করটিয়ার ফারিক ফেব্রিক্স কুটির শিল্পের চাহিদায় এখন বিশ্বমুখি
পাটের সুতা থেকে কাপড় বানিয়ে ফারিক ফেব্রিক্স শিল্পের চাহিদা এখন বিশ^মুখি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরন করে দেশের বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরনে ব্যস্ত টাঙ্গাইল সদরের করটিয়া ইউনিয়নের গড়াশিন গ্রামের কুটির শিল্পের প্রতিষ্ঠান ফারিক ফেব্রিক্স ।
করটিয়া জমিদার বাড়ীর কর্মচারী মরহুম সামান আলীর ৭ ছেলের একজন মোঃ সিদ্দিক হোসেন চাকরীজীবি পেশা বাদ দিয়ে নিজ বাড়ীতে ১৯৮৫ সালে গড়ে তুলেন বস্ত্র তেরীর ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের কারখানা। শুরু থেকে পাটের সুতা রং করে কাপড় তৈরী করে ঢাকার বিভিন্ন বন্ত্র প্রতিষ্ঠানে পাঠাতেন। এভাবেই চলছিল অনেক কাল। কিন্তু মহামারী করোনার ছোবলে ২০২১ সালে ৬০ বছর বয়সী মোঃ সিদ্দিক হোসেন মারা গেলে তার স্ত্রী ফাতেমা সুলতানা সিদ্দিকীর উপর দায়িত্ব বর্তায় ফারিক ফেব্রিক্স ফ্যাক্টরী চালানোর। তার তিন ছেলে মোবারক হোসেন ফাহিম, হাসিবুল ও ফারিক।
৩০ বছর বয়সী মোঃ মোবারক হোসেন ফাহিম ও মেজ ছেলে মোঃ হাসিবুল হোসেন তার মাকে সহযোগিতা করে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তার মা ফাতেমা সুলতানা সিদ্দিকী পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয় জেডিপিসি সম্মানিত সদস্য। ফারিক ফেব্রিক্স এর রং করা সুতা থেকে কাপড় বানিয়ে ঢাকার বিভিন্ন নামী দামী বস্ত্র হাউজে দিলে তাদের হাতে পাটের ব্যাগ, কম্পিউটার ল্যাপটপের ব্যাগ, মহিলাদের আর্কষনীয় ব্যাগসহ বিভিন্ন পাটের বন্ত্র সামগ্রী তৈরী হয়। পাটের তৈরী বিভিন্ন ব্যাগ দেশের বিভিন্ন র্কমশালা ছাড়া অভিজাত দোকানে বিক্রি হয়। ফারিক ফেব্রিক্স ফ্যাক্টরীতে ১০টি পাওয়ার লুম এবং ১৫টি হান্ডলুমের প্রায় ২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে পুরুষের তুলনায় মহিলার সংখ্যা বেশী। বিশেষ করে এখানে দুস্থ ও বিধবা মহিলাদের কাজের ক্ষেত্র বেশী। তবে কাজের চাহিদা বাড়লে শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যায়।
ফারিক ফেব্রিক্স সের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত বড় ছেলে মোবারক হোসেন ফাহিম বলেন, ৩৫ বছর ধরে আমাদের এই কুটির শিল্পের ব্যবসা চলমান। আমার পিতা মারা যাওয়ার পর আম্মার অনুপ্রেরনায় আমরা দুই ভাই কুটির শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠায় আছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান কোন ব্যাংক বা কারো নিকট ঋনী নয়। তবে ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋন পেলে আমরা কুটির শিল্পের ব্যবসায় অনেক উন্নতি করতে পারবো।’ সে ক্ষেত্রে আমাদের ফারিক ফেব্রিক্সে ৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে পারবো, আমরা কুটির শিল্পে পাট থেকে বস্ত্র তৈরী বেশী বেশী সাফল্য আনতে পারবে।” তিনি সবশেষে বলেন‘ ‘তাঁতী বাঁচলে, বাঁচবে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতজাত পন্য” এটাই বাস্তব সত্য।”
এম.কন্ঠ/২৪ মার্চ/এম.টি