন আটা। সকাল থেকেই দাড়িয়ে থাকেন ক্রেতারা। প্রতি জনকে ১২০ টাকায় ৫ কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। তবে আটার চাহিদা বেশি। এ কেন্দ্রে কর্তব্যরত খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য পরিদর্শক আহমাদুর রহমান জানান, যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এটি নিয়ম অনযায়ী দেওয়া হচ্ছে। প্রতি জনকে ৫ কেজি আটা ও ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মোঃ মুছা জানান, সদরে ১৬টি ওএমএস কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিদিন একজন ডিলারের জন্য এক টন চাল ও ১টন আটা রয়েছে। চাল ও আটার সঠিকভাবে ক্রেতাদের মাঝে দেওয়ার বিষয়টি তদারকির জন্য ২জন করে উপ-খাদ্য পরিদর্শক রয়েছে। কোথাও কোন অনিয়ম ঘটলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো।

এম.কন্ঠ/ ১৩ অগাস্ট  /এম.টি

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইল সদরে ওএমএস’র কেন্দ্রে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় 

প্রকাশ: ০২:২২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

টাঙ্গাইল সদরে ওএমএস’র কেন্দ্রে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে দীর্ঘ লাইনে দাাঁড়িয়ে থেকে ক্রেতারা চাল-আটা গ্রহন করছেন। আবার কেউ কেউ না পেয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন বাড়ি এমনও অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের । নারী ক্রেতাদের সংখ্যা বেশি। তবে স্থানীয়দের দাবী চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ কম, তাই বরাদ্ধ বাড়াতে হবে। আর এরমধ্যে আটার চাহিদা বেশি রয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত টাঙ্গাইল সদরে ১৬টি ওএমএস’র কেন্দ্রে রয়েছে।

দিঘুলীয়া, কালিপুর, পার্ক বাজার, সন্তোষ, আকুর-টাকুর, বৈল্ল্যা বাজারে ও এম এস’র কেন্দ্রে দেখা যায় যে ১২০ টাকায় কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল পাওয়ার অপেক্ষায় ভোর থেকেই হাতে ব্যাগ নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক নারী-পুরুষ। এরমধ্যে নারীদের সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়।

ওএমএস কেন্দ্রে পণ্য নিতে আসা নারী-পুরুষ বাহিরে বাজারে আটা-চালের দাম বেশি থাকায় এখান থেকে আটা ও চাল ক্রয় করে এসেছে। সখিনা নামক এক নারী জানান, আমার স্বামী ভ্যান চালক। তার পরিবারে ৪জন সদস্য রয়েছে, ভ্যান চালিয়ে যে টাকা প্রতিদিন রোজগার করে তা দিয়ে আমার সংসার চালানো কষ্টকর। তাই এখান থেকে প্রায়ই আটা-চাল নিতে আসি। আবার কেউ কেউ বলেন, অনেক সময় লাইনে দাড়িয়েও নিতে পারছেনা। কারণ চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ থাকায় খালি হাতে ফেরত যেতে হয় ।

সন্তোষ এলাকার আরজিনা নামক এক ক্রেতা জানান, সন্তোষ কেন্দ্রে পরপর ২দিনে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে থেকেও আটা নিয়ে পারি নাই, আজ (সোমবার) আমি পার্ক বাজার ও এম এস কেন্দ্রে আটা নিতে এসেছি। দিঘুুলীয়া ও এম এস কেন্দ্রের ডিলার খন্দকার রুবেল বলেন, আমাদের বরাদ্ধকৃত আটা-চাল যথা নিয়মে ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে। তবে এ কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারীদের সংখ্যা বেশি।

এ কেন্দ্রে ও এম এস’র পণ্য নিতে আসা নুরজাহান বেগম বলেন, ওএমএস’র বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাহলে আমাদের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের উপকার হবে। পার্ক বাজারে ওএমএস’র ডিলার মো: জোয়াহের আলী বলেন, প্রতিদিন এক ডিলারের জন্য বরাদ্ধ এক টন চাল ও এক টন আটা। সকাল থেকেই দাড়িয়ে থাকেন ক্রেতারা। প্রতি জনকে ১২০ টাকায় ৫ কেজি আটা ও ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। তবে আটার চাহিদা বেশি। এ কেন্দ্রে কর্তব্যরত খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য পরিদর্শক আহমাদুর রহমান জানান, যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এটি নিয়ম অনযায়ী দেওয়া হচ্ছে। প্রতি জনকে ৫ কেজি আটা ও ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মোঃ মুছা জানান, সদরে ১৬টি ওএমএস কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিদিন একজন ডিলারের জন্য এক টন চাল ও ১টন আটা রয়েছে। চাল ও আটার সঠিকভাবে ক্রেতাদের মাঝে দেওয়ার বিষয়টি তদারকির জন্য ২জন করে উপ-খাদ্য পরিদর্শক রয়েছে। কোথাও কোন অনিয়ম ঘটলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো।

এম.কন্ঠ/ ১৩ অগাস্ট  /এম.টি