স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালালেও তার পেতাত্মারা আনাচে কানাচে ঘুরছে..তারেক রহমান
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালালেও তার পেতাত্মারা আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নতুন কোন ষড়যন্ত্র করতে পারে। তারা বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা জনগণের প্রিয় দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা তাদের রুখে দিবে।
বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের সুতী ভিএম মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ও শহর বিএনপির উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুসহ সকল রাজবন্দিদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিওশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে সৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে সক্ষম হয়েছি। এতে আংশিক সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগামী দিনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। বিএনপির সরকার গঠনে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার গঠন হলেই নতুন বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো দেশের মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করবে।
তারেক রহমান আরো বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে টাঙ্গাইলের শাড়ি, চমচম, পাটজাত পণ্য, আনারস ব্যাপক হারে বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেয়া হবে। বিভিন্ন জেলার সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে সম্ভাবনা ও কর্মসংস্থানের। মধুপুরের আনারস রপ্তানীর পাশাপাশি চাষীদের সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রুবেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। এ সময় জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্কুল মাঠে একত্রিত হয়। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে সভাস্থল।
আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
এম.কন্ঠ/ ১২ সেপ্টেম্বর /এম.টি