সখিপুরে ড্রেন নির্মাণে ধীরগতি, ভোগান্তিতে পৌরবাসী
ইট, বালি, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ও সরঞ্জাম সড়কে ফেলে রাখা হয়েছে। বাসাবাড়ির পানি ও মানববর্জ্য আটকে আছে ড্রেনে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। খোলা ড্রেন থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয়দের। কিন্তু উদাসীন রয়েছে ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইলের সখিপুর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডে সড়ক সংলগ্ন ড্রেন নির্মাণ কাজে ধীরগতির ফলে এমন সীমাহীন দুর্ভোগে আছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারকে বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ড্রেনটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এতিমখানা রোডে বন্ধ রয়েছে ড্রেন নির্মাণ কাজ। রাস্তার ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। ড্রেনের ময়লা পানির তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে ড্রেন নির্মাণের অধিকাংশ অংশ খুঁড়ে রাখা হয়েছে। খণ্ড খণ্ড অংশে কিছু কাজ হলেও তা অরক্ষিত। খোলা ড্রেনে যেমন দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে, তেমনি খুঁড়ে রাখায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলেও জানান তারা।
ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংলগ্ন ড্রেন নির্মাণে ধীরগতির কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। প্রায় দেড় মাস আমাদের কোনো বেচাকেনা নেই। দুর্গন্ধে এ এলাকায় থাকাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এগিয়ে আসছেন না কোনো জনপ্রতিনিধি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুমন ট্রের্ডাসের মালিক সুমন মিয়া বলেন, বাসা বাড়ির মানব মানববর্জ্যের লাইন ড্রেনে থাকায় নির্মাণ শ্রমিকরা সাইট থেকে পালিয়ে যায়। ড্রেনের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য মেয়র সাহেবও আমাকে তাগাদা করছেন । আশা করছি দ্রুত শেষ হবে।
সখিপুর পৌরসভার প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, ঠিকাদারকে কাজটি দ্রুত শেষ করার বলা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ে কাজটি শেষ হবে।